হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ২০ জন নারীসহ ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ হামলায় ৮৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস। উদ্ধারকারী কর্মীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নীচে আরও অনেকে আটকা রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাবালিয়ার বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। খবর আল জাজিরা।
দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাবালিয়ায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, সেখানে পুনরায় সংগঠিত হয়েছিল হামাসের যোদ্ধারা। এছাড়া সেখানে বেসামরিক সরকারও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থিত হয়েছিল তারা।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাবালিয়ার আল-তওবাহ এলাকায় বাড়িতে পৃথক আরেক বোমা হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে।
জাবালিয়ার বাসিন্দারা জানান, ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো ক্যাম্পের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে। সেখান থেকেই শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে এবং প্রতিদিন কয়েক ডজন ভবন ধ্বংস করছে তারা। এছাড়া বিমান হামলা চলছে প্রতিনিয়ত।
ইতিমধ্যে এই শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় শত শত নিহত এবং কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের সামরিক অবরোধের কারণে উত্তর গাজা জুড়ে প্রায় চার লাখ মানুষ খাদ্য, পানি এবং ওষুধের চরম সংকটের মধ্যে আটকা পড়েছে।
গত এক বছর ধরে চলা ইসরায়েলি নির্বিচার বর্বর হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও এক লাখেরও বেশি মানুষ।