۱۰ فروردین ۱۴۰۳ |۱۹ رمضان ۱۴۴۵ | Mar 29, 2024
ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ
ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ

হাওজা / অ্যামাজনের বন - জঙ্গলকে পৃথিবীর ফুসফুস বা শ্বাসকেন্দ্র বলা হয় । আর অ্যামাজনের বনাঞ্চল টিকলে ভবিষ্যতে বহু মহামারীরও আর প্রাদুর্ভাব হবে না।

মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান

এই প্রতিবেদনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে যে অ্যামাজনের সঠিক সংরক্ষণ ও সুরক্ষা করতে পারে সেখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী না বহিরাগত ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ দখলদার অভিবাসীরা ।

অ্যামাজনের বন - জঙ্গলকে পৃথিবীর ফুসফুস বা শ্বাসকেন্দ্র বলা হয় । আর অ্যামাজনের বনাঞ্চল টিকলে ভবিষ্যতে বহু মহামারীরও আর প্রাদুর্ভাব হবে না। কারণ বনাঞ্চল নষ্ট না হলে মহামারীর ভাইরাস বাহী বানর ও প্রাণী সমূহের বাসস্থান খারাপ ও ধ্বংস হবে না এবং তখন খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ের দিকে চলে আসবে না ঐ সব মহামারীর জীবাণু বাহী প্রাণী । অতএব এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় : " বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে । " ---- বাংলা এ প্রবাদ বাক্যের তাৎপর্য । (ক্যান্ডি)

পাশ্চাত্য এবং পাশ্চাত্যের লাইফ স্টাইলের কারণে বিশ্বব্যাপী বন জঙ্গলের ধ্বংস যজ্ঞ চলছে খুব জোরেশোরে ও অতি দ্রুতগতিতে । আর পাশ্চাত্যের তৈরি যন্ত্রপাতি ও উপায় উপকরণ বনাঞ্চল ধ্বংসে খুব সহায়ক হচ্ছে । তাই অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বনাঞ্চলের ধ্বংসযজ্ঞ সাধিত হচ্ছে অদ্ভূত দ্রুতগতিতে যে এভাবে চলতে থাকলে মানবজাতি, প্রাণী ও উদ্ভিদ কূল অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে !!!

পাশ্চাত্য বস্তুবাদ মানবজাতির মধ্যে লোভ লালসা ও ভোগবাদী প্রবণতাকেও অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি করে উস্কে দিয়েছে যার ফলে অধিক লাভ ও মুনাফার লোভে এবং তা অধিক অধিক ভোগ করার জন্য মানুষ মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণের নেশায় উঠে পড়ে লেগেছে । আর এর অশুভ পরিণতি হচ্ছে বিশ্ব ব্যাপী প্রকৃতি ও পরিবেশের ধ্বংসযজ্ঞ ও দূষণ , আবহাওয়ার পরিবর্তন , বিশ্ব উষ্ণায়ন , খরা - বন্যা, প্রবল ঝড় - তুফান ইত্যাদি ।

মানুষকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে মার্জিত , ভদ্র , সভ্য , নম্র, বিনয়ী , শান্তিপ্রিয় ও লোভ লালসা মুক্ত হতে হবে । আর এ সব মহৎ গুণের কোনো একটিও পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী সভ্যতা ও জীবন ব্যবস্থা ও দর্শন থেকে অর্জিত হয় না । এ সব গুণ অর্জন করতে হলে খাঁটি সত্য ধর্মের শিক্ষা ও আদর্শের দিকে প্রত্যাবর্তন ও রুজু করার বিকল্প নেই ।

আধুনিক বস্তুবাদী পাশ্চাত্য অনেক বৈষয়িক সুযোগ সুবিধা এনে দিয়েছে সত্য কিন্তু তা মানব জাতির প্রকৃত আত্মিক শান্তি , প্রশান্তি ও মানসিক সুখ ও স্বাচ্ছন্দ আনতে পারে নি। কারণ , বিশ্ব জুড়ে পরিবেশ - প্রকৃতির শ্রাদ্ধ করেই যাচ্ছে পাশ্চাত্য । কেউ যদি তার বাসস্থান ( বাঁচার স্থান )ই যদি ধ্বংস করে ফেলে তাহলে সে কিভাবে বাঁচবে এ পৃথিবীতে ? এমন বোকা আছে নাকি ? অথচ বস্তুবাদী লোভী ভোগবাদী পাশ্চাত্য হচ্ছে পৃথিবীর প্রকৃতি পরিবেশ তথা নিজের বাসস্থান ধ্বংসকারী উজবুগ বোকা গর্দভ !!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .