হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: উত্তম আচার-আচরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত
সম্পর্কে জনাব রাসেল আহমেদ রিজভী হাওজা নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন:
আমরা অনেকে মনে করে থাকি কেবল নামাজ-রোজাই বুঝি ইবাদত। আসলে ইবাদত বিষয়টা কেবল নামাজ-রোজাতে সীমাবদ্ধ নয়। নামাজ-রোজার মতোই মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার গুরুত্বপূর্ন ইবাদত।
পবিত্র কুরআন মাজিদের সূরা নিসার ৩৬ নম্বর আয়াতে এ বিষেয়ে আল্লাহ বলেন,
وَاعْبُدُوا اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا وَبِذِي الْقُرْبَىٰ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَىٰ وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنبِ وَابْنِ السَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخْتَالًا فَخُورًا.
অর্থাৎ "তোমরা এক আল্লাহর এবাদত করো, কোনো কিছুকেই তার সঙ্গে শরিক করো না এবং মা-বাবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো আর (ভালো ব্যবহার করো) যারা তোমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, এতিম, মিসকিন, নিকটাত্মীয়ের প্রতিবেশী এবং নিকট প্রতিবেশী এবং পাশে বসা লোক এবং পথিক, আর যে ব্যক্তি তোমরা অধীনে আছে তাদের সবার প্রতি।
(তবে মনে রেখো) কোনো ধরনের অহংকারীকেই আল্লাহ পছন্দ করেন না।"
তিনি বলেন: প্রথমে এ আয়াতে আল্লাহপাক একমাত্র আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করার আদেশ দিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে শিরক করতে নিষেধ করেছেন। এ দুটি জিনিস ঈমান আনার পর অনেক বড় ইবাদত। কিন্তু এই সঙ্গে মা-বাবার প্রতি সুন্দর আচরণ, তাদের প্রতি মার্জিত ব্যবহার ও খেদমতও বড় একটি ইবাদত। যাকে কুরআনের ভাষায় বলা হয়েছে, ‘ওয়াবিল ওয়ালিদাইনি ইহসানা'!
রাসেল আহমেদ বলেন: এমন অনেক লোক আছেন, যারা নামাজ-রোজা করেন ঠিকই। কিন্তু মা-বাবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাদের কথা মান্য করেন না! তারা হয়ত জানেন না যে, মা-বাবার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করাও একটি ইবাদত। তাদের সাথে খারাপ আচরণ আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ। পিতা-মাতার সন্তুষ্টির উপর আল্লাহর সন্তুষ্টি নির্ভরশীল। …চলবে…