হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসী হামলার তীব্র নিন্দার পাশাপাশি ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর প্রতি হুশিয়ারি জানিয়েছেন দেশটির সুন্নি আলেম সমাজ। তারা পশ্চিম এশিয়ায় ইসরায়েলি ঔদ্ধত্ব ও ধ্বংসযজ্ঞের পেছনে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা মূল কারণ হিসেবে কাজ করছেন।
ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত সানান্দাজ শহরের জুমার নামাজের ইমাম ও বিশিষ্ট আলেম ওস্তাদ ফায়েক রুস্তামি এ সম্পর্কে বলেন, ইরান পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ শক্তি এবং বিশ্ববাসী ইরানের সামরিক শক্তিমত্তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছে। ইরানে আগ্রাসন চালিয়ে ইসরায়েল বাঘের লেজে পা দিয়েছে এবং নিঃসন্দেহে তাকে এজন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
ওস্তাদ রুস্তামি আরো বলেন, ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাস প্রমাণ করে যে, যেখানেই ইরানের ভূমিতে আগ্রাসন চালানো হয়েছে সেখানেই আগ্রাসী শক্তিকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে এখন ইরানের দাঁতভাঙা জবাবের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
ইরানের অপর প্রখ্যাত সুন্নি আলেম ও দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুস সালাম মোহাম্মাদি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ফিলিস্তিন, গাজা ও লেবানন বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। গাজা ও লেবাননে বর্তমানে গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলছে যা ইহুদিবাদী সরকারের বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা ও কুকর্মের বাস্তব উদাহরণ।
দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল নিজের সম্ভাব্য পতনের খবর জানে এবং তার আসন্ন ও অনিবার্য ধ্বংস সম্পর্কে অবগত রয়েছে। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের জেনে রাখা উচিত যে, ইরানের জনগণ, প্রতিরোধ অক্ষ, আলেম সমাজ ও মুসলিম চিন্তাবিদরা ইসলাম, বিপ্লব ও ফিলিস্তিনি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং তারা কোনো অবস্থায় ইরানের ভূমিতে কাউকে আগ্রাসন চালাতে দেবেন না।
এদিকে ইরানের কেরমানশাহ শহরের সুন্নি আলেম ও জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুর রহমান মোরাদি পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইসরায়েলি ঔদ্ধত্বের কারণ হিসেবে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতাকে দায়ী করে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে এই আগ্রাসী হামলার জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
ইরানের আরেক সুন্নি আলেম ও রাওয়ানসার শহরের জুমার নামাজের ইমাম মোহাম্মাদ মাহমুদিও ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন, অপরাধী ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে অনেক আগেই নিজের পাশবিক সত্ত্বাকে বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচনা করে দিয়েছে। এবার সে ইরানের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে, ইসরায়েল অপরাধযজ্ঞ ছাড়া আর কিছু চেনে না এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই।