۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۱ شوال ۱۴۴۵ | Apr 20, 2024
ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবিদীনের ( আঃ )
ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবিদীনের ( আঃ )

হাওজা / হযরত ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন ( আঃ ) ৩৮ হিজরীর ৫ শাবান মতান্তরে ৩৬ হিজরীর ১৫ জুমাদাল উলা জন্ম গ্রহণ করেন ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ৫-  আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের এ ধরণের খারাপ অতীত নজীর ও রেকর্ড থাকার কারণে ইমাম যাইনুল আবিদীন ( আ. ) তার ( আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর ) ফিতনা ও গলোযোগ সৃষ্টির ব্যাপারে খুব উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত ছিলেন ।

ইমাম হুসাইনের ( আ. ) শাহাদতের পর আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ইমাম হুসাইনকে ডেকে এনে তাঁকে সাহায্য করা থেকে বিরত থাকার কারণে প্রথমে ইরাকবাসীদেরকে সমালোচনা, তিরষ্কার ও নিন্দা করতে থাকেন এবং এরপর তিনি ইয়াযীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও কটূক্তি করা শুরু করেন এবং তাকে মদখোর , কুকুর নিয়ে খেলাধূলায় মত্ত এবং লম্পট দুশ্চরিত্রের অধিকারী বলতে থাকেন।

তিনি জনগণকে ইয়াযীদকে খিলাফতের পদ থেকে অপসারণ ও পদচ্যুত করার আহবান জানান । বলা হয়েছে যে মদীনার শাসনকর্তা এবং বনী উমাইয়াকে মদীনা থেকে বহিষ্কার আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের সম্মতি ও অনুমতি ক্রমেই করা হয়েছিল ( দ্রঃ মাসঊদী প্রণীত মুরূযুয যাহাব , খঃ ৩ , পৃঃ ৬৯ )।

সহীহ বুখারীর কিতাবুল ফিতানে ৬৬১৩ নং হাদীস এ ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণিধানযোগ্য । হাদীসটিঃ

     আবু মিনহাল ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ ইবনে যিয়াদ ও মারওয়ান সিরিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত হলে ইবনে যুবাইর ( রাঃ ) মক্কার শাসন কর্তৃত্ব দখল করেন এবং খাবেজীগণ বসরা অধিকার করে । তখন আমি আমার পিতার সাথে আবু বারযাহ আসলামী ( রাঃ ) – এর বাসগৃহে গমন করি । তিনি সে সময় তাঁর বাঁশের তৈরী একটি কোঠার ছায়ায় উপবিষ্ট ছিলেন । আমরা তাঁর নিকট বসলাম ।

 আমার পিতা তাঁর সাথে কিছু কথা বলতে শুরু করলেন এবং বললেনঃ হে আবু বারযাহ ! আপনি কি লক্ষ্য করছেন না যে – মানুষ কি উভয় সংকটে পতিত হয়েছে .. তাঁকে আমি প্রথম যে কথাটি বলতে শুনলাম – তা হলো , আমি কুরাইশ গোত্রসমূহের প্রতি অসন্তুষ্ট ও ক্রোধান্বিত হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর নিকট সওয়াবের প্রত্যাশা করছি ।

 হে আরবগণ ! তোমরা ( জাহিলিয়াতের যুগে ) কি অবস্থায় ছিলে তা তোমরা সম্যক জ্ঞাত আছ । তোমরা ছিলে দরিদ্র ও লাঞ্ছিত , সংখ্যায় মুষ্টিমেয় এবং পথভ্রষ্ট ! আর আল্লাহ তোমাদেরকে ইসলাম ও মুহম্মদ ( সঃ ) এর মাধ্যমে মুক্তি ( ও কল্যাণ ) দান করেছেন । এমনকি বর্তমানেও তোমরা তার সুফল , সুখ-শান্তি ও উন্নতি প্রত্যক্ষ করছো । এ পার্থিব দুনিয়াই তোমাদের মধ্যে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে । আল্লাহর কসম ! সিরিয়ার এ লোকটি ( মারওয়ান ইবনুল হাকাম ) একমাত্র দুনিয়ার জন্য লড়াই করছে । আল্লাহর কসম ! তোমাদের মধ্যকার ও লোকগুলোও ( খারেজীগণ ) একমাত্র দুনিয়ার স্বার্থে হানাহানি  করছে । আর মক্কায় অধিষ্ঠিত লোকটি ( ইবনে যুবাইর )ও খোদার কসম ! দুনিয়ার স্বার্থে সংগ্রাম করছে ( দ্রঃ সহীহ আল-বুখারী , কিতাবুল ফিতান , হাদীস নং ৬৬১৩ , খঃ ৬ , আধুনিক প্রকাশনী ) ।

    তাই সহীহ বুখারীর এ হাদীস থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর দ্বীনের জন্য নয় বরং পার্থিব অর্থাৎ দুনিয়ার স্বা্র্থে ও ক্ষমতার লোভেই লড়েছে । শুধু তাই নয় । তাঁর মধ্যে বনী হাশিম ও রাসূলুল্লাহর আহলুল বাইতের প্রতিও বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছিল । আর তার লড়াই ও সংগ্রামও ইয়াযীদ , মারওয়ান , ইবনে যিয়াদ তথা বনী উমাইয়ার যুদ্ধ বিগ্রহ এবং খারেজীদের লড়াই ও যুদ্ধের মতো ফিৎনা ছাড়া আর কিছুই ছিল না ।

 আর এ ধরণের সংগত কারণেই ইমাম যাইনুল আবিদীন ( আঃ ) আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের ফিৎনায় বিশেষ ভাবে শংকিত , দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও উদ্বিগ্ন হবেনই । কারণ তিনি ( আঃ ) যুগের হিদায়তকারী ইমাম এবং মহানবীর পবিত্র আহলুল বাইতের অন্তর্ভুক্ত যারা সর্বদা রয়েছেন পবিত্র কুরআনের সাথে । আর পবিত্র কুরআন ও আহলুল বাইত ( আ. ) কিয়ামত দিবসে হাওযে কাওসারে মহানবীর ( সা. ) কাছে উপনীত হওয়া পর্যন্ত কখনোই পরষ্পর বিচ্ছিন্ন ও পৃথক হবে না ।

 তাই সর্বশ্রেণীর জনগণ এবং সকল দল , মত ও গোষ্ঠীর উচিৎ ছিল ফিৎনার আগুণ থেকে বাঁচার জন্য ইমাম যাইনুল আবিদীনের ( আ. ) কাছে রুজু করা ও তাঁর শরণাপন্ন হওয়া । কিন্তু বাস্তবে তা করা হয় নি । তাই ফিৎনার আগুণ আর নির্বাপিত হয় নি । আহলুল বাইতকে ( আ. ) ত্যাগ করলে তখন ফিৎনার অনলে দগ্ধ হওয়া হবে সবার ন্যায্য পাওনা ও অধিকার ।

 এই মদীনা ও মক্কাবাসীরা যদি ইমাম হুসাইনের ( আ. ) সাথে থেকে তাগুত ইয়াযীদ ও বনী উমাইয়ার বিরুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করত তাহলে ইমাম হুসাইনের শাহাদতের ( ৬১ হিজরী ) দুই বছর পর ৬৩ হিজরীতে মদীনার হাররার মহা হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হত না এবং ইয়াযীদের সেনাবাহিনী ৬৪ হিজরীতে মক্কা আক্রমণ করে পবিত্র কাবা অগ্নিদগ্ধ করতে ও সেখানে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারত না ।

 ঠিক একই ভাবে যে কূফাবাসীরা পত্র পাঠিয়ে ইমাম হুসাইনকে ( আঃ ) ডেকে এনে সাহায্য করা থেকে বিরত থেকেছিল বরং তাদের একদল ইয়ায়ীদী সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ইমামের বিরুদ্ধে নাহক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ইমামকে মযলূম অবস্থায় যিবহ ( জবাই ) করে শহীদ করেছিল । তাই ৬৫ হিজরীতে কূফাবাসীদের কিছু অংশ যারা ইমামকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পত্র লিখে ইমামকে কূফায় আসার দাওয়াত জানিয়েছিল কিন্তু ইমাম কারবালায় আসলে   তাঁকে সাহায্য করা থেকে বিরত থেকেছিল তারা নিজেদের জঘন্য ভূল ও অন্যায় বুঝতে পেরে তওবা করে ইমাম হুসাইনের রক্তের বদলা ও ইনতিকাম  ( প্রতিশোধ ) নেয়ার জন্য ইয়াযীদ ও ইবনে যিয়াদের বিরুদ্ধ কিয়াম ( বিদ্রোহ ) করে যারা ইতিহাসে তাওওয়াবীন ( তওবাকারীগণ ) নামে খ্যাতি লাভ করেছে এবং ৬৫ হিজরী সালে আইনুল ওয়ার্দার যুদ্ধে ৩০০০০ উমাইয়া বাহিনীর মোকাবেলায় যুদ্ধ করে সুলাইমান ইবনে সারুদ আল-খুয়াঈর নেতৃত্বে ৫০০০ তাওওয়াব ( তওবাকারী ) শাহাদত বরণ করেন ।

 এই ৫০০০ শহীদ তাওওয়াব যদি কারবালায় ইমাম হুসাইনের সাথে ইয়াযীদী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন তাহলে অবস্থা ও পরিস্থিতি কেমন হত .. যথা সময় সঠিক পদক্ষেপ না নিলে তখন অপূরণীয় খেসারত দিতেই হবে সবাইকে । মুসলিম উম্মাহ মহানবীর ( সা. ) আহলুল বাইত , ইমাম আলী ( আ. ) , ইমাম হাসান ( আ. ) ও ইমাম হুসাইনকে ( আ. ) ত্যাগ করে কুরাইশ , বনী উমাইয়া , মুআবিয়া , আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরদের শরণাপন্ন হলে তাদেরকে তখন এ ধরণের ফিৎনা , গলোযোগ , অশান্তি ও বিভ্রান্তির ঘূর্ণাবর্তে পড়ে হাবুডুবুতো খেতে হবেই ! মুসলিম উম্মাহর উচিৎ সাকালাইনকে ( দুটো অতীব ভারী ও মূল্যবান বিষয় বা জিনিস অর্থাৎ অতিমূল্যবান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্তরাধিকার মীরাসঃ পবিত্র কুরআন এবং রাসূলুল্লাহর অতিনিকটাত্মীয় রক্তজ বংশধর ইতরাৎ অর্থাৎ আহলুল বাইত ) আঁকড়ে ধরা ( তামাসসুক ) সংক্রান্ত মহানবীর ( সাঃ ) ওয়াসিয়ত আমল করা ।

 আর সাকালাইনকে আঁকড়ে ধরার অর্থ সদাসর্বদা সাকালাইনের ( পবিত্র কুরআন ও আহলুল বাইত ) সাথে থাকা এবং পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে তাঁদের আনুগত্য ও অনুসরন । ইমাম আলীর ( আ. ) জীবদ্দশায় তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণ , ইমাম হাসানের ( আ.) জীবদ্দশায় তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণ , ইমাম হুসাইনের ( আ. ) জীবদ্দশায় তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণ এবং ইমাম যাইনুল আবিদীনের ( আ. ) জীবদ্দশায় তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণ এবং এভাবে আহলুল বাইতের ( আ. ) বাকী সকল ইমামদের ( আ. ) জীবদ্দশায় তাঁদের আনুগত্য ও অনুসরণ ।

 এ ক্ষেত্রে সাকালাইন থেকে অগ্রগামী হওয়া বা পিছিয়ে পড়া উম্মতের জন্য কস্মিনকালেও জায়েয হবে না । কারণ উভয় অবস্থায় তারা ( উম্মত ) গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট হবে এবং ধ্বংস হয়ে যাবে । তাগুত ইয়াযীদের নিযুক্ত শাসনকর্তা কর্তৃক বাইআত করার চাপ প্রয়োগ করা হলে যখন ইমাম হুসাইন ( আ. ) পবিত্র মদীনা থেকে সপরিবারে পবিত্র মক্কায় বের হয়ে গেলেন তখন মদীনাবাসীরা তাঁর সাথে ছিল না অর্থাৎ এর অর্থ হচ্ছে যে তারা ( মদীনাবাসীরা ) ইমাম হুসাইন ( আ. ) এবং আহলুল বাইত ( আ. ) থেকে পিছিয়েছিল , আর কূফাবাসীদের আমন্ত্রণে ইমাম হুসাইন ( আ. ) ৮ যিলহজ্জ ৬০ হিজরী সালে পবিত্র মক্কা থেকে সপরিবারে কূফা পানে যাত্রা করেন তখন মক্কাবাসীরা তাঁর সাথে ছিল না অর্থাৎ তারাও ঠিক মদীনাবাসীদের মতো ইমাম হুসাইন এবং আহলুল বাইত ( আ.) থেকে পিছিয়েছিল । আর ঠিক একইভাবে কূফাবাসীগণও কারবালায় ইমাম হুসাইন ( আ. ) এবং তাঁর আহলুল বাইতের ( আ. ) সাথে থেকে তাগুত ইয়াযীদ ও ইবনে যিয়াদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও যুদ্ধ না করে আহলুল বাইত ( আ. ) থেকে পিছিয়েছিল । আর আহলুল বাইত ( আ. ) থেকে পিছিয়ে থাকার অর্থ ও পরিণতি সাকালাইনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা সংক্রান্ত ওয়াসিয়তে মহানবী ( সা. ) স্পষ্ট বলেছেন ।

 কিন্তু ৬৩ হিজরীতে মদীনাবাসীদের কিয়াম ও বিদ্রোহ এবং হাররার যুদ্ধ আসলে আহলুল বাইত এবং যুগের ইমাম হযরত যাইনুল আবিদীন ( আ. ) থেকে অগ্রগামী হওয়ার অর্থে । কারণ তারা ( মদীনাবাসীরা ) যুগের ইমাম হযরত যাইনুল আবিদীনের ( আ. ) আদেশে এ কিয়াম ও যুদ্ধ করে নি । ঠিক একই ভাবে পবিত্র মক্কায় আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের বিদ্রোহ ও নিজেকে মুসলিম জাহানের খলীফা ঘোষণাও ছিল আহলুল বাইতের ইমাম যাইনুল আবিদীন যিনি যুগের ইমাম তাঁর অনুমোদন ও অনুমতি ব্যতিরেকে অর্থাৎ ইবনে যুবাইরের এ পদক্ষেপও ছিল  আহলুল বাইত (আ.) থেকে অগ্রবর্তী হওয়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ।

 আর আহলুল বাইত থেকে অগ্রবর্তী হওয়া অর্থাৎ এগিয়ে থাকাও তাঁদের ( আ. ) থেকে পিছিয়ে থাকার মতোই এক সমান পথভ্রষ্টতা ও গোমরাহী । আর এ বিষয়টাও মহানবীর ওয়াসিয়তে স্পষ্ট বিধৃত হয়েছে । আর কূফার তাওওয়াবীনের কিয়াম ও বিদ্রোহ এবং শাহাদত বরণ ছিল তাদের মারাত্মক ভুল ও অপরাধের প্রায়শ্চিত্যকরণ । কারণ তারা ইমাম হুসাইনকে ( আ. ) সাহায্য করে নি যা তাদের উপর ছিল ফরয ।

তাই এ অপরাধ ও ভুলের তওবা করে তারা ইমাম হুসাইন এবং শহীদানে কারবালার শাহাদতের খুনের প্রতিশোধ ও বদলা নেওয়ার জন্য তাগুত বনী উমাইয়া , ইবনে যিয়াদ এবং ইমাম হুসাইন ও শহীদানে কারবালার হত্যাকারীদের ( কাতালাহ ) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও কিয়াম করে শাহাদত বরণ করেন ।

 সুতরাং তাওওয়াবীনের লক্ষ্যই ছিল ইনতিকাম ও প্রতিশোধ গ্রহণ স্বরূপ ইমাম হুসাইন এবং কারবালার সকল শহীদের হত্যাকারী ও কাতেলদেরকে বধ ও হত্যা করা অথবা এ পথে তাদের নিজেদের শাহাদত বরণ । সুতরাং তাওওয়াবীনের কিয়াম ও শাহাদত না ছিল আহলুল বাইত ( আ. ) ও যুগের ইমাম হযরত যাইনুল আবিদীন ( আ. ) থেকে অগ্রগামী হওয়া আর না ছিল তাঁদের থেকে পিছিয়ে থাকা ।...চলবে...

লেখা: মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .