۲۴ آذر ۱۴۰۳ |۱۲ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 14, 2024
করোনাকালে মুসলমানদের লাশ পোড়ানোর জন্য ক্ষমা চাইল শ্রীলঙ্কা সরকার
করোনাকালে মুসলমানদের লাশ দাফন না করে সৎকার করেছিল শ্রীলঙ্কা সরকার

হাওজা / শ্রীলঙ্কা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বাধ্যতামূলকভাবে মুসলিমদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে মন্ত্রিসভা

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা মহামারিকালে সৎকারের নিয়মে বাধ্যতামূলক লাশ পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়ায় মুসলিমদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে এই ক্ষমাপ্রার্থনা জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিসভা মহামারিকালে বাধ্যতামূলকভাবে লাশ পোড়ানোর সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তখন মুসলিম রীতিতে কবর দেওয়াকে নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছিল।

আনাদোলু এজেন্সি এবং ডেক্কান হেরাল্ডের খবরে বলা হয়, মহামারি যখন ভয়াবহ রূপ নেয় তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত মুসলিমদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কলম্বো। যদিও করোনায় মৃতদের মৃতদেহ ইসলামের রীতি মেনে দাফন করাকে নিরাপদ বলে জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এছাড়া মুসলিমদের লাশ ইসলামিক রীতি মেনে দাফন নিরাপদ বলে বিশেষজ্ঞরাও মতামত দিয়েছিলেন। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মুসলিমদের মৃতদেহ বাধ্যতামূলকভাবে পোড়ানোর নির্দেশ দেয় সরকার।

কোভিডকালে লাশ পোড়ানোর জন্য তৎকালীন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রশাসন আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল। একটি বইতে গোতাবায়া উল্লেখ করেছেন যে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই লাশ পোড়ানোর আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

পরবর্তীতে মুসলিম কাউন্সিল অব শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি হিলমি আহমেদ জানান, তারা এখন মেথথিকা বিথানেগে এবং চন্না জয়সুমানার বিরুদ্ধে মামলা করবেন, যারা লাশ পোড়ানোর নীতির পেছনে ছিলেন। এছাড়াও তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করবেন।

পরবর্তীতে গত সোমবার (২২ জুলাই) মন্ত্রিসভায় এই ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চান। শ্রীলঙ্কা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বাধ্যতামূলকভাবে মুসলিমদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে মন্ত্রিসভা।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .