۱۵ آبان ۱۴۰۳ |۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 5, 2024
নূর হোসাইন মাজিদি,বিশিষ্ট ইসলামিক লেখক ও গভেষক
নূর হোসাইন মাজিদি,বিশিষ্ট ইসলামিক লেখক ও গভেষক

হাওজা / হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ) ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করা জায়েয গণ্য করেননি, অন্যদিকে বাস্তবতার আলোকে তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভ্যুত্থান করাও সঠিক বলে মনে করেননি।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামের ইতিহাসে ত্বাগূতী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মু‘আাভীয়াহ্ স্বীয় মৃত্যুর আগেই ফাসেক্ব ইয়াযীদ (লা‘নাতুল্লাহ্ ‘আলাইহে)কে যুবরাজ (ভবিষ্যত খলীফাহ্‏) মনোনীত করেন এবং তার অনুকূলে নরমে-গরমে (পরবর্তীকালে যে নীতি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে Carrot and Stick হিসেবে খ্যাত হয়) প্রভাবশালী মুসলমানদের কাছ থেকে বাই‘আত্ গ্রহণ করেন। কেবল হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ) ও তাঁর একনিষ্ঠ অনুসারীগণ, ‘আবদুল্লাহ্ ইবনে যুবাইর্ ও তাঁর সমর্থকগণ এবং ‘আবদুল্লাহ্ ইবনে ‘উমার্ ছিলেন ব্যতিক্রম। এ সময় মদীনাহর লোকেরা যাদের মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক ছিলেন বহুলপ্রচলিত সংজ্ঞার ছাহাবী সেখানে অবস্থানরত হযরত ইমাম হোসেনের (‘আঃ) মতামতের তোয়াক্কা না করে ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করেন।

ইয়াযীদ (লা,‘আ.) খলীফাহর পদ দখল করার পর হযরত ইমাম হোসেনের (‘আঃ) কাছ থেকে বাই‘আত্ আদায় করার জন্য মদীনাহর উমাইয়াহ্ প্রশাসককে নির্দেশ দেয়। হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ) ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করা জায়েয গণ্য করেননি, অন্যদিকে বাস্তবতার আলোকে তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভ্যুত্থান করাও সঠিক বলে মনে করেননি। তাই তিনি সংঘাত এড়াবার জন্য রাতের আঁধারে পরিবারের সদস্যবর্গ ও একনিষ্ঠ অনুসারীগণ সহ মক্কাহর উদ্দেশে মদীনাহ্ ত্যাগ করেন। এ সময় ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আতকারী মদীনাহর ছাহাবীগণ তাঁকে মদীনাহ্ ত্যাগ করে যেতে নিষেধ করেন। কিন্তু তাঁদের এ কথার অর্থ ছিলো ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করা বা বানী উমাইয়াহর প্রশাসকের হাতে নিহত হওয়া বা অসময়োচিত সশস্ত্র অভ্যুত্থান করে অযথাই একনিষ্ঠ মুসলমানদের রক্তপাত ঘটানো। তাই তিনি তাঁদের মতামত প্রত্যাখ্যান করেন এবং মদীনাহ্ ত্যাগ করার পর থেকে মক্কায় ও কারবালায় পৌঁছা পর্যন্ত পথে পথে এবং মক্কায় থাকাকালে লোকদেরকে হুকূমাতের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন করার দায়িত্ব পালন করেন।

হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ) মক্কায় থাকাকালে কূফাহর লোকেরা তাঁকে সেখানে গিয়ে তাদেরকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য দাও‘আত্ করে একের পর এক পত্র পাঠাতে থাকে। অন্যদিকে ইয়াযীদ (লা.‘আ.) হযরত ইমামকে (‘আঃ) হজ্ব যাত্রীদের ভীড়ের মধ্যে হত্যা করার জন্য মক্কায় গুপ্তঘাতক পাঠায়। হযরত ইমাম (‘আঃ) পবিত্র ভূমিতে রক্তপাত এড়াবার উদ্দেশ্যে হজ্বের আগের দিন আটই জিলহজ্ব পরিবারের সদস্যবর্গ ও একনিষ্ঠ অনুসারীগণ সহ কূফাহর উদ্দেশে মক্কাহ্ ত্যাগ করেন। কিন্তু কারবালায় উপনীত হওয়ার পর তিনি দেখতে পেলেন যে, কূফাহর লোকেরা তাদের মত পরিবর্তন করেছে এবং ইয়াযীদের (লা.‘আ.) বাহিনীতে শামিল হয়ে কারবালায় এসেছে। এমতাবস্থায় তাঁর ওপর কূফাহ্-বাসীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেখানে যাওয়ার কোনো নৈতিক দায়িত্ব থাকলো না। তাই তিনি যেখান থেকে এসেছেন সেখানে ফিরে যাবেন বা মুসলমানদের ভূখণ্ডের বাইরে হিজরত করবেন বলে প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু ইয়াযীদের (লা.‘আ.) নির্দেশ ছিলো তাঁর কাছ থেকে বাই‘আত্ আদায় করা বা তাঁকে হত্যা করা। তাই ইয়াযীদী বাহনী (লা.‘আ.) তাঁর উভয় বিকল্প প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করে। শুধু তা-ই নয়, তারা হযরত ইমামকে (‘আঃ) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ ও একনিষ্ঠ অনুসারীগণকে পিপাসানিবৃত্তির পানি বন্ধ করে দিয়ে নতি স্বীকারে বাধ্য করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়।

হযরত ইমাম হোসেন (‘আঃ) ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করেননি, তাই বাই‘আত্ ভঙ্গ করার প্রশ্নও ছিলো না। তিনি সশস্ত্র অভ্যুত্থানও করেননি এবং যুদ্ধ করার কোনো প্রস্তুতিও তাঁর ছিলো না। তিনি শুধু তাঁর মত প্রকাশ করছিলেন যে ধরনের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এ যুগের ধর্মসম্পর্কহীন (সেক্যুলার) ও মুশরিক্ শাসিত দেশগুলোতেও আছে, কিন্তু ইয়াযীদের (লা.‘আ.) স্বৈরাচারী ত্বাগূতী রাজতান্ত্রিক শাসনে মত প্রকাশের সে ন্যূনতম স্বাধীনতাটুকুও ছিলো না। এমনকি তাঁকে দেশত্যাগের সুযোগও দেয়া হলো না, বরং তারা একমাত্র গুরুতর অসুস্থ হযরত ইমাম যায়নুল্ ‘আাবেদীন্ (‘আঃ) ব্যতীত হযরত ইমাম হোসেনকে (‘আঃ) তাঁর পরিবারের সকল পুরুষ সদস্য ও একনিষ্ঠ অনুসারীগণ সহ নির্মমভাবে হত্যা করে যে ধরনের কাপুরুষোচিত হত্যাকান্ড মানব প্রজাতির ইতিহাসে আগে-পরে দ্বিতীয়টি ঘটেনি।

হযরত ইমাম হোসেনের (‘আঃ) শাহাদাতের ঘটনার পর ‘আবদুল্লাহ্ ইবনে যুবাইর্ মক্কায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বানী উমাইয়াহর নিয়ন্ত্রণাধীন থেকে বহু এলাকা দখল করে নেন। কিন্তু আহলে বাইতের (‘আঃ) প্রতি বিদ্বেষের কারণে আহলে বাইতের (‘আঃ) ভক্ত মুখতার্ ছাক্বাফীকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কূফাহর প্রশাসক পদ প্রদান ও স্বীয় হুকূমাতের শক্তি হিসেবে কাজে লাগাবার পরিবর্তে মুখতারের ক্ষমতা ও প্রভাব খর্ব করার এবং তাঁকে হত্যা করার জন্য শক্তিক্ষয় করার পরিণামে ‘আবদুল্লাহ্ ইবনে যুবাইরের হুকূমাত্ বেশীদিন টিকে থাকেনি। উমাইয়াহ্ শাসক ‘আবদুল্ মালেক্ বিন্ মারওয়ান্ (লা.‘আ.) হিজরী ৭৩ সালে মেনজানিক্ থেকে প্রস্তর ও অগ্নিগোলক নিক্ষেপ করে মসজিদুল্ হারাম্ ও কা‘বাহর ক্ষতিসাধন করে ‘আবদুল্লাহ্ ইবনে যুবাইরকে হত্যা করে।

অন্যদিকে ইয়াযীদ (লা.‘আ.) খলীফাহর পদ দখল করার পর প্রায় পুরো পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্য করে ‘আবদুল্লাহ্ ইবনে ‘উমার্ ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করেন। তিনি অবশ্য ইয়াযীদের (লা.‘আ.) ওপর প্রভাব খাঁটিয়ে দু’একটি ভালো কাজ করতে পেরেছিলেন, বিশেষ করে তাঁর পত্রের ভিত্তিতে ইয়াযীদের (লা.‘আ.) নির্দেশে মুখতার্ ছাক্বাফীকে কূফাহর কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছিলো এবং এরপর মুখতার্ ছাক্বাফী কারবালার সকল খলনায়ককে হত্যা করতে পেরেছিলেন; কেবল ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অচিরেই মৃত্যু ঘটায় মুখতারের হাত তার পর্যন্ত পৌঁছেনি।

কতক নির্বোধ লোক মনে করে যে, মদীনাহ-বাসী বহুলপ্রচলিত সংজ্ঞার যে সব ছাহাবী হযরত ইমাম হোসেনকে (‘আঃ) মদীনাহ্ ত্যাগ করতে নিষেধ করেছিলেন তাঁদের কথা না শুনে তিনি ভুল করেছিলেন। কিন্তু মদীনাহ্-বাসী বহুলপ্রচলিত সংজ্ঞার সেই সব ছাহাবীর পরিণতি কী হয়েছিলো?

ইয়াযীদের (লা.‘আ.) মৃত্যুর (৬৪ হিঃ) কিছুদিন আগে (হিঃ ৬৩) মদীনাহর লোকেরা তার অনুকূলে কৃত বাই‘আত্ ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং মদীনায় অবস্থানরত বানী উমাইয়াহর লোকদের একাংশকে বহিষ্কার করে ও একাংশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। বিদ্রোহের নায়করা পুরো পরিস্থিতি যথাযথভাবে পর্যালোচনা না করে এবং বিদ্রোহের শেষ পরিণতি কী হতে পারে সে সম্বন্ধে যথাযথ ধারণা ব্যতীতই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ঐ সময় হযরত ইমাম যায়নুল্ ‘আবেদীন্ (‘আঃ) মদীনায় অবস্থান করছিলেন, কিন্তু তাঁরা এ ব্যাপারে তাঁর মতামত গ্রহণের কোনো প্রয়োজন মনে করেননি এবং হযরত ইমাম (‘আঃ) এ বিদ্রোহে অংশগ্রহণ হতে বিরত ও নিরপেক্ষ থাকেন। এছাড়া আবূ সা‘ঈদ্ খুদরী ও জাবের্ বিন্ ‘আবদুল্লাহ্ সহ ছাহাবীদের মধ্যকারও কয়েক জন নিরপেক্ষ থাকেন।

এ বিদ্রোহের সংবাদ ‘আবদুল্লাহ্ ইবনে ‘উমারের কাছে পৌঁছলে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাই‘আত্ ভঙ্গকারীদের নিন্দা করেন।

প্রকৃত পক্ষে মদীনাহ্-বাসীরা যে হযরত ইমাম হোসেনের (‘আঃ) মতামতের তোয়াক্কা না করে ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করে সেটাই ছিলো বিরাট ভুল এবং যথাযথ পরিস্থিতি ব্যতীতই বিদ্রোহ ছিলো দ্বিতীয় বিরাট ভুল।

বিষয়টি এমন নয় যে, মদীনাহ্-বাসীরা যখন ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করেছিলো তখন সে ভালো লোক ছিলো এবং পরে খারাপ হয়ে গিয়েছিলো, বরং তাদের বাই‘আতের সময়ও সে ফাসেক্ব ছিলো। অথচ তা সত্যেও ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আতকারী মদীনাহর ছাহাবীগণ হযরত ইমাম হোসেনকে (‘আঃ) মদীনাহ্-ত্যাগে নিষেধ করেছিলেন যা মেনে নেয়ার অর্থ হতো তাঁর ফাসেক্ব ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করা বা নিহত হওয়া বা অসমেয়াচিত সশস্ত্র অভ্যুত্থান করে বৃথাই মুসলমানদের রক্তপাত ঘটানো।

মদীনাহ্-বাসীদের বিদ্রোহের সংবাদ ইয়াযীদের (লা.‘আ.) কাছে পৌঁছলে  সে তাদের বিরুদ্ধে নরপিশাচ মুসলিম্ বিন্ ‘উক্ববাহর সেনাপতিত্বে মদীনায় সেনাবাহিনী পাঠায় এবং তাদের জন্য মদীনাহকে তিন দিনের জন্য হালাল ঘোষণা করে (আল্-বিদাইয়াহ্ ওয়ান্-নিহাইয়াহ্: ইবনে কাছীর্, ৮ম খন্ড, পৃঃ ২১৮-২১৯ ও ২২৪) অর্থাৎ তারা মদীনায় তিন দিন যা ইচ্ছা করতে পারবে; তার কোনো বিচার হবে না।

মদীনাহর অনতিদূরবর্তী হাররাহ্ নামক স্থানে দুই পক্ষের মোকাবিলা হয়। যুদ্ধে প্রথম দিকে মদীনাহ্-বাসীরা যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও বানী উমাইয়াহ্ কূটনৈতিক তৎপরতায় সফল হয়; মদীনাহর বানূ হারেছাহ্ গোত্র বিরাট অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে বানী উমাইয়াহর সাথে আপোসে আসে এবং তার এলাকার অবরোধ তুলে নিয়ে মারওয়ান্ ও তার অধীনস্থ সৈন্যদেরকে মদীনাহ্ থেকে বের হবার জন্য সুযোগ করে দেয়। মারওয়ান্ তার অধীনস্থ সৈন্যদেরকে নিয়ে হাররায় অবস্থানরত মদীনাহর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পিছন দিক থেকে হামলা চালায়। এভাবে দুই দিক থেকে মুসলিম্ বিন্ ‘উক্ববাহ্ ও মারওয়ানের হামলার ফলে মদীনাহর যোদ্ধাদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে এবং মুসলিম্ বিন্ ‘উক্ববাহ্ তার বাহিনী নিয়ে সহজেই মদীনায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।

ইয়াযীদ (লা.‘আ.) প্রদত্ত অনুমতির ভিত্তিতে ইয়াযীদী বাহিনী তিন দিন যাবত মদীনায় ব্যাপকভাবে হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন চালায়। ইবনে কাছীর্, ইবনে ক্বুত্বাইবাহ্, ইবনে জাওযী, মাস্‘ঊদী, বালাযুরী, মাক্বদেসী, যাহাবী প্রমুখের বর্ণনা অনুযায়ী, মদীনাহ্-বাসীদের নিহতের সংখ্যা ছিলো কমপক্ষে চার হাজার, মতান্তরে ১০ হাজার ৭০০ বা ১১ হাজার ৭০০ যাদের মধ্যে ৮০ জন ছিলেন বহুলপ্রচলিত সংজ্ঞার ছাহাবী ও ৭০০ জন ছিলেন হাফেযে কোরআন। মুসলিম্ বিন্ ‘উক্ববাহর সৈন্যরা অনেক সদ্যজাত শিশুকেও হত্যা করে এবং গর্ভবতী নারীদের গর্ভপাত ঘটায়। এছাড়া তারা তিন দিন যাবত মদীনাহর নারীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযান চালায়। তারা মোট কতো জন নারীকে ধর্ষণ করে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই, তবে তাদের ধর্ষণের ফলে এক হাজার কুমারী গর্ভবতী হয়। শুধু তা-ই নয়, সন্তান ধারণের বয়স হয়নি এমন মেয়েরাও ধর্ষণের শিকার হয়। ফলে ঐ সময় সন্তান ধারণের বয়স হয়নি এমন মেয়েদের অভিভাবকদের পক্ষে পরে তাদের বিবাহের সময় নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভবপর ছিলো না যে, তার মেয়ে ধর্ষিতা হয়নি।

বহুলপ্রচলিত সংজ্ঞার ছাহাবী সহ মদীনাহ্-বাসীদের পক্ষ হতে ইয়াযীদের (লা.‘আ.) অনুকূলে বাই‘আত্ করণ ছিলো ঈমানী দুর্বলতাজাত আপোসকামী ও সুবিধাবাদী নীতির প্রমাণ এবং ইয়াযীদের (লা.‘আ.) বিরুদ্ধে তাদের অসময়োচিত বিদ্রোহ ছিলো চরম হঠকারিতার পরিচায়ক।

লেখাঃ নূর হোসাইন মাজিদি,বিশিষ্ট ইসলামিক লেখক ও গভেষক

تبصرہ ارسال

You are replying to: .