۱ خرداد ۱۴۰۳ |۱۳ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 21, 2024
ইমাম হাসান (আ:)
ইমাম হাসান (আ:)

হাওজা / একবার একদল লোক ইমাম হাসান আঃএর কাছে এসে বলে: আমরা আপনার বাবার মুজিজা গুলো দেখেছি, এইসব মুজিজা আপনার কাছেও দেখতে চাই।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, একবার একদল লোক ইমাম হাসান আঃএর কাছে এসে বলে: আমরা আপনার বাবার মুজিজা গুলো দেখেছি, এইসব মুজিজা আপনার কাছেও দেখতে চাই।

ইমাম হাসান আঃ বললেন, যদি দেখাই তাহলে আমাদের প্রতি (ইমামতের)কি ঈমান আনবেন? তারা বলল: জি, আল্লাহর কসম তাঁর প্রতি ঈমান আনব।

ইমাম বললেন: আপনারা কি আমার বাবাকে চেনেন? সবাই বলল: হ্যাঁ, চিনি। ইমাম তাদের চোখের বা দৃষ্টি থেকে পর্দা তুলে নিলেন এবং সবাই দেখল যে স্বয়ং হযরত আলী আঃ দাঁড়িয়ে আছেন।

ইমাম হাসান আঃ বললেন: আপনারা কি তাঁকে চেনেন? সবাই বলল: ইনি আমিরুল মু'মিনিন আলী আঃ এবং আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি আল্লাহর ওলি বা বন্ধু এবং আলীর পর আপনিই প্রকৃত ইমাম ও নেতা। আপনি আমাদেরকে আপনার পিতা আলী আঃএর মৃত্যুর পরও তাঁকে দেখিয়েছেন যেমনটি আপনার বাবা রাসূল সঃএর মৃত্যুর পরও মসজিদে কুবায় আবুবকরের কাছে রাসূল সঃকে দেখিয়েছিলেন।

এরপর ইমাম বললেন: তোমাদের ওপর আক্ষেপ! তোমরা কি শোনোনি মহান আল্লাহ বলেছেন:

যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না, বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা অনুধাবন কর না।

যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদের সম্পর্কে যদি এই আয়াত নাজিল হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সম্পর্কে তোমরা কি মনে কর? লোকেরা বলল: হে আল্লাহর রাসূলের সন্তান! আমরা আপনার কথা ও আচরণের প্রতি ঈমান আনছি এবং আপনার কথা ও আচরণকে সত্য বলে স্বীকৃতি দিচ্ছি।

আরেকবার কোনো এক ওমরাহ হজের সফরের সময় ইমাম হাসান আঃএর সঙ্গে ছিলো যুবাইর বিন আলআওয়ামের কোনো এক পুত্র। সফরের এক পর্যায়ে তারা একটি স্থানে থামেন। সেখানে কয়েকটি শুকিয়ে যাওয়া খেজুর গাছ ছিল। ওই ব্যক্তি বলল: এই খেজুর গাছে যদি খেজুর থাকতো তাহলে তা পেড়ে খেতাম।

ইমাম হাসান আঃ বললেন: তোমার কি খুরমা খেজুর খেতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে?

লোকটি বলল: হ্যাঁ। ইমাম আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই খেজুর গাছটি সবুজ হয়ে যায় এবং তাতে খেজুরও দেখা যায়। লোকটি গাছে উঠে খেজুর পেড়ে খায়। এ সময় তাদের সফরসঙ্গী এক উট চালক বলে ওঠে: এ তো দেখছি জাদু।

ইমাম হাসান আঃ বললেন: তোমার প্রতি আক্ষেপ! এটা জাদু নয় বরং নবী সঃএর সন্তানের দোয়া, যা কবুল হয়।

সমস্ত মহৎ গুণের অধিকারী ইমাম হাসান আঃ জীবনে তিন বার তাঁর ব্যক্তিগত সব সম্পদ দান করে দিয়েছেন এবং বেশ কয়েকবার অর্ধেক বা তারও বেশি সম্পদ দান করে দিয়েছিলেন। তিনি পায়ে হেটে এবং কখনও নগ্ন পায়ে ২৫ বার মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে হজ্ব বা ওমরাহ করেছেন। তিনি বলতেন, “সব জিনিসের প্রতি লোভই হচ্ছে দারিদ্র আর অল্পে তুষ্টি হচ্ছে প্রাচুর্য বা সম্পদের অধিকারী হওয়া”।

এই মহান ইমামের শানে পেশ করছি অসংখ্য সালাম ও দরুদ।

আস্সালামু আলাইকা ইয়াবনা রাসুলি রাব্বিল আলামীন আস্সালামু আলাইকা ইয়াবনা আমিরিল মুমিনীন আস্সালামু আলাইকা ইয়াবনা ফাতিমাতুজ যাহরাহি আস্সালামু আলাইকা ইয়া হাবিবাল্লাহি।

মোহাম্মদ হোসাইন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .