হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ডক্টর শাহরিয়ারি বলেছেন: নবী (সাঃ) এর কাছে পৌঁছানোর জন্য মতভেদ দূর করার প্রয়োজন। প্রতিটি মানুষ তার নিজের ধর্মকে অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায় যার ফলে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
আমাদের সকলকে আল্লাহর রজ্জুকে আঁকড়ে ধরতে হবে এবং পছন্দ অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম অনুশীলনের স্বাধীনতা নির্ধারণ করতে হবে। এই দায়িত্বের মূল দায়িত্ব ইসলামী বিশ্বের শাসক, কর্মকর্তা ও আলেমদের উপর বর্তায়।
নেপালী আলেমদের সাথে একটি গ্রুপ মিটিং চলাকালীন ডঃ হামিদ শাহরিয়ারী বলেছেন, আমরা একটি সংকটময় সময়ে বাস করছি,এবং গত দুই শতাব্দীতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক অহংকার বিশ্বে উদারনৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা প্রচারিত উদারনৈতিক মূল্যবোধে আল্লাহর কোন আদেশ পালন করা হয় নি এবং তাদের দৃষ্টিতে মানুষ যেকোনো কিছু করতে স্বাধীন। এই সময়ে, আমাদের কাজ হল আল্লাহর সীমার মধ্যে স্বাধীনতা প্রচার করা।
ডঃ শাহরিয়ারী ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি মানুষের পথপ্রদর্শনকে সকল মুসলমানের কর্তব্য বলে মনে করেন এবং বলেন, এই মূল্যবোধের শীর্ষে রয়েছে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নৈকট্য ও ভালোবাসা।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ইসলামী জীবনধারা এবং পাশ্চাত্য জীবনধারার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হল ঐশী সীমাবদ্ধতা পালন করা। পশ্চিমা বিশ্ব এবং বৈশ্বিক দাম্ভিকতা ইসলামী মূল্যবোধকে উৎখাত এবং উদারনৈতিক মূল্যবোধের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ইসলামী উম্মাহর মধ্যে বিভাজনের কৌশল অবলম্বন করে।
ডক্টর শাহরিয়ারী মুসলমানদের ঐক্যকে অহংকারী পরাশক্তির বিরুদ্ধে ইসলামের পরাশক্তি গঠনের একটি কারণ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন: ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণী ছিল ঔদ্ধত্যের মোকাবিলা করা, নিপীড়িতদের সাহায্য করা এবং ঐক্যের প্রতি মনোযোগ দেওয়া।
তিনি আরো বলেন, চিন্তাধারা হল উদারনীতিবাদের বৈশ্বিক অহংকার, কিন্তু তাদের কর্মশালা হল সুদ এবং মুনাফা। তাই ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিতে সফল হলে তারা সহজেই মুসলমানদের পুঁজির মালিক হতে পারে এবং লাভবান হতে পারে।
ডঃ শাহরিয়ারী একটি একক জাতির তত্ব এবং ইসলামী দেশগুলির ইউনিয়নে পৌঁছানোর উপায় ব্যাখ্যা করে তার বক্তৃতা চালিয়ে যান।এবং বৈঠকে নেপালের মুসলমানদের অবস্থা এবং সরকার বিভিন্ন ধর্মের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদনও উপস্থাপন করে।