হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতাও রয়েছে। তবে অর্থনীতির মতো সামরিক শক্তিতেও মধ্যপ্রাচ্যের মোড়ল হওয়ার খায়েশ জেগেছে আমিরাতের। আর তাই, ওয়াশিংটনের ফুসলানিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে দেশটি।
তবে জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে স্থাপন করা সেই সম্পর্ক বেশি দিন সুখকর হয়নি। জানা যায়, আমিরাতের সাধারণ জনগণ, দেশটির নেতাদের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে। এবার লেবানন ইস্যুতে তথাকথিত বন্ধু ইসরায়েলের হাত ছাড়ল আমিরাত।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে লেবাননে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হয়। এতে শত শত লেবানিজের মৃত্যু হয়েছে। আর তাই এবার বৈরুতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমিরাত। শুক্রবার আবুধাবির বিখ্যাত সিটি টাওয়ারে ফুটে ওঠে লেবাননের পতাকার ছবি। লেবাননের পাশে দাঁড়াতে দেশব্যাপী এমন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ওই পতাকার প্রদর্শন করা হয়।
আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ওই ক্যাম্পেইনের নাম ‘লেবানন, তোমার পাশে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত’। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সেন্টার খোলা হয়েছে। এসব সেন্টারের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবীও।
যদিও আরব আমিরাতের এমন তৎপরতায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো মন্তব্য করেনি এবং আরব আমিরাতও নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেনি। তবে রাজনৈতিক বিশারদরা আরব আমিরাতের এমন কার্যক্রকম জনগণকে শান্ত রাখার প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছেন।
সূত্র: গাল্ফ নিউজ