۲۴ آذر ۱۴۰۳ |۱۲ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 14, 2024
হুথি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার উদ্দেশ্যে তাক করা ১৪টি হুথি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে তারা।

হাওজা / মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার উদ্দেশ্যে তাক করা ১৪টি হুথি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে তারা।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার উদ্দেশ্যে তাক করা ১৪টি হুথি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে তারা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের 'বৈশ্বিক সন্ত্রাসী' হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এই হামলা চালায়।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, মার্কিন অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজে জঙ্গিদের চলমান হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। (হামলা)

হুথিরা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের জবাব হিসেবে গত বছরের নভেম্বরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা শুরু করে। তারপর বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জাহাজ চলাচলকারী নৌপথ লোহিত সাগরের বাণিজ্যিক ট্যাঙ্কারগুলিতে কয়েক ডজন হামলা চালায় তারা।

এতদসংক্রান্ত মন্তব্য :

মাযুরা অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই এক সপ্তাহে চতুর্থ বার হামলা চালিয়েও কি ইসরাইলের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজে ইয়ামানীদের হামলা ঠেকাতে ও বন্ধ করতে পেরেছে ? অন্যায় ভাবে অবরুদ্ধ , গণহত্যা ও হামলার শিকার গাযায় ইসরাইলের বর্বর সর্বাত্মক ও নির্বিচারে হামলা ও গণহত্যা বন্ধ হলেই ইয়ামান বাবুল মান্দাব ও লোহিত সাগরে ইসরাইলের সাথে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধ করবে । অথচ মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ইসরাইলের বর্বর নিষ্ঠুর নির্বিচারে হামলা ও গণহত্যা বন্ধ না করে ( বরং ইসরাইলকে এ হামলা , গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের সবুজ সংকেত দিয়ে ) মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও যুরা (যুক্তরাজ্য) উল্টো ও অন্যায় ভাবে ইয়ামানের ওপর হামলা চালাচ্ছে । আর এই মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) , যুরা ( যুক্তরাজ্য ) ও পশ্চিমা দেশ সমূহ গাযায় ইসরাইলের অন্যায় অপকর্ম ও যুদ্ধাপরাধে শরীক ও এক সমান অপরাধী।

ইয়ামানের হুথীরা মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) কর্তৃক ঘোষিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা দল নয় বরং এই মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও যুরাই ( যুক্তরাজ্য ) বৈশ্বিক ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদী । কারণ , এই দুই সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম চালিয়েছে ও চালিয়ে যাচ্ছে এবং অতীতে ও বর্তমানে শত শত মিলিয়ন মানুষ হত্যা ও মৃত্যুর কারণ হয়েছে এবং হচ্ছে । স্বয়ং হিলারী ক্লিনটনের স্বীকারোক্তি : আল-কায়দার মতো সন্ত্রাসী গ্রুপ ও দলগুলোর প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর ট্রাম্প তো বলেই ছিল : হিলারী ও ওবামাই সবচেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইসিসের ( দায়েশ ) প্রতিষ্ঠাতা । তাহলে মাযুরাই ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) হচ্ছে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী বরং সন্ত্রাসের গড ফাদার ও জনক ।

স্বয়ং এ দুই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র [ মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও যুরা (যুক্তরাজ্য ) মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র তথা গোটা বিশ্বের কেন্দ্র স্থল ) পশ্চিম এশিয়ার ( মধ্য প্রাচ্য ) কেন্দ্র বিন্দু ফিলিস্তীন জবরদখল করে সেখানে ফিলিস্তীনী জনগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা ও উচ্ছেদ করিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের গোড়াপত্তন করেছিল ১৯৪৮ সালে। আর তখন থেকে জবরলখলকারী দখলদার হানাদার অপরাধী সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী যায়নবাদী ইসরাইলীদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তীনী জাতি ও জনগণের জিহাদ ও মুক্তি সংগ্রাম চলছে যার ধারাবাহিকতায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাযার হামাস ও অন্য সকল ফিলিস্তীনী যোদ্ধা গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ তূফানুল আকসা অভিযান শুরু করে এবং দখলদার হানাদার অপরাধী অত্যাচারী যালেম ইসরাইল মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা (যুক্তরাজ্য) ও পশ্চিমা ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রত্যক্ষ সার্বিক সমর্থন ও মদদ পেয়ে ১০০ দিনের অধিক কাল ধরে গাযায় গণহত্যা , প্রজন্ম হত্যা , হত্যাযজ্ঞ সহ হরেক ধরণের যুদ্ধাপরাধ চালাচ্ছে এবং এ পর্যন্ত ২৪০০০ এর নিরাপরাধ শিশু , নারী ও পুরুষ হত্যা , ৬২০০০ এর অধিক আহত , ২৫ লাখ গাযাবাসীর মধ্যে ১৯ লাখের বেশি মানুষকে শরণার্থী এবং স্কুল , হাসপাতাল , মসজিদ , গির্জা সহ ৭০ % এর অধিক বসতবাড়ি ও অবকাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে এবং ১৭ বছর ধরে জলে স্থলে অন্তরিক্ষে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে রেখেছে গাযা ভূখণ্ডের ওপর। আর এই যুদ্ধে গাযাবাসীদের ওপর খাদ্য , পানি , ওষুধ , বিদ্যুত , জ্বালানি ও জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী সরবরাহ সহ এমনকি ইন্টারনেট পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে যুদ্ধাপরাধী বরং মানবতা বিরোধী চরম বর্ণ ও বৈষম্য বাদী ইসরাইল । এই ইসরাইল ফিলিস্তীনীদেরকে মানুষই মনে করে না বরং তাদেরকে মানব রূপী জীব , জানোয়ার ও জন্তু ভাবে যাদের হত্যা ও নিধন অন্যায় ও পাপ নয় ইসরাইলীদের দৃষ্টিতে এবং একই ভাবে পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে। ইসরাইলের এ অপরাধ সমূহ বন্ধ করার জন্যই ইয়ামানের হুথীরা ইসরাইলের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজ আটকিয়ে ও আক্রমণ করে কিভাবে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা ( যুক্তরাজ্য ) ও পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে বিশ্ব সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত হল ? এ তো সত্যের অপলাপ।

যে ইয়ামানীদের বিরুদ্ধে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা ( যুক্তরাজ্য )ও পশ্চিমাদের সার্বিক সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্ত তথাকথিত সৌদি - আমিরাতী ৩৩ জাতি জোট ৮ বছর প্রাণান্তকর যুদ্ধ , বিমান হামলা ও আগ্রাসন চালিয়ে দরিদ্র মুসলিম আরব দেশ ইয়ামানের অবকাঠামো ধ্বংস ও লক্ষাধিক বাসিন্দাকে হত্যা ও শহীদ করেও হারাতে পারে নি সেই ইয়ামানের লোম পর্যন্ত উঠাতে পারে নি ও পারবেও না মাযুরা ও যুরা কয়েক বার কয়েকটা ক্ষেপণাস্ত্র ছু্ড়ে ও বিমান হামলা করে । তার প্রমাণ হচ্ছে কয়েকবার টমাহোক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ও বিমান হামলা চালিয়ে ইসরাইলের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর ইয়ামানীদের হামলা বন্ধ হয় নি । ঠিক এখানেই বীর ইয়ামানীদের বীরত্ব ও ঈমানী সৎসাহস । বরং ইয়ামানের ওপর এ সব হামলা চালিয়ে গাযা - ইসরাইল যুদ্ধকে বিশ্ব পাপী ও সন্ত্রাসী মাযুরা ও যুরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধের রূপ দিতে চাচ্ছে ও চেষ্টা চালাচ্ছে। ইয়ামানীরা এ ক্ষেত্রে মোটেও দোষী নয় । দোষী আসলে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা ( যুক্তরাজ্য) । গাযায় ইসরাইলের আগ্রাসন , গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ থামিয়ে দিলেই তো বাবুল মান্দাব ও লোহিত সাগর সমস্যাও আর থাকবে না । কিন্তু সেটা না করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা ( যুক্তরাজ্য) নিজেদের জঘন্য সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থেই এ ধরণের সংকট ও সমস্যার অনলে আরো অধিক ঘি ঢালছে । তাই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা ( যুক্তরাজ্য ) ও পশ্চিমাদের প্রচার যুদ্ধ থেকে সাবধান হওয়া এবং প্রতারিত না

হওয়া একান্ত বাঞ্ছনীয়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .