۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
মহানবী (সা:)
মহানবী (সা:)

হাওজা / ১৭ রবীউল আওওয়াল আহলুল বাইতের (আঃ) প্রসিদ্ধ অভিমত অনুসারে মহানবী (সা:) এবং তাঁর বংশধর পবিত্র আহলুল বাইতের বারো ইমামের ষষ্ঠ মাসূম ইমাম হযরত জাফার ইবনে মুহাম্মাদ আস সাদিক (আঃ)-এর শুভ জন্মদিন ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ৩- হযরত ইব্রাহীমের ইমামত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন :

     এবং স্মরণ কর যখন ইব্রাহীম কে তাঁর প্রতিপালক কয়েকটি কথা দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন এবং সেগুলো সে পূর্ণ করেছিল , আল্লাহ বললেন : আমি তোমাকে মানব জাতির নেতা ( ইমাম ) করছি । সে বলল : আমার বংশধরদের ( যুর্রিয়া ) মধ্য থেকেও ? আল্লাহ বললেন : আমার প্রতিশ্রুতি ( আহ্দ্ ) যালিম( পাপী ও সীমালংঘনকারী )দের প্রতি প্রযোজ্য নয় ( সূরা -ই বাকারাহ : ১২৪ ) ।

আর হযরত ইব্রাহীমের ( আ ) ইমামত যা তাঁর দরখাস্তে তার বংশধারায় ( যুর্রিয়া ) মহান আল্লাহ এ শর্তে জারী রাখেন যে তাঁর এ প্রতিজ্ঞা  যারা যালিম ( পাপী সীমালংঘনকারী ) তাদের জন্য প্রযোজ্য নয় অর্থাৎ কেবল তাঁর বংশধরদের মধ্যে যারা মাসূম তাদের জন্য এ প্রতিজ্ঞা ( ইমামত ) প্রযোজ্য । আর হযরত ইব্রাহীমের ( আ ) বংশধর সর্বশ্রষ্ঠ মহামানব সর্বশ্রষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মাদ ( সা ) নি:সন্দেহে সর্বশ্রেষ্ঠ ইমাম এবং যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সা) শেষ নবী ও রাসূল হওয়ায় নুবুওয়াত ও রিসালতের পরিসমাপ্তি (খতম) হয়েছে সেহেতু ইমামত ( মানবজাতিকে সুপথপ্রদর্শনের নেতৃত্ব ) তাঁর বংশধারায় জারী হয়েছে । কারণ মহান আল্লাহ আল -ই মুহাম্মাদকে জগৎ সমূহের উপর মনোনীত করেছেন ( সূরা -ই আল -ই ইমরান : ৩৩ ) ।

আমরা হযরত রাসূলুল্লাহর ( সা.)  অতি মূল্যবান বাণী ও হাদীস সমূহ থেকে কয়েকটি অমিয় বাণী ও হাদীস শুভ এ দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধেয় পাঠকবর্গের খেদমতে পেশ করছি :

আখেরাতের গুরুত্ব :

১. মহানবী ( সা :)বলেছেন: সব সময় (সকাল-সন্ধ্যা প্রতিনিয়ত ) যার মুখ্য (প্রধান) চিন্তাই  হচ্ছে আখেরাত ( পরকাল) মহান আল্লাহ পাক তার অন্তরে প্রাচুর্য ও অভাব শূন্যতার অনুভূতি দান করবেন , তার যাবতীয় বিষয় গুছিয়ে পরিপাটি ও ঠিকঠাক করে দেবেন এবং রুজি ও জীবিকা পূর্ণ করে দেয়া পর্যন্ত এ দুনিয়া থেকে তাকে বের করবেন না ( অর্থাৎ তার মৃত্যু ঘটাবেন না ) । আর যে ব্যক্তির সার্বক্ষণিক  মূখ্য চিন্তা ভাবনা ই হচ্ছে দুনিয়া ( পার্থিব জগৎ ) মহান আল্লাহ তার দু চোখের সামনে তার দারিদ্র স্থায়ী করে দেবেন এবং তার যাবতীয় বিষয় ও কাজ কারবার অগোছালো ও বিক্ষিপ্ত (বিশৃঙ্খল) করে দেবেন ; আর সে দুনিয়া থেকে ঠিক ততটুকু পাবে যতটুকু তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ।

(দ্র: বিহারুল আনোয়ার , খ: ৭৭ পৃ: ১৫১ , হাদীস নং ১০৪)

২. মহানবী ( সা:) বলেছেন:

স্বীয় দুনিয়ার জন্য এমনভাবে কাজ করতে থাক যেন তুমি এ পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকবে এবং স্বীয় আখেরাতের জন্য তুমি এমনভাবে কাজ করে যাও যে তুমি আগামীকালই মৃত্যু বরণ করবে  । ( তাম্বীহুল খাওয়াতির , খ:২, পৃ: ২৩৪)

৩. মহানবী ( সা:) বলেছেন :

আমি তোমাদেরকে মহান আল্লাহ কে ভয় করার উপদেশ দিচ্ছি এবং তোমাদের ( মঙ্গল ও কল্যাণের) ব্যাপারে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি -- আমি তোমাদের কাছে  স্পষ্ট ভাষী ভয় প্রদর্শন কারী রাসূল ( প্রেরিত পুরুষ) --  মহান আল্লাহর কাছে তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে এবং  দেশ ও বাসস্থান নিয়ে  গর্ব ও অহংকার করো না ; কারণ , তিনি  ( মহান আল্লাহ )  আমাকে ও তোমাদেরকে বলেছেন : এই  আখেরাত  বা পরকাল  ঐ সব ব্যক্তির জন্য আমরা স্থাপন করেছি  যারা ধরণীর বুকে না অহংকার ও গর্ব  করার ইচ্ছা করে আর না বিশৃঙ্খলা ( ফিতনা ফাসাদ) সৃষ্টি করার ইচ্ছা করে ( সূরা -ই ক্বাসাস : ৮৩) ।

৪. মহানবী ( সা:) বলেছেন  : নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ দুনিয়া সম্পর্কে জ্ঞাত ও বিজ্ঞ ব্যক্তিদের কে পছন্দ করেন ও ভালোবাসেন

অথচ আখেরাত সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিদেরকে ঘৃণা করেন । দ্র: কানযুল উম্মাল , হাদীস নং ২৮৯৮২ )

৫. মহানবী ( সা: ) বলেছেন: তৃষ্ণার্ত হৃদয় যেমন শীতল পানি পান করে তৃপ্ত ও শান্ত হয় ( প্রশান্তি লাভ করে ) ঠিক তেমনি এক মুমিন অপর মুমিনের কাছে সুখ ও শান্তি লাভ করে । ( রাভান্দী প্রণীত আন - নাওয়াদির , পৃ : ৮)।

৬. মহানবী ( সা:) বলেছেন:

যে ব্যক্তি তার নিজের জন্য একজন নতুন দ্বীনী ভাইকে খুঁজে পাবে , মহান আল্লাহ তার জন্য বেহেশতে একটি সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ করে দিবেন । ( আল- ই'তিসাম :২২৮) …চলবে…

( মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .