হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের থেকে ভারতের অবস্থা আরও খারাপ বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি। তিনি বলেন, 'ভারতেও এরকম একই পরিস্থিতি আছে।' ভারতের সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
রশিদ আলভি বলেছেন, এটা ঠিক যে বাংলাদেশে হিন্দু ভাইদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। মন্দিরে হামলা চলছে। ভারতেও এরকম একই পরিস্থিতি আছে। গুজরাটে মসজিদ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। কবরস্থান উধাও হয়ে যাচ্ছে।
আর তিনি সেই মন্তব্য করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতির কথার প্রেক্ষিতে। তিনি বলেন, আজ আমি ভয় পাচ্ছি যে ১৯৪৭ সালে যেরকম পরিস্থিতি ছিল, সেদিকে আমাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যুব সম্প্রদায় যখন কর্মসংস্থানের কথা বলে, তখন তারা সেটা পায় না। আমাদের ভালো হাসপাতাল নেই। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো নয়। ওরা রাস্তার হাল ফেরাচ্ছে না। বরং মন্দিরের সন্ধানে মসজিদকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। সম্ভলে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কয়েকজন দোকানে কাজ করছিলেন। আর তাদের উপরে গুলি চালানো হয়েছে।
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার চলছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে অত্যাচার করা হচ্ছে। যদি ভারতেও সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চালানো হয়, তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে কী পার্থক্য আছে? আমি ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কোনও পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি না।
আর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা রশিদ বলেন, উত্তরাখণ্ড থেকে মসজিদ নিয়ে খবর সামনে আসছে। আমরা সম্ভলের ঘটনা দেখেছি। যেখানে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। আজমীর দরগা শরিফ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের থেকে এরকম পরিস্থিতি ভারতে আরও খারাপ।