হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গাজায় ইহুদিবাদী শাসকদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেছে যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য নেতানিয়াহুর উপর চাপ সৃষ্টি করা দরকার।
আল জাজিরার বরাত দিয়ে, আইআরএনএ জানিয়েছে যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় কৃষি জমি এবং আবাসিক ভবনগুলি অবৈধভাবে ধ্বংস করেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, বিশ্লেষণ, ভাষ্য এবং স্যাটেলাইট ছবি ও ভিডিও ক্লিপগুলো দেখায় যে, ইহুদিবাদী সেনাবাহিনী গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর ক্রমাগত হামলা ব্যাপক ধ্বংসের ইঙ্গিত দেয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জোর দিয়ে বলেছে যে তদন্তে প্রকাশিত হয়েছে যে কীভাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার আবাসিক এলাকাগুলিকে মারাত্মকভাবে ধ্বংস করেছে, হাজার হাজার পরিবারকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
এর আগে, জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (ইউএনআরডব্লিউএ) ঘোষণা করেছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার পূর্বে শুজায়া এলাকায় আবাসিক এলাকার ৩৫ শতাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েগেছে।
ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজা থেকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে, অন্যদিকে মানুষের মনে যুদ্ধের প্রভাব দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে না।
একইভাবে গাজার মেয়র বলেছেন যে ইহুদিবাদী সেনাবাহিনী গাজার পূর্বে শুজায়া এলাকায় আবাসিক এলাকার পঁয়ত্রিশ শতাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েগেছে।
তার বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইহুদিবাদী সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে।
এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার স্থাপনা, পানির উৎস, গাছপালা, স্কুল ও মাদ্রাসা, মসজিদ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সুযোগ-সুবিধাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।