۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۱ شوال ۱۴۴۵ | Apr 20, 2024
মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী
মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী

হাওজা / আপনি যদি মানুষের অবস্থার দিকে তাকান তবে আপনি চার ধরণের লোককে খুঁজে পাবেন।

হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী

আপনি যদি মানুষের অবস্থার দিকে তাকান তবে আপনি চার ধরণের লোককে খুঁজে পাবেন।

১- আল্লাহ তাআলা'র আনুগত্যকারী বান্দা, যাদের জীবন সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ।

২- আল্লাহ তাআলা'র অবাধ্য বান্দা, যাদের জীবন সংকীর্ণ এবং বিরক্তিকর।

৩- আল্লাহ তাআলা'র আনুগত্যকারী বান্দা, যাদের জীবন সংকীর্ণ ও ঝামেলাপূর্ণ।

৪- আল্লাহ তাআলা'র অবাধ্য বান্দা, যাদের জীবন সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ।

আসুন! এখন আমরা কুরআনের শিক্ষার আলোকে উল্লেখিত চার শ্রেণীর লোককে পরীক্ষা করি।

১- আল্লাহ তাআলা'র আনুগত্যকারী বান্দা, যাদের জীবন সুখী ও শান্তিপূর্ণ।

আনুগত্যশীল বান্দাদের জীবন সুখী ও শান্তিপূর্ণ থাকা স্বাভাবিক। কারণ মহান আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন :

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُم بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

"যে ব্যক্তি সৎকর্ম করবে, সে পুরুষ হোক বা নারী, সেই হল ঈমানদার, আমি তাকে দুনিয়াতে পবিত্র জীবন দান করব এবং (আখেরাতে) এমন লোকদেরকে তাদের উত্তম আমল মোতাবেক প্রতিদান দেব।"

সূরা নাহল ৯৭

২- আল্লাহ তাআলা'র অবাধ্য বান্দা, যাদের জীবন সংকীর্ণ এবং বিরক্তিকর।

এ ধরনের লোকদের জীবন সংকীর্ণ হওয়াও স্বাভাবিক, কারণ এ ধরনের লোকদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা'র সুস্পষ্ট ওয়াদা এসেছে :

وَمَنْ أَعْرَضَ عَن ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمَىٰ

"আর যে আমার যিকর্ (নসিহত) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, দুনিয়াতে তার জীবন সংকীর্ণ হবে এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ অবস্থায় পুনরুত্থান করব।"

সূরা ত্বাহা ১২৪..

৩- আল্লাহ তাআলা'র আনুগত্যকারী বান্দা, যাদের জীবন সংকীর্ণ এবং বিরক্তিকর।

আনুগত্যকারী বান্দাদের এমন জীবন দুই অবস্থা থেকে ভিন্ন হয় না।

প্রথম : আল্লাহ তায়ালা হয়ত এই বান্দাকে ভালোবাসেন এবং যাচাই করার জন্য তার ধৈর্যের পরীক্ষা নিতে চান। আর এর মাধ্যমে তিনি তার অবস্থান ও মর্যাদাকে উন্নীত করতে চান। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেন :

وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِنّ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِنّ الْأمْوَالِ وَالْأنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّر الصِّابِرِينَ

"আর কোনো না কোনোভাবে আমি তোমাকে অবশ্যই পরীক্ষা করব। (তাই সে) শত্রুরের ভয়ে, ক্ষুধা-তৃষ্ণার মাধ্যমে, ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের সংকীর্ণতার মাধ্যমে। আর ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও।"

সূরা বাক্বারা ১৫৫

দ্বিতীয় : হয়ত আপনার আনুগত্যের মধ্যে অভাব ও ত্রুটি রয়েছে যা আপনি জানেন না এবং তওবা করতে বিলম্ব করছেন। তাই মহান আল্লাহ তাআলা আপনাকে পরীক্ষায় নিক্ষেপ করেছেন, যাতে আপনি তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেছেন :

وَلَنُذِيقَنَّهُم مِّنَ الْعَذَابِ الْأَدْنَى دُونَ الْعَذَابِ الْأَكْبَرِ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ

"আর আমি অবশ্যই তাদেরকে বড় আযাবের পূর্বে ছোট্ট আযাবের আস্বাদন করাব, যাতে তারা প্রত্যাবর্তন করে।"

সূরা সিজদাহ ২১..

৪- আল্লাহ তাআলা'র অবাধ্য বান্দা,যাদের জীবন সুখী ও শান্তিপূর্ণ। আপনি যদি এই শ্রেণী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন, অর্থাৎ পাপ ও অবাধ্যতার সত্ত্বেও আপনার জীবন সুখী ও শান্তিপূর্ণ, তবে এখনই সাবধান হোন, কেননা আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা শিথিল হতে পারে। আর এটা মানুষের জন্য খুবই বিপজ্জনক এবং এর পরিণামও অন্তত খারাপ ও ভয়ানক হবে। এমন অবস্থায় মানুষ যদি সময়মত তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা না করে তবে আল্লাহর আযাব অবশ্যই আসবে। যেমন মহান আল্লাহ তাআলা বলেন :

فَلَمَّا نَسُوا مَا ذُكِّرُوا بِهِ فَتَحْنَا عَلَيْهِمْ أَبْوَابَ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّىٰ إِذَا فَرِحُوا بِمَا أُوتُوا أَخَذْنَاهُم بَغْتَةً فَإِذَا هُم مُّبْلِسُونَ

"অতঃপর তারা যখন তাদের দেওয়া উপদেশ ভুলে গেল, তখন আমি তাদের জন্য সর্বপ্রকার সমৃদ্ধির দ্বার উন্মোচন করে দিলাম। এমনকি যখন তাদের প্রদান করা উপহারে তারা নিমগ্ন হয়ে গেল হঠাৎ করে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। এখন সর্ব প্রকার নেকি থেকে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ল।"

সূরা আন'আম ৪৪..

(وَّ ذَکِّرۡ فَاِنَّ الذِّکۡرٰی تَنۡفَعُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ)

"আর উপদেশ দিতে থাক, নিশ্চয়ই মোমিনদেরকে এ উপদেশ উপকারে আসবে।"

সূরা যারিয়াত ৫৫..

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .