হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, পবিত্র মহররম উপলক্ষে আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ট্রাষ্ট আয়োজিত ১০ দিন ব্যাপী শোক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১লা হতে ১০ই মহররম পর্যন্ত আলোচনা করেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলিল রাজাভী এবং সমাপনী দিনে হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) এর পবিত্র শাহাদত স্মরণে আশুরার শোক মিছিল নগরীর আলতাপোল লেনস্থ আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ইমাম বাড়ি হতে বের হয়।
শোক মিছিলপূর্ব আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলিল রাজাভী। তিনি বলেন, যে বৈশিষ্টটি হুসাইনী আন্দোলনকে মহতী ও পবিত্র করেছে তা হলো ইমাম হুসাইনের (আ.) দূরদর্শিতা ও উন্নত চিন্তাধারা। ইমাম হুসাইন (আ.) একাধিকবার বলেছেন: ওরা আমাকে হত্যা করবেই; আর আল্লাহর শপথ করে বলছি যে, আমার হত্যার পর ওদের অবস্থা বিপন্ন হবে।
ইমাম হুসাইন (আ.) এক মহান ও পবিত্র আত্মার নাম। যার রয়েছে মহান আত্মা, সে শুকনো রুটি খেয়ে তৃপ্ত হয়, তারপর ঐ সামান্য আহার শেষে সারারাত জেগে আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন হয়। নিজের দায়িত্ব পালনে বিন্দুমাত্র গাফেলতি করলে ভয়ে তাঁর শরীর কাঁপতে থাকে। যার আত্মা মহান সে আল্লাহর পথে ও মহান লক্ষ্যে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে চায়। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধক্লান্ত ইমাম হুসাইন (আ.) যখন শেষ তীরটি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন তখনও কেবলার দিকে ফিরে পরম শান্তিতে বললেন : হে আল্লাহ! আপনার বিচারে আমি সন্তুষ্ট, আপনার আদেশের প্রতি আমি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পিত, আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই হে অসহায়দের সহায়।’ ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের মুহূর্ত যতই ঘনিয়ে আসছিল ততই খোদাপ্রেমের তীব্রতায় ইমামের চেহারা উজ্জ্বলতর ও প্রশান্ততর হচ্ছিল। আলোচনা শেষে একটি শোক মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূনরায় ইমাম বাড়িতে এসে শেষ হয়। এ শোক মিছিলে খুলনা ও অন্যান্য এলাকা থেকে আগত শিয়া মুসলমান নারী ও পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। ###