হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রতি ঘণ্টায় গ্রিনল্যান্ড আইস শিটে ৩০ মিলিয়ন টন করে বরফ গলছে
‘শেষের সেই দিনের’ আশঙ্কাই যেন প্রবল হচ্ছে
৫০০ বছর পরের পৃথিবী। সালটা ২৫০০। উত্তর ও দক্ষিণ—দুই মেরুতে আর একটুও বরফের অস্তিত্ব নেই। সব বরফ গলে যাওয়ায় ভবিষ্যতের ওই পৃথিবীতে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে গিয়েছে ৭৬০০ মিটারের কাছাকাছি! যে দিকে নজর যায়, সমুদ্র। ডাঙার অস্তিত্বমাত্র নেই। মানুষের যে উত্তরপুরুষরা সেই জলময় পৃথিবীতে নানা রকমের জলযানে ভেসে বেড়ায়, ‘ডাঙা’ শব্দটাই তাঁদের কাছে কাল্পনিক এক ধারণা।
গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে গত তিন দশকে পৃথিবীর যে পরিবর্তন হয়েছে, বিজ্ঞানীদের মতে গত আড়াই হাজার বছরে তার নজির নেই।
১৯৯৩ থেকে ২০২৪—তিন দশকে সমুদ্রের জলস্তরের উচ্চতা বেড়েছে অন্তত ১০ সেন্টিমিটার।
গত কয়েক মাসে একাধিক আন্তর্জাতিক সেমিনারে পৃথিবীর নামকরা পরিবেশবিদ ও জলবায়ুবিজ্ঞানীরা এমনই কিছু কথাবার্তা শুনিয়েছেন, যাতে ‘শেষের সেই দিনের’ আশঙ্কাই যেন প্রবল হচ্ছে!
শুধু দক্ষিণ মেরুর থোয়েটস হিমবাহ পুরোটা গলে গেলে সমুদ্রের জলস্তর অন্তত তিন মিটার বেড়ে যাবে।
বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণী—বরফ গলার হার এমন জায়গায় গিয়েছে যে সব কিছু ‘ঠিক’ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নিতান্তই কম।
অতীতে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ঘটনা অনেক ঘটেছে। প্রকৃতি এগুলো সামলে নিতে পারবে।
যে বিষয়টা সত্যিই বিপজ্জনক সেটা হলো সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। আমরা দেখছি এখন সমুদ্রের জল ৭০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত গরম থাকছে। এই প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এখান থেকে কোনও ‘ওয়ে আউট’ আছে কি না সেটাই ভাবার।’
যে বিষয়টা সত্যিই বিপজ্জনক সেটা হলো সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। আমরা দেখছি এখন সমুদ্রের জল ৭০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত গরম থাকছে। এই প্রবণতা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এখান থেকে কোনও ‘ওয়ে আউট’ আছে কি না সেটাই ভাবার।’
ভারতের, বিশেষ করে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে জলস্তর বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্য বিপদের দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওই বিজ্ঞানী। তাঁর কথায়, ‘সুন্দরবনে একই সঙ্গে মাটি বসে যাচ্ছে। কাজেই ওখানে দু’দিক থেকেই বিপদ।’
চেষ্টা করেও গ্রিন হাউস গ্যাসের ব্যবহার আটকানো যায়নি।
আমাদের প্রত্যেককে গ্রিন হাউস গ্যাসের ব্যবহার কমানোর দায়িত্ব নিতে হবে। না হলে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেই তালিকায় আমাদের দেশ ( ভারত ) খুব উপরের দিকে থাকবে।’ কাজেই ‘শেষের সেই ভয়ঙ্কর দিন’ যে এগিয়ে আসছে, সেই আশঙ্কা পুরোমাত্রায় রয়েছে।
মন্তব্য :
যদি ভারতের ( অর্থাৎ পশ্চিম বঙ্গের)সুন্দর বনে যদি মাটি বসে ও দেবে যেতে থাকে এবং ভারত বিশেষ করে পশ্চিম বাংলা যদি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর তালিকায় খুব উপরের দিকে থাকে তাহলে বাংলাদেশের কী হবে ?!!! কারণ পলি মাটি দিয়ে গঠিত বদ্বীপ অঞ্চল হওয়ার জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত নীচু অঞ্চল ও সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে একটু সামান্য উঁচু । তাই যে অবস্থা ভারতের পশ্চিম বঙ্গের সুন্দর বনে বিরাজমান অর্থাৎ সেখানে মাটি বসে যাচ্ছে সেই একই ধরনের অবস্থা বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে হতে পারে অর্থাৎ মাটি বসে ও দেবে যেতে থাকবে !!
এ আশঙ্কা তো থাকছেই।
পৃথিবীর এ অবস্থার জন্য মানুষের আচরণ বিশেষ করে পশ্চিমাদের ( ইউরোপ ও পাশ্চাত্য) তথাকথিত রেনেসাঁ ও শিল্প ও প্রযুক্তি বিপ্লব এবং সমগ্র বিশ্ব ব্যাপী লাগামহীন নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাপক আধুনিক শিল্পায়ন ই বহুলাংশে দায়ী প্রকৃতি ও পরিবেশের দূষণ ও ধ্বংস সাধন করার জন্য । আর এই দূষণ ও ধ্বংস সাধনের জন্যই বৈশ্বিক উষ্ণায়ন হচ্ছে ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত গতিতে এবং অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মেরু বরফ গলে সমুদ্র তল ও পৃষ্ঠ বাড়িয়ে ও উঁচু করে দিচ্ছে।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান