হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিবেশনায় : মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ তাওয়াশীহ শিল্পী গোষ্ঠী। ৫ সফর ৬১ হিজরী
ইমাম হুসাইনের তিন বছরের শিশু কন্যা হযরত রুকাইয়া বিনতুল হুসাইনের শাহাদাত সম ওফাত দিবস ও বার্ষিকী । কারবালার হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের পর বনী উমাইয়ার হাতে ( আ.) রাসূলুল্লাহর সা. আহলুল বাইতের আ. বন্দীত্বদশায় শামদেশের দামেস্কের ধ্বংসপ্রাপ্ত মহল্লায় ( খারাবাতে শাম ) এনে যখন আটকে রাখা হয়েছিল তাদেরকে ((মহানবীর (সা.) আহলুল বাইতকে ( আ.) )) তখন ইমাম হুসাইনের ছোট্ট আদুরিনী এই শিশু কন্যা হযরত রুকাইয়া ৫ সফর ৬১ হিজরী রাতে আশুরার দিবস থেকে বাবা ইমাম হুসাইনের (আ.) দেখা না পেয়ে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ পিতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত থেকে হঠাৎ বাবাকে পাওয়ার জন্য অত্যন্ত অধীর হয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন ।
হযরত যাইনাব ( আ.) পিতৃমাতৃহীন কাঁদতে কাঁদতে অশান্ত হয়ে যাওয়া এ অনাথ ইয়াতীম ভ্রাতুষ্পুত্রীকে শান্ত করার জন্য অনেক চেষ্টা করতে থাকেন । কিন্তু বাবাকে না পাওয়া পর্যন্ত এ শিশু কন্যাটি শান্ত হচ্ছিলেন না । তিনি যেন কাঁদতে কাঁদতে মারাই যাবেন । তাঁর একটানা ক্রন্দন শুনে প্রহরীরা হযরত রুকাইয়ার কোলে তার বাবা ইমাম হুসাইনের কর্তিত মাথা রাখলে ইমামের এই ছোট্ট মেয়েটি বলছিলেন : কে আমার বাবাকে হত্যা করেছে ? কে আমাকে শৈশবে ইয়াতীম ( অনাথ ) করেছে ? ( মানিল্লাযী আইতামানী ফী সিঘ্বারে সিন্নী ?)
مَنِ الَّذِيْ أَيْتَمَنِيْ فِيْ صِغَرِ سِنِّيْ ؟
এ কথা বলে হঠাৎ করে হযরত রুকাইয়া ( আ.) শান্ত হয়ে যান । হযরত যাইনাব ও সবাই দেখতে পেলেন যে হযরত রুকাইয়া ( আ.) এ পৃথিবী ছেড়ে প্রপিতামহ হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) , পিতা হুসাইন ( আ.) , দাদা আমীরুল মুমিনীন আলী (আ.) , দাদী হযরত ফাতিমা ( আ.) , চাচা ইমাম হাসান ( আ.) ও হযরত আবুল ফযল আব্বাস ( আ.), ভাই আলী আকবার ( আ.) , আলী আসগরের ( আ.) সান্নিধ্যে চলে গেছেন এবং চিরশান্তি ও স্থিতি লাভ করেছেন । কারবালায় আশুরার দিনে ইমাম হুসাইনের (আ.) শিশুপুত্র হযরত আলী আসগরের শাহাদাত এবং খারাবাতে শামে ( দামেস্কের ধ্বংসপ্রাপ্ত মহল্লা সমূহ ) হযরত রুকাইয়া বিনতুল হুসাইনের (আ.) শাহাদাত সম মৃত্যু ইমাম হুসাইনের (আ.) মযলূম হওয়ার শ্রেষ্ঠ দলীল ও সনদ । হযরত রুকাইয়ার মাযার দামেস্কে ফুফী যাইনাব বিনতে আলীর ( আ.) মাযারের পাশে অবস্থিত । সবাইকে শোক ও তাসলীয়াত ।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান