হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, আমি গতবছর ব্রিটেনের ব্রেক্সিট করার আগেই কেন ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করছে তার প্রধান ও মুখ্য কারণ হিসেবে বলেছিলাম যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া , নিউজিল্যান্ড ও ব্রিটেন একটা অ্যাংলোফোনিয়ান ( ইংরেজি ভাষাভাষী ) দেশসমূহের জোট গঠন করে বিশ্বের সকল বা বেশির ভাগ এনার্জি সোর্স , কাঁচামাল ও খনিজ সম্পদের উৎস সমূহ কব্জা করবে ।
আর ধীরে ধীরে এ জোট ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশ দেশসমূহকেও ( কমন ওয়েলথ ভুক্ত দেশ সমূহ ) এ জোটের দিকে টেনে আনবে বা এ জোটভুক্ত করার চেষ্টা করবে অর্থাৎ ঐ অ্যাংলো ফোনিয়ান জোটের সম্প্রসারণের চেষ্টা করবে ( আর কমন ওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোও অ্যাংলোফোনিয়ান কারণ এ সব দেশে ইংরেজি ভাষা চালু আছে ) ।
ব্রেক্সিট না হলে এই অ্যাংলোফোনিয়ান জোট করা সম্ভব হত না । বরং অ্যাংলোফোনিয়ান জোটের স্থলে ইউরোপীয়দের নিয়ে নয়া জোট গঠন সম্ভব হত না বা সম্ভব হলেও এনার্জি , কাঁচা মাল ও খনিজ সম্পদে হিস্যা দিতে হত ইউরোপীয় ইউনিয়নকে । (অকুস চুক্তি)
কিন্তু এখন কোনো হিস্যা তো দিতেই হবে না বরং চড়া দামে ওগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন , চীন প্রভৃতি দেশের কাছে বিক্রিও করতে পারবে এই নয়া অকুস জোট । অর্থাৎ ১০০% মুনাফা হবে এ সব ফ্রাংকো ফোনিয়ান দেশগুলোর । আর সেই সাথে সকল সামুদ্রিক বাণিজ্যিক রুট খুব ভালো ভাবে কন্ট্রোল করতে পারবে যদি সে ভিশন ও স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় এ পাঁচ অ্যাংক্লো ফোনিয়ান দেশের ।
গত বছর এ ব্যাপারেই আর্টিকেল লিখে ছিলাম । এখন ইরনার এ রিপোর্ট পড়ে দেখুন । আর অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্সের কাছ থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের কনভেনশনাল জ্বালানী চালিত সাবমেরিন ক্রয়চুক্তি বাতিল করলে এই অ্যাংলোফোনিয়ান জোট ( AUKUS ) বা প্যাক্টের কথা প্রকাশিত হয়ে যায় অর্থাৎ থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে । আর এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটা ভালো ধাক্কা খেয়েছে এবং ফ্রান্স হয়েছে ক্ষুব্ধ । যা হোক এখন সকল চিন্তাশীল সুধী মহলের উচিত এ ব্যাপারে গভীর চিন্তা ভাবনা করা ।
(মুনীর হুসাইন খান)