۲۲ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۳ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 11, 2024
আফগান নাগরিকের কর্তিত মাথার খুলির বরাবরে নিজের উত্থিত পুরুষাঙ্গ ( লিঙ্গ ) প্রদর্শন করে   ছবি তুলেছে
আফগান নাগরিকের কর্তিত মাথার খুলির বরাবরে নিজের উত্থিত পুরুষাঙ্গ ( লিঙ্গ ) প্রদর্শন করে ছবি তুলেছে

হাওজা / সভ্য হওয়ার দাবিদার ও মানবতার ধ্বজাধারী কানাডায় গতকাল আরো ১৬০ জন নিহত আদিবাসী শিশুর গোপন অচিহ্নিত কবর আবিষ্কৃত হয়েছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পাশ্চাত্য যে কত জঘন্য , অমানবিক , অমানুষ , বদমাশ , লম্পট , লুচ্চা - হারাম যাদা , উদ্ধত , অতি বেহায়া বেশরম ( নির্লজ্জ ) চরিত্রহীন , চরম ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষী যে এক জার্মান সৈন্য এক নিহত আফগান নাগরিকের কর্তিত মাথার খুলির বরাবরে নিজের উত্থিত পুরুষাঙ্গ ( লিঙ্গ ) প্রদর্শন করে   ছবি তুলেছে !!!

এ রিপোর্ট থেকে প্রমাণিত হয় যে পাশ্চাত্য আসলে পশুর চেয়েও অধম ও নীচ ।

আসলে এটাই হচ্ছে পাশ্চাত্যের প্রকৃত স্বরূপ । সভ্য হওয়ার দাবিদার ও মানবতার ধ্বজাধারী কানাডায় গতকাল আরো ১৬০ জন নিহত আদিবাসী শিশুর গোপন অচিহ্নিত কবর আবিষ্কৃত হয়েছে !!! দুর্নীতি , বর্বরতা ও মানব হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে আসলে জার্মান , ব্রিটিশ , ফরাসী , ইতালীয় ( ল্যাটিন ) , গ্রীক , স্প্যানিশ , পর্তুগিজ , স্ল্যাভের ( রুশ , সার্ব ) মধ্যে কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই ।

ঠিক তেমনি অপরাধ ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে ডান - বাম , ধনতন্ত্রপন্থী ও  সমাজতন্ত্রপন্থী (সাম্যবাদী )দের মধ্যেও মৌলিক কোনো তফাত নেই !! এই উভয় গোষ্ঠী ইউরোপে , আমেরিকায় , আফ্রিকায় , এশিয়ায় , অস্ট্রেলিয়ায় জঘন্য সব অপরাধ , দুর্নীতি , শোষণ অন্যায় অত্যাচার অনাচার , কোটি কোটি মানুষ হত্যা করেছে এবং এখনও তাদের হাত রক্ত রঞ্জিত।

 আর তাদের হাত থেকে এখনো রক্ত ঝরছে অবিরত । এদের সবার চরিত্র একটাই আর সেটা হচ্ছে যে এরা সবাই রক্ত পিপাসু রক্তচোষা ড্রাকুলা । পাশ্চাত্য প্রাচ্য আসলে রেনেসন্সোত্তর বস্তুবাদী ইউরোপীয় সভ্যতা ও ব্যবস্থারই উত্তরসূরী ।

 তাই গণতন্ত্র , ধনতন্ত্র , উদারতন্ত্র ( লিবারেলিজম ) , ধর্মনিরপেক্ষতা , বস্তুবাদ , ফিউডালিজম ( সামন্তবাদ ) , সমাজতন্ত্র , সাম্যবাদ  , ফ্যাসিবাদ , জাতীযতাবাদ ইত্যাদি রেনেসন্সোত্তর ইউরোপের বস্তাপচা বস্তুবাদী সভ্যতার অন্ত:সারশূন্য মাকাল ফল ছাড়া আর কিছু নয় । আমাদের উচিত তথাকথিত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যকে

ভালোভাবে চেনা । ভৌগলিক অর্থের প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য আমার মানযূর ( উদ্দেশ্য ) নয় । আমার মানযূর ( উদ্দেশ্য ) বলশেভিক বিপ্লবের পরে বিশ্বকে যে পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য ব্লকে বিভক্ত করা হয়েছিল তা । আসলে এই পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য রেনেসন্সোত্তর ইউরোপীয় সেক্যুলার বস্তুবাদের ই ফসল ।

 ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ও অন্ধ গোড়ামীর সাথে জাতীয়তাবাদ ও অন্ধ বস্তুবাদী গোড়ামীর কোনো পার্থক্য আছে কি ? উভয় ক্ষেত্রেই গোড়ামী ও সাম্প্রদায়িকতার ফল হচ্ছে পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি মানুষ হত্যা । ধর্মকে কেন্দ্র করে যেমন সাম্প্রদায়িকতা ও সংকীর্ণতা হয় ঠিক তেমনি জাতীয়তাবাদও এক ধরণের ভাষা - জাতিগোত্রগত সাম্প্রদায়িকতা ও সংকীর্ণতা ।

 বরং ধর্ম যেমন ইব্রাহীমী ধর্ম সমূহ : ইসলাম ও খ্রিষ্টধর্ম বিভিন্ন ভাষা , মানবগোষ্ঠী , গোত্র ও জাতিসমূহের মাঝে বিশ্ব পরিসরে পারে মানবজাতির মধ্যে সত্যিকারের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে এবং এই দুই ধর্মে ( ইসলাম ও খ্রিষ্ট ধর্ম ) শ্রেণী বৈষম্য নেই  ( ইব্রাহীমী ধর্মের বাইরে বৌদ্ধ ধর্মেও শ্রেণী বৈষম্য নেই ) ; কিন্তু জাতীয়তাবাদ মানবজাতির মাঝে প্রকৃত ঐক্য না এনে বরং জাতিসমূহের মাঝে বৈষম্য , অনৈক্য , বিরোধ , সংঘর্ষ ও সংঘাত তৈরি করে যার প্রমাণ গত বিংশ শতাব্দীতে দুই দুটো বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম এক কারণ ছিল জাতীয়তাবাদ ।

 তাই ধর্ম পারে বৃহত্তর পরিসরে বিভিন্ন জাতি , দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করতে । কিন্তু জাতীয়তাবাদ তা পারে না । জাতীয়তাবাদ পারে জাতিসমূহের মাঝে স্বাতন্ত্র্য বোধের উদ্ভব ঘটিয়ে পরষ্পর পৃথক করতে । তাই তা জাতিসমূহের ঐক্য পরিপন্থী।

রেনেসন্সোত্তর ইউরোপ আসলে জাতীয়তাবাদের উদ্ভব ঘটিয়ে কার্যত : মানবজাতির ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট করেছে । আর দ্বীন বা ধর্মসমূহের সাথে যদি জাতিসমূহ সঠিক পরিচিতি লাভ করে তাহলে যে  ধর্ম অন্য সকল ধর্মের চেয়ে সবদিক থেকে পূর্ণাঙ্গ ও শ্রেষ্ঠ বিশ্বের জাতিসমূহ পরিণতিতে সেই পূর্ণাঙ্গ ও শ্রেষ্ঠ ধর্মটি গ্রহণ করবে এবং এভাবে ধর্ম তখন সক্ষম হবে বিশ্বব্যাপী মানবজাতির ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব বাস্তবায়ন করতে ।

লেখা: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .