۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
রাসেল আহমেদ রিজভী
রাসেল আহমেদ রিজভী

হাওজা / ড. খালিদ নাউফিল নামে জর্দানের শরিয়াত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সাথে ছাত্রের মুনাযিরা।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ৩- যখন আমাদের আলােচনা এ পর্যায়ে পৌছালাে তখন শিক্ষক মশাই আমার এই যুক্তিযুক্ত বক্তব্যের সম্মুখে চুপসে গেলেন। আর এই সুযােগে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, এখন আমরা আমাদের আলােচনার প্রথম পর্যায়ে ফিরে যাই।

আপনি স্বীকার করেছেন যে, নবী (সাঃ) বলেছেন, আমার পরে আমার খলিফাগণের সংখ্যা হচ্ছে বারজন এবং তারা সকলেই হবেন কুরাইশ বংশ থেকে।" আর আমি আপনাকে ঐ বারজনের নাম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বলেছি। এখন আমি আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করছি যে, আপনার দৃষ্টিতে এই বারজন কারা? "

শিক্ষকঃ উক্ত বারজন হচ্ছেন যথাক্রমে ৪ চারজন খলিফা যথাক্রমে হযরত আবু বকর, ওমর, উসমান ও আলী (রাঃ)। তারপর হাসান (রাঃ) ও মুয়াবিয়া এবং ইবনে যুবাইর ও ওমর ইবনে আব্দুল আযিয। মাহদী আব্বাসী (তৃতীয় আব্বাসীয় খলিফা) এবং তাহের আব্বাসীকেও উল্লেখ করা যেতে পারে। আসলে সত্যিকার অর্থে আমাদের কাছে এই বারজনের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। আর এ ব্যাপারে আমাদের আলেমগণের কথাবার্তাও এলােমেলাে।

ছাত্রঃ নবী করীম (সাঃ) হাদীসে সাকালাইনে (যা সকল মুসলমানই গ্রহণ করে থাকেন) বলেছেন,

اني تركت فيكم الثقلين : كتاب الله و عترتي، اهل بیت

"আমি তােমাদের মাঝে দু'টি মূল্যবান বস্তু রেখে যাচ্ছি, যার একটি হচ্ছে আল্লাহ কিতাব (কোরআন) ও অপরটি হচ্ছে আমার আহলে বাইত। যদি তােমরা এ দুটিকে আকড়ে ধর তবে কখনােই গােমরাহ হবে না।"

[মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড-৪, পৃঃ- ৩৬৭; সহীহ্ মুসলিম, খণ্ড-২, পৃঃ-২৩৮; সহীহ্ তিরমিযী, খণ্ড-৭, পৃঃ-১১২; কানযুল উম্মাল, খণ্ড-৭, পৃঃ-১১২ ও ...!]

আর এটা পরিস্কার যে, হযরত আবু বকর, ওমর, উসমান এবং ইবনে যুবাইর, ওমর ইবনে আব্দুল আযিয ও মাহদী আব্বাসী নবীর (সাঃ) আহলে বাইতের মধ্যে গণ্য নয়। সুতরাং এই হাদীসের আলােকে বারজন খলিফার ব্যাপারে আমরা অন্ধকারের মধ্যেই থাকবো। যারা নবীর (সাঃ) ইতরাতের মধ্যে গণ্য শিয়াদের বিশ্বাস মতে হযরত আলী (আঃ) থেকে হযরত মাহদী (আঃ) পর্যন্ত তারাই হচ্ছেন বারজন খলিফা। …চলবে…

সংগ্রহ ও সংকলনঃ রাসেল আহমেদ রিজভী

تبصرہ ارسال

You are replying to: .