۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিমিনাল পুলিশ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিমিনাল পুলিশ

হাওজা / মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ আসলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিমিনাল (অপরাধী দুষ্কৃতকারী ) পুলিশ যার একটি জ্বাজ্জল্যমান উদাহরণ হলো সর্বশেষ এ ঘটনাটি : পুলিশ সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে গুলি ছুঁড়লে সেই গুলি ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বিদ্ধ করে এবং ঐ হতভাগ্য কিশোরীটি মায়ের কোলে মৃত্যু বরণ করে ।

হাওজা নিউজা বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন পুলিশ প্রতি বছর সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিদের প্রতি গুলি ছুড়ে তাদের অনেককে হত্যা করে । অথচ এ সব খুনী পুলিশের কিছুই হয় না । হয় তারা বেকসুর খালাস পেয়ে যায় নতুবা খুব লঘু শাস্তি বা দণ্ড (যেমন: কয়েক বছর জেল ও জরিমানা) ভোগ করে।

এভাবে মার্কিন নিরাপত্তা, গোয়েন্দা বাহিনী ও পুলিশের হাতে প্রতি বছর

র্নির্বিচারে বহু মার্কিন নাগরিকের নিহত হওয়ার কারণে কোনো দেশ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা আজ পর্যন্ত এ দেশটির খুনী পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা সমূহের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও স্যাংশন আরোপ করতে পারে নি। (পলিশ)

অথচ এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উল্টো নিজে বহু দেশের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে স্যাংশন আরোপ করে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে । কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? যে সর্ষে দিয়ে ভূত তাড়াবে সেই সর্ষের মধ্যেই তো ভুত বসে রয়েছে । আর প্রদীপের তলায়ই রয়েছে আঁধার ।

সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশকে সাহায্য করে ও অনুদান দেয় স্যাম চাচা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) । কিন্তু মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (বাইডেন চাচা) বাংলাদেশ সরকারের কাছে সেই অনুদানের ব্যয়ের হিসাব চেয়েছে যার অর্থ হচ্ছে ব্যয়ের হিসাব না দিলে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উপর স্যাংকশন ও অবরোধ ঠুকে দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ।

ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের র্যাবের (RAB) উপর স্যাংশন আরোপ করেছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে র্যাব (RAB )যে দোষে দুষ্ট সেই একই দোষে দুষ্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ , নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীও । তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিজের পুলিশ , নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীর উপরও স্যাংকশন , নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপ । আর এ কাজটা তার করে দেখাতে হবে সর্বাগ্রে ।

কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী তা করেছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশে দেশে অবৈধ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বিরোধী সরকার সমূহের পতন ঘটিয়ে এবং পশ্চিম এশিয়ায় (মধ্যপ্রাচ্য) অর্থাৎ মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্রস্থলে ইসরাইলের মতো সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র কায়েম করে এবং ফিলিস্তীনীদের হত্যা ও উচ্ছেদ করতে এ অবৈধ সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটিকে সর্বাত্মক সাহায্য ও সহযোগিতা করে নিজের টেরোরিস্ট হওয়াটাই প্রমাণ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । আফগানিস্তান ও ইরাক আক্রমণ করে মিলিয়ন মিলিয়ন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে অবৈধভাবে এ দেশদুটি দখল করে এবং সিরিয়ায় টেরোরিস্টদের এনে গণ্ডোগোল পাকিয়ে ও গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে সিরিয়ার লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এ ভাবে তার নিজের কালো, কুৎসিত, হিংস্র - রক্তপিপাসু সন্ত্রাসী চেহারা ও চরিত্র সবার কাছে প্রমাণ করেছে ।

বিশ্বের সকল অঞ্চল থেকে জ্বালানি তেল ও অন্যান্য সম্পদ লুটপাট করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সবার কাছে মহা লুটেরা (বিশ্ব লুটেরা) হিসেবে পরিচিত করেছে ।

তাই সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর বিশ্ববাসীর উচিত স্যাংকশন, নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপ করা।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন

২৯-১২- ২০২১

تبصرہ ارسال

You are replying to: .