۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
পবিত্র কোরআনের সঙ্গে আহলে বাইতের সম্পর্ক
পবিত্র কোরআনের সঙ্গে আহলে বাইতের সম্পর্ক

হাওজা / প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পরিবারের কিছুসংখ্যক সদস্যকে আহলে বাইত বলা হয়েছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ৪- ইবনে হাজার হাইসামি (একজন প্রসিদ্ধ সুন্নী আলেম) এ ব্যাপারে বলেছেন যে, উল্লিখিত হাদীসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেরও অধিক সংখ্যক সাহাবী এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই হাদীসটি বিদায় হজ্জ্বের সময় অথবা আরাফার দিনে স্বয়ং নবীর মুখ থেকে শুনেছেন এবং বর্ণনা করেছেন ।

কেউ কেউ বলেছেন নবী (সাঃ) তাঁর অসুস্থতার সময় বেশ কিছু সংখ্যক সাহাবীর সমাবেশে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। অন্য দল বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাঃ) তায়েফ থেকে ফেরার পর একটা বক্তৃতা দেন এবং সেখানেও এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

কোরআন এবং আহলে বাইতের মধ্যে বিদ্যমান চিরস্থায়ী ও দৃঢ় বন্ধনের পেছনে একটা সূক্ষ্ণ ঐশী পরিকল্পনা রয়েছে। কোরআনের কিছু কিছু আয়াত সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেছে যে, সকল যুগের ঐশী বাণীসমূহ দুটো বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিল।

প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সবসময় আল্লাহর ঐশী বাণী সে যুগের নবীর মাতৃভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। আর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই ওহীর পাশাপাশি একজন নির্ভরযোগ্য মানুষ ছিলেন, যিনি আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের অধিকারী এবং যিনি আল্লাহর দ্বীনকে এর সকল দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তমরূপে বর্ণনা করতে পারেন, সেই সাথে অদৃশ্যেরও জ্ঞান রাখেন।

অন্যদিকে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ পবিত্রতার অধিকারী এবং কু প্রবৃত্তি ও শয়তানের প্ররোচনায় কখনও প্রভাবিত হন না। আল্লাহর ওহী প্রচার এবং প্রসারের দায়িত্ব ছাড়াও তা বর্ণনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন।

আর অনুকূল পরিস্থিতিতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা এবং ইসলামী বিধানকে প্রতিষ্ঠা করা, বিশ্বে ন্যায়বিচার ও সত্য প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির দায়িত্বও তারা পালন করে থাকেন। সর্বোপরি তারা হচ্ছেন ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির দিশারী।

পবিত্র কোরআনে এব্যাপারে বলা হয়েছে যে :

وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلاَّ بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ

‘আমি প্রত্যেক রাসুলকে কেবল তাঁর স্বজাতির ভাষায়ই প্রেরণ করেছি যাতে করে সে তাদের জন্য (আমার বাণী) সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে। (ইব্রাহীম:৪)

পবিত্র কোরআনেও নবী (সাঃ) এর এই দায়িত্ব সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন :

 وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ

‘তোমার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করেছি যাতে করে যা কিছু মানুষদের জন্য পাঠানো হয়েছে, তা তুমি তাদের জন্য সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণনা কর; হয়তো তারা চিন্তা ভাবনা করবে।’ (নাহল:৪৪)…চলবে…

লেখকঃ মো. ফয়সাল বারী

تبصرہ ارسال

You are replying to: .