হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান বা তার সমর্থিত গ্রুপগুলোর সঙ্গে আমেরিকা কোনো সংঘাতে যেতে চায় না বলে পেন্টাগনের মুখপাত্র পিট রাইডার ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
রাইডার বলেন, গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করে একটি বড় ধরনের যুদ্ধ ঠেকানোর লক্ষ্যে নিজের সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করেছে মার্কিন বাহিনী। তিনি জানান, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে এ অঞ্চলের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
অস্টিন তার সেনা কমান্ডারদের এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, ইরান বা তার প্রক্সি গ্রুপগুলো মধ্যপ্রাচ্যের চলমান পরিস্থিতির ‘অপব্যবহার’ করে যাতে সংঘাতের মাত্রা বাড়াতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জানান, অস্টিন বলেছেন, ইরান বা তার মিত্ররা যদি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা বা স্বার্থে আঘাত হানে তাহলে মার্কিন বাহিনীকে আত্মরক্ষার স্বার্থে যা কিছু করা প্রয়োজন তা করবে।
গাজা উপত্যকায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ভয়াবহ গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। মার্কিন সরকার এই গণহত্যায় তেল আবিবকে সব রকম সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিন বা লেবাননের ওপর একচেটিয়া আগ্রাসন চালায় তখন সাধারণভাবে ওয়াশিংটন নীরব থাকে। কিন্তু মধ্যপ্রচ্যে তৎপর প্রতিরোধ অক্ষ যখন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা করে তখন তাকে ওয়াশিংটন ‘উস্কানিমূলক তৎপরতা’ বা ‘যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়ার অপচেষ্টা’ বলে অভিহিত করে থাকে।