۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থানের নাম হিন্দুয়ানী অথবা হিন্দু দেবদেবীদের নামে
বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থানের নাম হিন্দুয়ানী অথবা হিন্দু দেবদেবীদের নামে ।

হাওজা / বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থানের নাম হিন্দুয়ানী অথবা হিন্দু দেবদেবীদের নামে । এগুলো কেন পরিবর্তন করা হয় নি ? এ থেকে বোঝা যায় যে এ দেশে হিন্দু সংস্কৃতির খুব জোরালো প্রভাব জনগণের এক বিরাট অংশে বিদ্যমান !!

রিপোর্ট: সব্যসাচী

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থানের নাম হিন্দুয়ানী অথবা হিন্দু দেবদেবীদের নামে । এগুলো কেন পরিবর্তন করা হয় নি ? এ থেকে বোঝা যায় যে এ দেশে হিন্দু সংস্কৃতির খুব জোরালো প্রভাব জনগণের এক বিরাট অংশে বিদ্যমান !!

স্থান , জায়গা ও এলাকার নাম জাহেলী হলে সেখানে মহান আল্লাহর বরকত ও রহমত আসবে কিভাবে? হিন্দুয়ানা ও হিন্দু দেবদেবীদের নামের সাথে মিলিয়ে স্থান , জায়গা ও এলাকার নাম করণ আসলে প্রচ্ছন্ন ভাবে জাহেলিয়াত বিদ্যমান থাকার নামান্তর। এর মানে , বাংলাদেশের লোক - সংস্কৃতিতে হিন্দুয়ানী ও হিন্দুত্বের প্রভাব রয়েছে । (নাম পরিবর্তন)

