হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেএনএমসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে ভারতীয় ও বিদেশি বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদরা ব্যক্তি, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে মূল্যবোধ রক্ষা, ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি, সংহতি, পারস্পরিক সম্প্রীতি, বিভিন্ন ধর্মের গুরুত্ব এবং বিভিন্ন বিশ্বাসীদের মধ্যে বোঝাপড়া এবং আলোচনার গুরুত্বর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সেমিনারের সম্মানিত অতিথি, ভারতে ইসলামী বিপ্লবী নেতার প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ মেহদাভীপুর সেমিনারে বক্তৃতাকালে বলেন যে ইসলাম সমাজকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রদান করে এবং উচ্চ নৈতিক চরিত্র প্রদর্শনের উপর বিশেষ জোর দেয় এবং যে ন্যায়বিচার ইসলামী শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু।
ইরানের চিন্তাবিদ ও প্রাক্তন পার্লামেন্টারি স্পিকার ডঃ হাদ্দাদ আদেলও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন এবং বলেন যে পশ্চিমা ধারণা এবং জীবনধারা পূর্ব বিশ্বে পরিবারের ধারণাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে, যার ফলে ব্যক্তি ও সামাজিক স্তরে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতে গিয়ে শেখুল-জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক তারিক মনসুর বলেন, বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের এক মঞ্চে সমবেত হওয়া শুভকামনা এবং আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমেই সংঘাত ও বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব।
সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন শাইখুল জামিয়া মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ গুলরেজ।
তিনি বলেন, সংলাপ ও বোঝাপড়ার প্রচেষ্টা জনগণের কাছে আনতে হবে যাতে মানুষ একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করে এবং সংঘর্ষ ও যুদ্ধ এড়ানো যায়।
তফসিলি জাতির জাতীয় কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, লামা চুসফেল জোতপা তার ভাষণে বলেছেন যে সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব থাকতে হবে। তিনি বৌদ্ধ ধর্মের মৌলিক শিক্ষার কথা উল্লেখ করেন এবং একে অপরকে সাহায্য করার ওপর জোর দেন।
কুয়েতি অতিথি হাজী মোস্তফা বলেন, প্রাচ্যের মূল্যবোধ সমাজের জন্য মূল্যবান এবং পশ্চিমা প্রভাব ও তথাকথিত উন্নয়নের নামে আমাদের সমাজকে অবনতি থেকে রক্ষা করতে হবে।