۹ فروردین ۱۴۰۳ |۱۸ رمضان ۱۴۴۵ | Mar 28, 2024
News ID: 379747
19 اپریل 2022 - 10:47
১৭ রমযান: বদর দিবস
১৭ রমযান: বদর দিবস

হাওজা / ১৭ রমযানের রাতে হযরত রাসূলুল্লাহর (সা) সেনাবাহিনী বদর নামক স্থানে কাফির কুরাইশ সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয় এবং ১৭ রমযানের দিনে ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৭ রমযানের রাত অত্যন্ত মুবারক এক রজনী । এ রাতে হযরত রাসূলুল্লাহর (সা) সেনাবাহিনী বদর নামক স্থানে কাফির কুরাইশ সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয় এবং ১৭ রমযানের দিনে ঐতিহাসিক বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

মহান আল্লাহ এ যুদ্ধে হযরত রাসূলুল্লাহর ( সা) সেনাবাহিনীকে কাফির কুরাইশ সেনাবাহিনীর উপর বিজয়ী করেছিলেন। আর এ বিজয় ছিল ইসলামের সবচেয়ে বড় বড় যুদ্ধ বিজয়ের অন্যতম । এ কারণেই সম্মানিত আলেমগণ বলেছেন যে এ দিন দান সদকা , মহান আল্লাহর বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় ( কৃতজ্ঞতা প্রকাশ) ও গোসল করা মুস্তাহাব এবং ১৭ রমযান রাতে ইবাদত বন্দেগীরও বিরাট ব্যাপক ফযীলত ও গুরুত্ব আছে । বদরের দিবস ও রাত হযরত আমীরুল মুমিনীন আলীর (আ) ফাযায়েল ও উচ্চ মহৎ গুণাবলীর সাথেও একান্ত সংশ্লিষ্ট। বহু রিওয়ায়তে বর্ণিত হয়েছে যে

এ রাতে ( ১৭ রমযানের রাত ) মহানবী (সা) সাহাবাদের কে বললেন: আমাদের জন্য কুয়া থেকে কে পানি আনতে পারবে ? সাহাবারা সবাই চুপ করে রইলেন এবং কেউ এ কাজ করার জন্য উদ্যোগী হলো না । হযরত আমীরুল মুমিনীন আলী (আ) মসক নিয়ে পানির সন্ধানে বের হলেন । ঐ রাত ছিল খুব ঠাণ্ডা আঁধার রাত এবং তীব্র ঝড়ো বাতাস প্রবাহিত হচ্ছিল । তিনি একটি অত্যন্ত গভীর কূপের কাছে পৌঁছালেন । কিন্তু তিনি সেখানে পানি উঠানোর বালতি খুঁজে পেলেন না।

অগত্যা তিনি নাচার ও নিরুপায় হয়ে কুয়ার গভীরে নেমে গেলেন এবং খালি মসক পানি দিয়ে পূর্ণ করে কুয়ার উপরে উঠে আসলেন । তিনি যেই শিবিরে ফিরে আসতে যাবেন ঠিক তখন হঠাৎ তীব্র বাতাসের মুখোমুখি হলেন এবং খুব কষ্টে বসে পড়লেন যাতে ঐ বাতাস রদ হয়ে যায়। বাতাস চলে গেলে তিনি শিবিরের দিকে ফেরার জন্য উঠে দাঁড়ান এবং পথ চলতে থাকেন । কিন্তু হঠাৎ দ্বিতীয় বারের মতো তীব্র বায়ু প্রবাহ শুরু হলে তিনি বসে যান এবং ঐ বায়ু প্রবাহ শেষ হলে তিনি আবার পথ চলতে থাকেন।

আবার তৃতীয় বারের মতো তীব্র বায়ু প্রবাহ শুরু হলে তিনি মাটিতে বসে যান এবং বায়ু প্রবাহ শেষ হলে আবার তিনি উঠে পথ চলতে থাকেন এবং অবশেষে তিনি হযরত রাসূলুল্লাহর (সা) কাছে পানি নিয়ে ফিরে আসলেন । রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন : " কেন তোমার ফিরতে দেরী হলো? " হযরত আলী (আ) বললেন : " তিন বার তীব্র বায়ু প্রবাহের সম্মুখীন হয়েছিলাম যা আমাকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল এবং ঐ সব বায়ু প্রবাহ থেমে যাওয়ার অপেক্ষা করার জন্য আমার বিলম্ব হয়েছে । " রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন : " হে আলী তুমি কি জানতে ওগুলো কী ছিল ? " আলী (আ) বললেন : না । রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন : প্রথম তীব্র বায়ু প্রবাহ ছিল এক হাজার ফেরেশতা সমেত জিবরাঈল (আ) যারা তোমাকে সালাম দেয় । দ্বিতীয়টি ছিল এক হাজার ফেরেশতা সমেত মীকাঈল ( আ ) যারা তোমাকে সালাম দেয়। আর তৃতীয়টি ছিল এক হাজার ফেরেশতা সমেত ইস্রাফীল ( আ) যারা তোমাকে সালাম দেয়। এরা সবাই ( তোমাকে ) সাহায্য করার জন্য পৃথিবীতে অবতরণ করে । "

সূত্র : মাফাতীহুল জিনান , পৃ: ৪০৬ - ৪০৭

অনুবাদ: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

১৭ রমযান, ১৪৪৩ হি.

تبصرہ ارسال

You are replying to: .