۲۴ آذر ۱۴۰۳ |۱۲ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 14, 2024
ছবি: শেখ হাসিনা, মমতা ব্যানার্জি (মাঝে) ও এস. জয়সঙ্কর
ছবি: শেখ হাসিনা, মমতা ব্যানার্জি (মাঝে) ও এস. জয়সঙ্কর

হাওজা / কোটা আন্দোলন নিয়ে মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জির সম্প্রতিক মন্তব্যে তোলপাড়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জির সম্প্রতিক মন্তব্যে তোলপাড় চলছে। এ নিয়ে দিল্লির দ্বারস্ত হয়েছে ঢাকা। বিদেশ মন্ত্রকে নোট পাঠিয়ে তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এ নিয়ে কথা বলেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ‘বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরছে’ মর্মে এক্স হ্যান্ডেল-এ (টুইট) যে মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে বলতে চাই, তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, ঘনিষ্ট ও উষ্ণ। কিন্তু তার (মমতা ব্যানার্জী) এই বক্তব্যে বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ভারত সরকারকে নোট পাঠিয়েছি।” এদিকে মমতার মন্তব্য এবং এ নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংবাদ মাধ্যম রিপোর্ট করেছে। ‘অসহায় মানুষ খটখট করলে বাংলার দরজা খোলা’, বাংলাদেশ ইস্যুতে মন্তব্য মমতার শিরোনামে সংবাদ প্রতিদিন-এর রিপোর্টে বলা হয়, সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলনে জ্বলছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। গত তিন-চারদিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সেখানে। জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট, পথেঘাটে সাঁজোয়া গাড়ির টহল। প্রতিবেশী দেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে সতর্ক নয়াদিল্লিও।

ঢাকার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তারই মাঝে রোববার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছে, সংরক্ষণ ৩০ শতাংশ থেকে কমানো হয়েছে ৫ শতাংশে। রোববারই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘এনিয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই, যা বলার ভারত সরকারই বলবে। কিন্তু অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় খটখট করলে দরজা খোলা আছে, এটুকু আশ্বাস দিতে পারি।’ ওদিকে ‘বাংলাদেশে অস্বস্তিতে পড়ল ভারত, 'বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন', বার্তা ঢাকার’ শিরোনামে হিন্দুস্তান টাইসের রিপোর্টে বলা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বাংলাদেশে অস্বস্তিতে পড়ল ভারত সরকার।

শেখ হাসিনা সরকার কোনওরকম রাখঢাক না করে বলে দিল যে মমতা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উষ্মাপ্রকাশ করল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশে পড়ুয়াদের আন্দোলনের মধ্যেই অসহায় মানুষদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দেবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তাতেই বিরক্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের দ্বারস্থও হয়েছে ঢাকা। দিয়েছে ‘নোট’। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ইতিমধ্যে আমরা নোট দিয়ে ভারত সরকারকে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। এমনিতে মমতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মমতার মন্তব্যে একেবারেই প্রসন্ন হয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সেই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করার কোনও এখতিয়ারই নেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। ওই সূত্র বলেন, 'এগুলি এমন বিষয়, যেগুলি সামলায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তো কোনও এখতিয়ারই নেই। এসব মন্তব্য (মমতা যে কথা বলেছেন) সম্পূর্ণভাবে ভুল।’ কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সূত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতা কিছু বলেননি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও কিছু জানানো হয়নি।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .