۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
হযরত ঈসা মসীহের শুভ জন্মদিন
হযরত ঈসা মসীহের শুভ জন্মদিন

হাওজা / হযরত ঈসা মসীহের শুভ জন্মদিন ( ২৫ ডিসেম্বর অথবা ৭ জানুয়ারি ) মুবারক।

অনুবাদ ও টীকা : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হযরত ঈসা মসীহের শুভ জন্মদিন ( ২৫ ডিসেম্বর অথবা ৭ জানুয়ারি ) মুবারক।

المسيحُ عليه السلام : يا بَنِي إسرائيلَ ، لا تَأسَوا على ما فاتَكُم مِن دُنياكُم إذا سَلِمَ دِينُكُم كما لا يَأسى أهلُ الدنيا على ما فاتَهُم مِن دِينِهِم إذا سَلِمَتْ دُنياهُم .[الأمالي للصدوق : 585/805 .]

হযরত ঈসা মসীহ্ ( আ ) বলেছেন : হে বনী ইসরাইল !

যেমন ভাবে দুনিয়াদার ব্যক্তিদের দুনিয়া ( পার্থিব জীবন ও জগৎ ) ঠিক থাকলে তাদের দ্বীন - ধর্ম বিনষ্ট হলেও তারা দু:খ ও আফসোস করে না ঠিক তেমনি তোমাদের দ্বীন - ধর্ম ঠিক থাকলে তোমাদের দুনিয়া ( পার্থিব জীবন ও জগৎ ) হারিয়ে গেলে বা চলে গেলেও ( ক্ষতি ও নষ্ট হলেও ) তোমরা দু:খ ও আফসোস করো না ।

সূত্র : শেখ সাদূক্ব্ প্রণীত আমালী , ৫৮৫ /৮০৫

****

আজ পাশ্চাত্য যারা ঈসা মসীহ্ ( আ ) - এর অনুসারী হওয়ার দাবিদার তারা কি আসলেই ঈসা মসীহর ( আ) প্রকৃত অনুসারী ?! তারা কি ঈসা মসীহের ( আ ) প্রকৃত শিক্ষা , নীতি , আদর্শ , সুন্নাহ ও সীরাতের ( জীবন চরিত ) অনুসরণ করছে ? পশ্চিমা দেশগুলো তো দুনিয়া ( পার্থিব জীবন ও জগৎ ) নিয়ে মহাব্যস্ত অর্থাৎ ভীষণ ধরণের দুনিয়াদার ( চরম বস্তুবাদী ) । তাদের অবস্থা হযরত ঈসা মসীহের ( আ) এ হাদীসের অন্তর্নিহিত অর্থ ও তাৎপর্যের ঠিক বিপরীত। আর বস্তুবাদ নাস্তিক্যবাদ ( কুফর ও ইলহাদ) ছাড়া আর কিছুই নয় । পশ্চিমারা এতটাই দুনিয়া পাগল ,বস্তুবাদী ও দুনিয়া পূজারী যে তাদের সামান্য দুনিয়াবী ( পার্থিব ) ক্ষতি হয়ে গেলেই তাদের মাথা আর ঠিক থাকে না পুরোপুরি উন্মাদ বনে যায় । আর পার্থিব বস্তুবাদী স্বার্থ চারিতার্থ করার জন্য পাশ্চাত্য কত জঘন্য সব অন্যায় , অপরাধ , অনাচার ও অত্যাচার ( জুলুম) করেছে ও করে যাচ্ছে সমগ্র দুনিয়া জুড়ে মানবতার বিরুদ্ধে !!! ঘৃণ্য সাম্রাজ্যবাদ তো পাশ্চাত্য ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাথেই একান্ত সংশ্লিষ্ট। বিগত তিন শতাব্দীর অধিক কাল ধরে শত শত মিলিয়ন ( কোটি কোটি ) মানুষ হত্যা করেছে হযরত ঈসা মসীহের ( আ) অনুসারী হওয়ার দাবিদার পশ্চিমা দেশগুলো ( পাশ্চাত্য ) তাদের সাম্রাজ্যবাদী শাসনামলে । যেমন : আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের আদিবাসীদের গণহত্যা ও প্রজন্ম নিধন করে একেবারে সাবার ও নিশ্চিহ্ন করেই দিয়েছে পাশ্চাত্যের শিরোমণি যুরা ( যুক্তরাজ্য ) ও মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) । সমগ্র পাশ্চাত্য বিশেষ করে মাযুরা ও যুরার পূর্ণ সমর্থনপুষ্ট হয়ে উগ্র বর্ণবাদী যায়নবাদী , রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হোতা ইসরাইল তিন মাস ধরে গাযায় সব ধরনের যুদ্ধাপরাধ করা সহ নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে ২২০০০ এর অধিক নিরীহ শিশু ও নারী - পুরুষ হত্যা করেছে এবং তা অব্যাহত রেখেছে । পৃথিবী ব্যাপী শোষণ , বৈষম্য , লুটপাট এবং উগ্র বর্ণ ও শ্রেষ্ঠত্ববাদের প্রবক্তা হচ্ছে হযরত ঈসা মসীহের ( আ ) অনুসারী হওয়ার তথাকথিত দাবিদার এই পশ্চিমা দেশগুলো ( পাশ্চাত্য) । প্রকৃত ধর্ম ও ধার্মিকতার ( দ্বীনদারী ) ধারে কাছেও নেই পাশ্চাত্য । অবাধ অবৈধ যৌনতা , যিনা ও ব্যভিচার সয়লাব পাশ্চাত্য। পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণের এক বিরাট উল্লেখযোগ্য অংশ জারজ ( Bastard অর্থাৎ হারমযাদা অবৈধ সন্তান ) । ভোগবাদে আকণ্ঠ নিমজ্জিত পাশ্চাত্য। আর ভোগবাদ ও ইন্দ্রিয় পরায়নতা বস্তু বাদের সহজাত অমোঘ পরিণতি ও ফলাফল ছাড়া আর কিছুই নয় । এই ভোগবাদ ও ইন্দ্রিয় পরায়ণ হওয়ার জন্যই পাশ্চাত্য বিশ্বব্যাপী মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ও প্রকৃতির ধ্বংস ও বিনাশ করেই চলেছে যা মানব জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে। কারণ পাশ্চাত্য বস্তুবাদী শিক্ষা , যান্ত্রিক সভ্যতা , সংস্কৃতি, লাইভ স্টাইল , ভোগবাদ , মাত্রাতিরিক্ত ভোগ্যপণ্য উৎপাদন এবং লাগামহীন ও বল্গাহীন শিল্পায়ন এখন সমগ্র বিশ্বে প্রসার লাভ করেছে এবং প্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং - এর মতে ব্যাপক পরিবেশ দূষণ , প্রকৃতির ধ্বংস সাধন , বিশ্ব উষ্ণায়ন ( Global warming ) ইত্যাদির জন্য মানব জাতির অস্তিত্ব আগামী ১০০০ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে !!! আর পরিবেশ দূষণ ও প্রকৃতির ধ্বংস সাধন পাশ্চাত্য বস্তুবাদ , ভোগবাদ ও ইন্দ্রিয় পরায়নতা হতে উদ্ভূত লাগামহীন - বল্গাহীন শিল্পায়ন ও মাত্রাতিরিক্ত ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের কারণেই। তাহলে দেখা যাচ্ছে পাশ্চাত্য ( পশ্চিমা দেশগুলো ) বাস্তবে হযরত ঈসা মসীহের ( আ) প্রকৃত দ্বীন - ধর্ম ও আদর্শ হতে কত দূরে !!! এখানে কিছু প্রশ্ন : তাহলে খ্রিষ্টান ধর্মযাজক ও আলেম সম্প্রদায় কী করছে ? ভাবতে হবে যে তারা কেন বস্তুবাদী দুনিয়াদার পশ্চিমা রাষ্ট্র , দেশ ও সমাজ সমূহকে হযরত ঈসা মসীহের (আ) প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শের দিকে ফিরিয়ে আনছে না এবং কেন তাদের লাগাম টেনে ধরছে না বা ধরতে পারছে না ?!!

এ মহাপুরুষের জন্ম দিবসে শুধু নিছক আনন্দ উৎসব পালনই যথেষ্ট নয় বরং খ্রিষ্টান বিশ্বের উচিৎ হযরত ঈসা মসীহের ( আ ) প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শের দিকে প্রত্যাবর্তন । ইসলাম , পবিত্র কুরআন এবং মহানবী ( সা ) ও তাঁর পবিত্র আহলুল বাইতের (আ) শিক্ষা , সুন্নাহ , আদর্শ ও সীরাতেই নিহিত রয়েছে হযরত ঈসা মসীহ ( আ) সহ সকল নবী - রাসূলের ( আ ) প্রকৃত শিক্ষা , আদর্শ ও সীরত বরং ইসলামেই রয়েছে পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .