۱۷ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۷ شوال ۱۴۴۵ | May 6, 2024
আয়াতুল্লাহ শহীদ বেহেশতী
আয়াতুল্লাহ শহীদ বেহেশতী

হাওজা / প্রতিটি জাতির ইতিহাসে তিক্ত ও মধুর উত্থান-পতন থাকে যা সে জাতির ভাগ্য নির্ধারণ করে এবং তার সংস্কৃতিকে উদ্ভব করে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের ইসলামী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও আমাদের ইতিহাসের একটি বড় অংশ যার অনেক তিক্ত ও মধুর স্মৃতি রয়েছে। এই ব্যবস্থা এমন এক ব্যক্তির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যার নজির এই পৃথিবীতে খুব কমই দেখা যায় আর এ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এ ভূখণ্ডের মানুষরা নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।

তেহরানের হিজব-ই-জামহুরি-ই-ইসলামী ইরান সদর দফতরের কনফারেন্স হলে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে ২৮ জুন ১৯৮১ রবিবার রাত ৮:৩০ টায় আলোচনা চলছিলো। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর সভার কার্যসূচি ঘোষণা করা হয়। এরপর সৈয়দ মুহাম্মাদ হুসাইনী বেহেশতী এসব কথা দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। এসময় হলটিতে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর তেহরানের শত শত বাসিন্দা সদর দফতরের চারপাশে রাস্তায় জড়ো হন।

অ্যাম্বুলেন্স আসা-যাওয়া শুরু করে। হিজব-ই-জামহুরি-ই-ইসলামির কংক্রিটের ছাদ বিস্ফোরিত হয়। অ্যাম্বুলেন্সগুলো যে আহত ও শহীদদের নিয়ে যাচ্ছিল তারা রক্তে ঢেকে গিয়েছিল এবং তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

বনী সদরের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ছয় দিন পর এই বিস্ফোরণ ঘটে। পরের দিন, কায়হান পত্রিকা জানায় যে গত রাত ৯টার দিকে হিজব-ই-ইসলামী সদর দফতরে দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে হিজব-ই-ইসলামী ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়ে।

আর শহীদ হন কয়েক ডজন সরকারি কর্মকর্তা ও সংসদ সদস্য এবং বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। বিস্ফোরণের পর ডাঃ বেহেশতী সম্পর্কে কারো কাছে কোনো তথ্য ছিল না।

কেউ কেউ শহীদদের মধ্যে তাদের নাম থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও আট তীর অনুযায়ী ২৯শে জুন জানা যায় তিনিও শহীদদের অন্তর্ভুক্ত।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .