۱۰ فروردین ۱۴۰۳ |۱۹ رمضان ۱۴۴۵ | Mar 29, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা শামীম হুসাইন মীর্জা
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা শামীম হুসাইন মীর্জা

হাওজা / নিশ্চয়ই আমরা এটা (পবিত্র কুরআন) মহিমান্বিত রজনীতে অবতীর্ণ করেছি।

লেখা: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা শামীম হুসাইন মীর্জা

(শাবে কদরে যেভাবে কুরআন নাযিল হয়েছে) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পবিত্র কুরআন কিভাবে নাযিল হয়েছে। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে প্রথম থেকেই অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে। স্বয়ং পবিত্র কুরআনে, কুরআন নাযিলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন:

«شَهْرُ رَمَضانَ الَّذی أُنْزِلَ فیهِ الْقُرْآن‏»

রমযান মাস, যাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।

সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫।

এই আয়াতে প্রমাণিত হয় যে, পবিত্র কুরআন মাহে রমজানে নাযিল হয়েছে।

এছাড়াও মহান আল্লাহ আরও এরশাদ করেছেন:

«حم، وَ الْکِتَابِ الْمُبِینِ، إِنَّا أَنزَلْنَهُ فىِ لَیْلَةٍ مُّبَرَکَةٍ إِنَّا کُنَّا مُنذِرِین‏»

হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।

সূরা দুখান, আয়াত ১ থেকে ৩।

সূরা দুখানের এই আয়াতসমূহে একটি বরকতময় রাতে কুরআন নাযিলের বিষয়টি ব্যক্ত করা হয়েছে।

পবিত্র কুরআনের অন্যত্রে বলা হয়েছে:

إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فىِ لَیْلَةِ الْقَدْر

নিশ্চয়ই আমরা এটা (পবিত্র কুরআন) মহিমান্বিত রজনীতে অবতীর্ণ করেছি।

সূরা কাদর, আয়াত ১।

উপরোক্ত তিনটি আয়াত থেকে স্পষ্ট যে, পবিত্র রমজান মাসে কদর নামক বরকতময় একটি রজনী রয়েছে, যাতে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে।

এই রাতটিকে বছরের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রাত এবং গুনাহ মাফের সময় হিসেবেও প্রবর্তন করা হয়, যে রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে আসেন এবং বান্দাদের আগামী বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়।

«تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ»

এতে (মহিমান্বিত রজনীতে) ফেরেশতাগণ ও রুহুল কুদস (জিবরীল) তাদের প্রতিপালকের অনুজ্ঞাক্রমে প্রত্যেক বিষয়ের আদেশসহ অবতীর্ণ হয়। এতে (রজনীতে) ঊষার আবির্ভাব অবধি শান্তি (অবতীর্ণ হয়)।

সূরা কাদর, আয়াত ৪ ও ৫

নিঃসন্দেহে লাইলাতুল কদর পবিত্র রমজান মাসে রয়েছে, তবে সঠিক সময় স্পষ্ট নয়। শিয়া এবং সুন্নী কিতাবে পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোন বেজোড় রাতে পবিত্র কুরআন নাযিল হয়েছে বলে ব্যক্ত করা হয়েছে। ১৯, ২১, ২৩ এবং ২৭ রাত্রিগুলিকে লায়লাতুল কদরের সম্ভাবনা রাত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিয়া গ্রন্থ সমূহে ১৯, ২১ এবং ২৩ রাতের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সুন্নী গ্রন্থসমূহে ২৭ রাতের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই রাতে মু’মিনগণ সকাল পর্যন্ত জেগে থাকেন এবং সারা রাত ইবাদত-বন্দেগী করে রাত অতিবাহিত করেন।

২১শের রাতে আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.)এর শাহাদাত বার্ষিকী। শিয়া মুসলমানেরা ইবাদত-বন্দেগী এবং শোকানুষ্ঠানের মাধ্যমে এই রাত অতিবাহিত করেন।

পবিত্র কুরআনের নাযিল দুই প্রকার

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর উপর দুই ভাবে কুরআন নাযিল হয়েছে। একবারে সম্পূর্ণ কুরআন নাযিল হয়েছে এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ ২৩ বছরে পর্যায়ক্রমে নাযিল হয়েছে। লাইলাতুল কদরে সম্পূর্ণ কুরআন একবারে নাযিল হয়েছে এবং পরবর্তীতে প্রিয় নবী মুস্তাফা (সা.)-এর নবুয়ত কালে পর্যায়ক্রমে নাযিল হয়। আয়াতের বাহ্যিক রূপে এবং অনেক হাদীসে এই বিষয়টি ব্যক্ত হয়েছে।

আল্লামা তাবাতাবায়ী কুরআন নাযিলের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন: “কুরআন, যা আমরা আমাদের সাধারণ বোধগম্যতার সাথে উপলব্ধি করতে পারি তার বাইরে। এতে অংশবিহীন একটি সমন্বিত সত্য রয়েছে, যার কোনো পরিবর্তন নেই।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .