۱۳ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۳ شوال ۱۴۴۵ | May 2, 2024
ড্রোন ব্যবস্থায় ‘সুপারপাওয়ার’ হয়ে উঠছে ইরান
ড্রোন ব্যবস্থায় ‘সুপারপাওয়ার’ হয়ে উঠছে ইরান

হাওজা / ইরান গোপনে নিজস্ব কারখানায় দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরি করে একে শত্রুর মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান গোপনে নিজস্ব কারখানায় দেশীয় প্রযুক্তিতে ড্রোন তৈরি করে একে শত্রুর মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। একইসঙ্গে নির্মিত এসব ড্রোন মিত্রদের কাছে রপ্তানির মাধ্যমে তা ইরাক, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের ওপর নজরদারির কাছে ব্যবহার করছে। যা দেশটিকে ইতোমধ্যে বেশ সফলতা এনে দিয়েছে। খবর মিডল ইস্ট ফোরাম।

সম্প্রতি ওমান উপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা এবং মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের উপর অবিরাম গোয়েন্দা নজরদারির চালানোর ভিডিও প্রকাশের পর ইরানে ড্রোনের সক্ষমতার বিষয়টি সামনে এসেছে। এরই মধ্যে গত ১০ জুলাই ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দি বিচ্ছিন্নবাদীদের ওপর ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের অভিযোগ কুর্দিদের এ গোষ্ঠীটি ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ডের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছিলো।

খবরে বলা হয়েছে, ইরানের ড্রোন ব্যবস্থার যে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে তা কেবল ইরানের উপকূলীয় এলাকা এবং এর প্রতিবেশী দেশের রাজ্যগুলোর জন্যই হুমকি নয়, এটা মধ্যপ্রাচ্যের ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে ইয়েমেনে যুদ্ধরত ইরানের মিত্র বাহিনী হুথি ও লেবাননের হিজবুল্লাহ এসব ড্রোন নিয়ে উপকৃত হচ্ছে। ইতোমধ্যে হুথিরা সৌদি আরবে ড্রোনের সাহায্যে বেশকিছু হামলা চালিয়েছে, একইসঙ্গে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলে এসব ড্রোন কাজে লাগিয়েছে।

খবরে আরো বলা হয়েছে, ইরানের ড্রোন প্রযুক্তি ক্রমেই পরিশীলিত ও আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ১৯৮০ সাল থেকে দেশটি নিজস্ব প্রযুক্তিতে ড্রোন ব্যবস্থার উন্নয়নে আলাদা ইউনিট গড়ে তুলেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটি শাহেদ-১৭১ স্টিলথ ড্রোনের প্রদশর্নী করেছে। যেটা ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানকে উপর থেকেই নির্দেশ দিতে পারে। একইসঙ্গে ২০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এটা ১০ ঘণ্টা ব্যাপী উড়তে পারে। তবে এ কথা সত্য যে ইরানের অনেক ড্রোনই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ড্রোনের ইঞ্জিনের অনুকরণে তৈরি। ইরানের সেগেহ ও শাহেদ যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টিনাল আরকিউ-১৭০ ড্রোনের অনেকটাই কপি। মার্কিন এ ড্রোনটি ২০১১ সালে জব্দ করে ইরান। আর শাহেদ-১২৯ নামের ড্রোনটি মার্কিন এমকিউ-১ প্রেডিয়েটর ড্রোনের অনুকরণে নির্মিত। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে তৈরি হলেও সম্প্রতি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের উপর নজরদারি চালালেও শনাক্ত করতে পারেনি দেশটির সামরিক বাহিনী। বরং এসব জাহাজের ভিডিও করে নিরাপদে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছে ইরানি ড্রোনগুলো। ফলে সহজেই প্রতিয়মান হচ্ছে যে, এসব ড্রোনের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে অনেক কাজ করেছে ইরান।

ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যতো উত্তপ্ত হচ্ছে ইরান ততোই নিজের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছে চলেছে। সম্প্রতি ইরান ড্রোন হামলার জন্য স্পেশাল ইউএভি বাহিনী গড়ে তুলেছে। যেটার দায়িত্বে আছে দেশটির শক্তিশালী রেভ্যুলেশনারি গার্ড।

সংগ্রহ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .