۱۳ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۳ شوال ۱۴۴۵ | May 2, 2024
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট

হাওজা / এটি ভারতীয় সমাজের নৈতিকতাকে আচ্ছন্ন করে এবং অশ্লীল আচরণকে প্রচার করে ও যৌন অপরাধের জন্ম দেয়।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে লিভ-ইন সম্পর্ক বা লিভ টুগেদার বা বিবাহ ছাড়াই একসঙ্গে বসবাসের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু এই সম্পর্ক যৌন অপরাধ এবং অশ্লীলতা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করছে বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি।

এটি ভারতীয় সমাজের নৈতিকতাকে আচ্ছন্ন করে এবং অশ্লীল আচরণকে প্রচার করে ও যৌন অপরাধের জন্ম দেয়।

এটির নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে যে সে সম্পর্কে তারা সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ। কারণ, এই ধরনের সম্পর্ক কাউকে কোনো অধিকার দেয় না।’

লিভ টুগেদারের নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে যে সে সম্পর্কে যারা লিভ টুগেদার করছে তারা (অর্থাৎ লিভ টুগেদারের পুরুষ ও নারী পার্টনার ) হয় সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞ

অথবা তারা তা উপেক্ষা করছে । (লিভ টুগেদার )

কারণ, এই ধরনের সম্পর্ক কাউকে কোনো অধিকার দেয় না।’

কারণ এটা বিয়ে বহির্ভূত অবৈধ যৌন সম্পর্ক যার উপর বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক অধিকার ও দায়িত্ব বর্তায় না । আসলে এ সব অধিকার ও দায়িত্ব এড়ানোর জন্যই তো লিভ টুগেদারের মতো অবৈধ উদ্ভট প্রথা ও বসবাস রীতির প্রবর্তন করা হয়েছে যাতে কেবল যৌন সম্পর্ক ও উপভোগ ছাড়া মূলতঃ আর কিছুই নেই । এ প্রথা পাশ্চাত্যের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রসার লাভ করেছে এবং ভারতেও তা পাশ্চাত্য পন্থীদের মাধ্যমে প্রসার পেয়েছে । আর ভারত সরকারও তা আইনি বৈধতা ও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে । কিন্তু এর সামাজিক ও নৈতিক কুফল ও ক্ষতি বিশেষ করে যৌন অপরাধ, অশ্লীলতা ও ব্ল্যাকমেইল ইত্যাদি বিবেচনা না করেই। আসলে লিভ টুগেদারে কোনো পারস্পরিক অধিকার ও দায়িত্ব নেই যা লিভ টুগেদারের পার্টনার দের কাছে বৈবাহিক জীবন ও সম্পর্কের সীমাবদ্ধতা বলেই বিবেচিত এবং এই সীমাবদ্ধতা এড়ানোর জন্যই তারা লিভ টুগেদার বেছে নিয়েছে ।

সুতরাং অধিকার ও দায়িত্ব না থাকার কারণে লিভ টুগেদার যে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ ও সমস্যার জন্ম দেবে সেটাই স্বাভাবিক।

অবৈধ যৌনতার নোংরামি ও কুফল ছাড়াও লিভ টুগেদারে জন্ম নেওয়া শিশুরা সব অবৈধ জারজ সন্তানই । আর এরাই এ ধরণের অবৈধ সম্পর্কের সবচেয়ে বড় বলি । এরা পিতা-মাতার ওপর সন্তানের অধিকার থেকে বঞ্চিত । কারণ সব ধরণের অধিকার ও দায়িত্ব এড়ানোর জন্যই তো লিভ টুগেদারের ব্যবস্থা ও প্রবর্তন । এতে মজা ও ভোগ ( এনজয় ) ছাড়া আর কিছুই নেই । যেই আমোদ প্রমোদ , ভোগ ও মজা ফুরিয়ে যাবে ব্যস তখন লিভ টুগেদারে ক্ষান্তি দেবে পার্টনাররা । তাই কিভাবে এ প্রথায় সন্তানের অধিকার সংরক্ষিত থাকবে ? বরং লিভ টুগেদার ভেঙে গেলে সন্তানকে নারী পার্টনারের ঘাড়ে ফেলে দিয়ে পুরুষ পার্টনার চলে যায় ।অতএব এ সব হারামযাদা ( জরজ ) সন্তান নানা ধরণের মানসিক সমস্যা ও হীনমন্যতায় ভোগে এবং বিভিন্ন ধরণের সামাজিক অপরাধ এর ফলে আরো বাড়বে ও প্রকট হবে । বিয়ে না করে বৈবাহিক জীবনের দায়িত্ব ও অধিকার কি কেউ ( কোনো বুদ্ধিমান চালাক চতুর ব্যক্তি ) নিতে চাইবে ? তাহলে লিভ টুগেদারে এ ধরনের অধিকার ও দায়িত্ব কল্পনা ও আশা করাটাই নির্বুদ্ধিতা ও বোকামি ছাড়া আর কিছু কি ?!

পাশ্চাত্য সংস্কৃতির এ সব ছাইপাশ রাবিশ বর্জ্য আবর্জনা আমদানি করে কি ভালো কিছু করা যাবে ?

ভারতের কর্তা ব্যক্তিদের এ সব জিনিস বুঝতে ও উপলব্ধি করতে হবে । বিয়ে সেকেলে জিনিস এবং লিভ টুগেদার হচ্ছে মডার্নিটি - এ রাবিশ বস্তাপচা মতবাদ দিয়ে এ জঘন্য অশ্লীলতার প্রসার দেওয়াটাই অন্যায় । আর মডার্নিটি ফডার্নিটির বুলি আওড়িয়ে ফায়দা নেই । এগুলো হচ্ছে সব ফাঁকা বুলি । কারণ পাশ্চাত্য মডার্নিটি ছাড়িয়ে পোস্ট মডার্নিটি বরং পোস্ট পোস্ট মডার্নিটিতে প্রবেশ করেছে। তাই মডার্নিটিও এখন সেকেলেই হয়ে গেছে!

পাশ্চাত্যের কোনো ইজম ও তন্ত্র মন্ত্রের কুফল ছাড়া সুফল নেই । কিন্তু ভারতের মতো দেশগুলোর হর্তাকর্তা দের কাণ্ডজ্ঞান ও বুদ্ধিসুদ্ধি আছে কি ?

এদের আসলেই বোধোদয় হবে কি ?!!

হর্তাকর্তা দের আক্কেল বুদ্ধি লোপ পেয়েছে বলেই তো ভারতে লিভ টুগেদার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছে !!

কথায় আছে না : দুধের স্বাদ কি ঘোলে মিটে ?!!

আর বিয়ের স্বাদ কি লিভ টুগেদারে মিটে ? বরং লিভ টুগেদার ঘোলের চাইতেও নিকৃষ্ট এবং তা অশ্লীলতা ও নোংরামি ছাড়া আর কিছুই নয় । কিন্তু ঘোল মাঠা নোংরা ও অপবিত্র নয় ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

২০ -৪-২০২২

تبصرہ ارسال

You are replying to: .