۷ مهر ۱۴۰۳ |۲۴ ربیع‌الاول ۱۴۴۶ | Sep 28, 2024
এশীয় দেশগুলো
সন্তান জন্মদানের হার কমে যাওয়ায় এশীয় দেশগুলোকে নিজেদের সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা শক্তির ব্যাপারে ভাবিয়ে ও দুশ্চিন্তা গ্রস্ত করে তুলেছে।

হাওজা / সন্তান জন্মদানের হার কমে যাওয়ায় এশীয় দেশগুলোকে নিজেদের সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা শক্তির ব্যাপারে ভাবিয়ে ও দুশ্চিন্তা গ্রস্ত করে তুলেছে।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্তান জন্মদানের হার একদম তলানিতে চলে যাওয়ার দরুণ দক্ষিণ কোরিয়া , জাপান ও চীনের মতো এশীয় দেশগুলোকে নিজেদের সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা শক্তির ব্যাপারে ভাবিয়ে ও দুশ্চিন্তা গ্রস্ত করে তুলেছে।

এ খবর নিয়ে কিছু কথা :

প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য খাতে এআই ( কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি ব্যবহার করেও এবং অটোমেশনের ( স্বয়ংক্রিয়করণ ) মাধ্যমেও আসল সমস্যার সমাধান ( জনসংখ্যা হ্রাস ও জনশক্তির তীব্র ঘাটতির সংকটের স্থায়ী সমাধান ) হবে না। তবে সাময়িক সমাধান হয়তো হতে পারে। কেন ফার্টিলিটি রেট ( সন্তান জন্মদানের সক্ষমতার হার ) শিল্পোন্নত এশীয় দেশগুলোয় হ্রাস পাচ্ছে? শিল্পায়ন ভিত্তিক ক্যারিয়ারিজম ( ভালো ও উন্নত ক্যারিয়ার গড়ে তোলার উদগ্র বাসনা ও প্রবণতা ) ঐ সব শিল্পোন্নত দেশগুলোর যুবক যুবতীদের বিয়ে শাদী ও সন্তান নেওয়ার আগ্রহ তীব্র ভাবে কমিয়ে দিয়েছে এবং এমনকি ঐ সব দেশ তীব্র জনশক্তি ঘাটতির কারণে সেনা শক্তি ও দেশ প্রতিরক্ষা পর্যন্ত হারাতে বসেছে ! জনসংখ্যা ও সন্তান জন্মদানের হার হ্রাস ভবিষ্যতে ও সব দেশের জন্য দারিদ্র বয়ে আনবে ও তাদের অর্থনৈতিক বিপর্যয়েরও কারণ হবে একদিকে উৎপাদনশীল জনশক্তি খুব তীব্র ঘাটতির সম্মুখীন হবে এবং ঠিক অন্য দিকে অনুৎপাদনশীল বিশাল বয়স্ক ও বৃদ্ধ জনসংখ্যা বেড়ে যাবে যাদের ভরণপোষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে বিশাল মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হবে ঐ সব দেশকে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে জনসংখ্যার স্বল্পতা ও ঘাটতি পরিণতিতে দারিদ্র ও নিরাপত্তাহীনতাই সৃষ্টি করে । (প্রতিরক্ষা শক্তি)

আর অবাধ মেলামেশা ও গর্ভধারণ নিরোধক ওষুধ ও সামগ্রী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ও প্রক্রিয়াকে আরো মারাত্মক প্রভাবিত করছে ও সব দেশে। বর্ধিত শিল্প পণ্য উৎপাদন সন্তান জন্মদানের স্থান দখল করে নিয়েছে ও সব দেশে ! আর মাত্রাতিরিক্ত নিত্য নতুন রাসায়নিক পণ্য সামগ্রী ও ওষুধ উৎপাদন ও ব্যবহার ঐ সব দেশের জনগণের এক বিশাল বিরাট অংশের বন্ধ্যাত্বের কারণও হতে পারে !!

মোট কথা আধুনিক লাইফস্টাইল এ সব শিল্পোন্নত দেশগুলোর সন্তান জন্মদানের নিম্নমুখী হার ও জনসংখ্যা হ্রাসের এক অন্যতম প্রধান কারণ।

উদগ্র ক্যারিয়ারিজম ও আধুনিক লাইফস্টাইল এবং জনস্বাস্থ্য বিধ্বংসী ও প্রকৃতি দূষণকারী শিল্প থেকে বের হতে না পারলে ও সব দেশ কেন সমগ্র মানব জাতি এ সমস্যা কবলিত হয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে !!! এই তীব্র নিম্নমুখী জন্মহার গর্বিত আধুনিক মানব জাতির মহাবিলুপ্তির পূর্বাভাস নয় কি? কৃত্রিম এবং প্রকৃতি - পরিবেশ বিনাশী সমাধান আনলে আসলে কাজের কাজ হবে না । এই জন্মহার হ্রাস ও জনসংখ্যার পতন অব্যাহত থাকবেই । আধুনিক শিল্প ও প্রযুক্তি নির্ভর লাইফস্টাইল, সংস্কৃতি ও সভ্যতার তীব্র কুফল ও নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রায় দেড়শো বছর পরে এসে আজ প্রকাশ পাচ্ছে যা এমনকি ৫০-৬০ বছর আগেও চিন্তা করা যেত না । তখন যদি কেউ এই শিল্পায়ন , প্রযুক্তির মাত্রাতিরিক্ত ও যথেচ্ছা ব্যবহার এবং আধুনিক লাইফস্টাইলের কুফল ও নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বললেই ব্যস অমনি তাকে সেকেলে , কুসংস্কারাচ্ছন্ন , পশ্চাদপর , গণ্ড মুর্খ ও বিজ্ঞান বিরোধী ইত্যাদি বলে দমিয়ে দেওয়া হত । অনেক দেশে জোর ও বল প্রয়োগ করে আধুনিকতা এবং তথাকথিত আধুনিক শিল্প ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটানো হয়েছে দেশীয় প্রকৃতিবান্ধব শিল্প ও প্রযুক্তির উচ্ছেদ করে । আধুনিক এ শিলপায়ন ও প্রযুক্তির বিকাশের এত সব ভয়াবহ ও ভয়ানক পরিণতি আর কিছু দিনের মধ্যেই যে মানবজাতিকে রাহুগ্রাস করবে

তা তখন স্বপ্নেও ভাবে নি আধুনিক শিল্প ও প্রযুক্তির উদ্যোক্তা ও দিকপালরা । এখন এই আধুনিকতা এবং শিল্প ও প্রযুক্তি প্রকৃতি - পরিবেশ বৈরী হওয়ার কারণে বালা - ই জান ( জীবন প্রাণের জন্য মারাত্মক হুমকি ও বিপদ ) হয়ে গেছে সমগ্র মানব জাতির জন্য !!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .