۲۰ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 9, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম শেখ মুহাম্মদ আলী নাজাফী
হুজ্জাতুল ইসলাম শেখ মুহাম্মদ আলী নাজাফী

হওজা / মরহুমের ইন্তেকাল আমিরুল-মুমিনীন (আ.) নাজাফী হাউসের জন্য বিরাট ক্ষতি, মরহুম করোনার সময়েও পড়াতেন, মরহুম গত কয়েকদিন আগে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেললেও স্মৃতিশক্তির দ্বারা তিনি শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, হুজ্জাতুল ইসলাম শেখ মুহাম্মদ আলী নাজাফীর ইন্তেকালে হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ আহমদ আলী আবিদি (নাজাফী হ উসের প্রিন্সিপাল) বলেন, তিনি সদয় দয়ালু, ছাত্র বন্ধুত্বপূর্ণ এবং একজন মহান শিক্ষক ছিলেন।

শোক পত্রটি নিম্নরুপ:

انا للہ و انا الیہ راجعون

হুজ্জাতুল ইসলাম জনাব মোহাম্মদ আলী নাজাফী যিনি আজ মরহুম হয়ে গেলেন তার জন্য আজ হৃদয় কাঁদছে।

তিনি নাজাফী হাউসের একমাত্র শিক্ষক যিনি প্রথম দিন থেকেই এই মাদ্রাসায় কর্মরত ছিলেন এবং এই মাদ্রাসার সাথে যুক্ত ছিলেন।

তিনি একজন অত্যন্ত দয়ালু, সদয়, ছাত্র-বন্ধু এবং ভালো শিক্ষক ও আরবী ভাষাতে তিনি সাবলীল ছিলেন, যার কারণে ছাত্ররা আরবি ভাষাতে পারদর্শী, তিনি ছিলেন নৈতিক, ধার্মিক, পরহেজগার এবং মাদ্রাসার প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল, আজ পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী মরহুমের বিষয়ে অভিযোগ করার সুযোগ পায়নি।

মরহুম পাঠদানে অত্যন্ত সময়নিষ্ঠ ছিলেন এবং ছাত্রদের প্রতিটি দিক থেকে যত্ন নিতেন, এমন একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক পাওয়া খুবই মুশকিল।

তিনি অত্যন্ত সদালাপী, আরবীতে সাবলীল ছিলেন, আরবী ভাষার কোর্সের জন্য তিনি মাদ্রাসায় অনেক বই সংকলন করেছেন, যা এখনও মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কয়েকদিন আগে আমি মরহুমে সাথে শ্রীনগরে দেখা করি, পড়ালেখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, চোখে ব্যথার কারণে পড়াতে পারছিনা, আমি বললাম আপনাকে এভাবে ছেড়ে যেতে পারব না। এই কথা শুনে মরহুম খুবই খুশি হলেন।

মরহুমের চলে যাওয়া এই সময়ে আমাদের সকলের জন্য এক বিরাট ক্ষতি, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁকে মাসুম ইমামদের সাথে একত্রিত করুন এবং তাঁকে যুগের ইমাম (আ:) এর শাফায়াত দান করুন, এবং এই বেদনাদায়ক সময়ে সকল প্রিয় ছাত্রদের ধৈর্য দান করুন। আমীন

والسلام علیکم و رحمۃ اللہ و برکاتہ

সৈয়দ আহমদ আলী আবিদী

تبصرہ ارسال

You are replying to: .