রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, এ খবর সংক্রান্ত কিছু কথা :

মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও যুরার ( যুক্তরাজ্য ) এ সব হামলায় কাজ হবে না কেবল বেসামরিক মানুষ হতাহত হওয়া ছাড়া। এই মাযুরা ও যুরা এবং এ দুটোর মতো ইসরাইল ও অন্য সকল পশ্চিমা ও প্রাচ্যের দেশ সমূহ যেমন : জাপান ( বিংশ শতকের শুরুতে এবং ২য় মহাযুদ্ধের সময় ) বেসামরিক নিরীহ জনগণকেই শুধু হত্যা করতে পারে। এরা ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য মানবতাবিরোধী এ সব জঘন্য যুদ্ধাপরাধ অবলীলায় করে থাকে। এদের এ সব অপরাধ করতে এদের বিবেক কোনো বাঁধাই দেয় না। আসলে এদের বিবেক আছে কিনা সন্দেহ। আসলে এরা ( পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য ) বিবেক বর্জিত কট্টর বস্তুবাদী ভোগবাদী। এদের দিয়ে কেবল এগুলোই সম্ভব । হুসিদের দাবি একটাই এবং তা হচ্ছে যে ইসরাইল গাযায় আগ্রাসন , ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা বন্ধ করলে তারাও ইসরাইলের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজ সমূহের ওপর তখন হামলা বন্ধ করে দিবে। কিন্তু মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও যুরা ( যুক্তরাজ্য ) সেটা না করে ক্ষ্যাপা পাগলা কুত্তা ইসরাইলকে গাযায় আগ্রাসন , ধ্বংস যজ্ঞ ও গণহত্যা থেকে বিরত না রেখে হুথিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এ বছরের ( ২০২৪ ) সেই জানুয়ারির শুরু থেকে । কিন্তু তাতে সমস্যার সুষ্ঠু ও ন্যায্য সমাধান হয়েছে ? বরং তা দিন কে দিন আরও বিস্তৃত হয়েছে ও হচ্ছে! (মাযুরা - যুরার যৌথ বিমান হামলা)

আসলে ইসরাইলের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজ সমূহের ওপর হুসিদের হামলা ফলপ্রসূ হয়েছে যা নিম্নোক্ত ইসরাইলী পত্রিকা জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনেই ব্যক্ত হয়েছে :

ইসরাইলের ওপর হুথিদের আক্রমণ ইলাত বন্দর , আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলছে। সূত্র :https : // www.jpost.com / middle -east / article - 804479

আর মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) অত্যাধুনিক ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল ( ৩০ মিলিয়ন ডলারের) আরেকটা MQ - 9 Reaper ড্রোন এই গত ২৮ মে ২০২৪ ইয়েমেনে ভূপাতিত হয়েছে এবং এটা সহ এই মে মাসে এ ধরনের তিনটা ড্রোন ইয়েমেনে ভূপাতিত হয়েছে হুসিদের হাতে ( সূত্র : AP )!!!

দেখুন : Another US MQ - 9 Reaper Drone goes down in Yemen , images purportedly show AP by Jon Gambrell , 29- 5- 2024

তাই দেখা যাচ্ছে যে ইয়েমেনে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরার ৬ মাস ধরে উপর্যুপরি হামলা হুসিদের সিদ্ধান্ত ও তৎপরতার ওপর মোটেও প্রভাব ফেলতে পারছে না । মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)ও যুরার ( যুক্তরাজ্য) এত সব হামলা সত্ত্বেও হুথিরা তাদের তৎপরতার পরিধি একের পর এক বাড়িয়েই চলেছে এবং তাদের থামার কোনো লক্ষণও নেই।

আসলে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা (যুক্তরাজ্য) , ইসরাইল তথা পাশ্চাত্য বিশ্বে প্রকৃত শান্তি চায় না । তারা চায় নয়া সাম্রাজ্যবাদের আওতায় সমগ্র বিশ্বকে নিজেদের পদানত রাখতে। তাই তারা এতসব আগ্রাসন, হামলা , ধ্বংসযজ্ঞ , গণহত্যা ও ফিতনা - ফাসাদ পুরো বিশ্ব জুড়ে করে বেড়াচ্ছে । ঘোড়ার ডিম সর্বস্ব শিল্প বিপ্লব করে পাশ্চাত্য বিশ্ব জুড়ে প্রাকৃতিক ও পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে গোটা মানব জাতিকে হয় আগামী ১০০০ বা ৬০০ বা ১০০ বা কয়েক দশক বা ১৮ - ২০ বছরের মধ্যে মহাবিলুপ্তির দিকে নিয়ে যাবে ! আর পাগলা উন্মাদ বস্তুবাদী ভোগবাদী পাশ্চাত্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বস্তুবাদী ভোগবাদী সর্বভুক প্রাচ্যও ( জাপান ,দক্ষিণ , কোরিয়া , চীন , ভারত ,হংকং, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ) মারাত্মক বল্গাহীন ধ্বংসাত্মক শিল্প বিপ্লব ঘটিয়ে মানবজাতির মহাবিলুপ্তির হোলি খেলায় মত্ত হয়ে আছে! শিল্পোন্নত পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য উভয়েই তীব্র ধর্মবিরোধী এবং অবৈধ অবাধ যৌনাচারে অভ্যস্ত এবং এদের সিংহ ভাগ বা বিরাট সংখ্যক জনগণ হচ্ছে হারামযাদা , জারজ ও বাস্টার্ড। তাই এদের থেকে কোনো ভালো কিছু আশা করা নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ ।

হে চাক্ষুষমান জ্ঞানীগণ ! ভাবুন চিন্তাভাবনা করুন । ফা'তাবিরূ ইয়া উলিল আবসার ।

فَاعْتَبِرُوْا یَا أُولِي الْأَبْصَارِ .