মহানবী (সা) এর সীরাত হচ্ছে যে তিনি ব্যক্তি ও স্থানের নাম জাহেলী , খারাপ অর্থবহ বা ইসলামের আকীদা - বিশ্বাস , আদর্শ ও ভাবধারা পরিপন্থী হলে পরিবর্তন করে দিতেন । দেবীদ্বার, দেবী গঞ্জ , রামনগর, দেবহাটা , সীতাকুণ্ড , রামপুর , রামপুরা , কালীগঞ্জ , শিবগঞ্জ , সরস্বতীপুর , ভীমপুর, সিদ্বেশ্বরী , রাধাগঞ্জ হরিপুর , হরিদাসপুর , দুর্গানগর , গুরুদাসপুর , কৃষ্ণদেবপুর , কৃষ্ণপুর , কৃষ্ণনগর , গণেশপুর , মহেন্দ্রনগর ইত্যাদি । এগুলো এবং প্রায় অধিকাংশ স্থানের নাম হিন্দু দেবদেবী ও হিন্দু পৌরাণিক ব্যক্তিত্বদের নামে । এটা তো তৌহীদের সাথে বেজায় সাংঘর্ষিক। এসব নাম পরিবর্তন না করে সেগুলো আজও বহাল তবিয়তে বিদ্যমান আছে এবং এ নিয়ে কেউ চিন্তা ভাবনাও করে না । অথচ এ ধরণের হিন্দু দেবদেবী ও হিন্দু পৌরাণিক ব্যক্তিত্বদের নামে স্থান , গ্রাম , শহর , জনপদ ও এলাকা অঞ্চলের নাম প্রচলিত থাকলে তা প্রচ্ছন্ন ও অবচেতন ভাবে মানুষের মন - মনন , চিন্তা , চেতনা ও আকীদা - বিশ্বাসের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে ও ফেলছে । অথচ বাংলাদেশের মুসলমানরা তা নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায় নি এবং ঘামাচ্ছে না। আসলেই বাংলাদেশী মুসলমানরা ন্যাড়া ছাড়া আর কিছু কি ?! হিন্দুরা যে এক সময় এদের ন্যাড়া উপাধি দিয়েছিল তা বোধ হয় ঠিকই ছিল !! এ সব ন্যাড়ারা এখন পর্যন্ত আকীদা - বিশ্বাসের ওপর সংস্কৃতির যে মারাত্মক ইতি বা নেতিবাচক প্রভাব আছে তা ন্যাড়ামির জন্য ঠিক মতো বুঝতে পারে নি এবং পারছেও না । কিন্তু হিন্দুরা তা ঠিকই বোঝে । ব্রিটিশ আমলে হিন্দু জমিদারদের হাতে পূর্ব বাংলার বেশির ভাগ অঞ্চল থাকায় তারা এ দেশের অধিকাংশ স্থানের নাম হিন্দুয়ানী অথবা হিন্দু দেবদেবীদের নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছিল । কিন্তু পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে সেসব নাম পরিবর্তন করা হয় নি । যদি জিজ্ঞেস করা হয় : কোথায় থাক ? থাকি দুর্গাপুরে । আর যদি জিজ্ঞেস করা হয় : কোথায় যাচ্ছ ? বলে : যাচ্ছি শিবগঞ্জে । তাহলে ঐ বাসিন্দার অবচেতন মনে হিন্দু দেবদেবী দুর্গা ও শিবের একটা স্থান হয়ে থাকবে। এগুলো এদেশের ইসলামী পণ্ডিতরা ভাবেন কি ? আবার এ নিয়ে কথা বললে তা হবে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মন্ধতা । এ ধরনের তকমা লেগে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চান না । ফলে এতে করে ন্যাড়াদের ওপর হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি ও হিন্দুত্ববাদের প্রভাব বলবৎ থাকবে , দিন দিন তা বাড়বে এবং হিন্দুরা এতে করে ন্যাড়াদের ওপর এক ধরনের শ্রেষ্ঠত্ব ও মৌলিকত্ব ( আসালত اصالت ) অনুভব করবে এবং এ ভাবে তাদের ( বাংগালী মুসলমানদেরকে ) উপহাস ও ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করে প্রচ্ছন্ন ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে : " এ্যাই ন্যাড়ারা ( বাংলার মুসলমানদেরকে হিন্দুরা অবজ্ঞা ভরে গাঁইয়া , চাষা ভুষা , বাংগাল , ন্যাড়া ইত্যাদি বলত ) ! তোদের কোনো মৌলিকত্ব ও বুনিয়াদ নেই। বুনিয়াদ ও মৌলিকত্ব তো কেবল হিন্দুদের। তোরা দ্যাখ ! এ দেশের অধিকাংশ স্থান ও এলাকার নাম হিন্দুয়ানী ও হিন্দু দেবদেবীদের নামে । তোরা ন্যাড়ারা আগাছা - পরগাছা - জাত ছাড়া - জাত পাতহীন । আর হিন্দুরাই মূল ও মোলিকত্বের অধিকারী। ন্যাড়ারা ! তোরাই হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে জাত পাত সব খুইয়েছিস । তাই তোদের আবার ফিরতে হবে হিন্দু সনাতন ধর্ম ও হিন্দুয়ানী সংস্কৃতির দিকে। " আর ন্যাড়াদের মধ্যেও একদল তো আছে যারা হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি ও হিন্দুত্ববাদের বড্ড ভক্ত ও সমঝদার এবং তুখোড় প্রবক্তা ! তাদের ধারণা হল যে এই হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিই বরণ ও আপন করে নিতে হবে ; কারণ এটাই আসল। আর স্থান , জনপদ , অঞ্চল, গ্রাম ও শহর - নগরের নাম হিন্দুয়ানী অথবা হিন্দু দেবদেবীদের নামে থাকলে তখন সব কিছুই ন্যাড়াদের দিকে তাকিয়ে উপহাস করবে এবং ন্যাড়ারা তো উপহাসের পাত্র হবেই তখন । যখন হিন্দুরা বাংগালী মুসলমানদেরকে অবজ্ঞা ভরে ও টিটকারী করে ন্যাড়া বাংগাল ইত্যাদি নাম ও উপাধি দিয়েছিল তখন বাংগালী মুসলমানরা আসলেই ন্যাড়া ছিল না বরং পরবর্তীতে তারা প্রকৃত ন্যাড়া ও বাংগাল হয়ে গেছে বা হয়ে রয়েছে বা তাদেরকে বানানো হয়েছে ( যেটাই হোক না কেন )!!

আর এ ন্যাড়ামি দূর হওয়া দরকার ও একান্ত বাঞ্ছনীয়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .