হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমাম বাড়িতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলিল রাজাভী। তিনি তার বক্তব্যে ৬১ হিজরী সনে কারবালার মরুপ্রান্তরে মহানবী (সাঃ) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) এর নানার দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহান আত্মত্যাগের নাতিদীর্ঘ ইতিহাস উপস্থাপন করে বলেন, ইমাম হোসাইন (আঃ) যদি কারবালার প্রান্তরে তিনি এবং তাঁর পরিবারের আত্মত্যাগ না করতেন তাহলে পৃথিবীতে ইসলাম নামক কোন দ্বীন অবশিষ্ট থাকতো না। তিনি নিজ ও পরিবারের রক্ত দিয়ে অস্ত্রে সমৃদ্ধ দাম্ভিকদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, শুধু অস্ত্র দিয়ে নয় রক্ত দিয়েও বিজয় অর্জন করা যায়। সেদিন তিনি ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে ইসলামের যে শাশ্বত রূপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেকারণেই আজ ইসলাম ধর্ম চিরন্তন। তাঁর চল্লিশা পালন আমাদেরকে সেই ইতিহাসই স্মরণ করিয়ে দেয়। তাই আজকে ইমাম হোসাইন এর শাহাদতের চেতনায় আমরাও ইয়াজিদি শক্তির বিরুদ্ধে যে কোন আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, হুজ্জাতুল ইসলাম মোঃ আলী মোর্ত্তজা ও হুজ্জাতুল ইসলাম মোঃ সাজিদুল ইসলাম। এঅনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ রেজা আলী জায়দী, হুজ্জাতুল ইসলাম মিজানুর রহমান, হুজ্জাতুল ইসলাম মোস্তাক হোসেন, হুজ্জাতুল ইসলাম মোঃ আব্দুল লতিফ, হুজ্জাতুল ইসলাম শহিদুল হক, হুজ্জাতুল ইসলাম আনিসুর রহমান, হুজ্জাতুল ইসলাম মাহমুদুল হাসান, হুজ্জাতুল ইসলাম সাবের রেজা। মর্সিয়া পাঠ করেন মোঃ আতিয়ার রহমান।
আলোচনা শেষে একটি শোক ও মাতম মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় ইমাম বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। বৃহত্তম এ শোক মিছিলে খুলনা বিভাগে বসবাসকারী শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ অংশ গ্রহণ করেন।