۳۰ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۱ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 19, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

১৯৪৩ সালেও ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ষাঁড় ( স্যার ? ) উইনস্টোন চার্চিলের কর্তব্যে অবহেলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ভিক্ষ মোকাবেলার যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: পর্ব ৩- ১৯৪৩ সালেও ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ষাঁড় ( স্যার ? ) উইনস্টোন চার্চিলের কর্তব্যে অবহেলা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ভিক্ষ মোকাবেলার যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বাংলার খাদ্য শস্য জব্দ করে এদেশ থেকে অন্যত্র সরিয়ে ফেললে এবং জাপানীদের বাংলা দখল ও অধিকারের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এ দেশে পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন ও কার্যকর এবং খাদ্য শস্য ও মালামাল পরিবহনের মাধ্যম সমূহ ধ্বংস করে ফেললে এ দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় এবং দেড় থেকে ৩ মিলিয়ন ( তবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে ৭ মিলিয়ন ) বাংলার অধিবাসী এ দুর্ভিক্ষে নিহত হয় বা প্রাণ হারায়। তাই যেমন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কালা শাসনের শুরু হয়েছিল মহাদুর্ভিক্ষ দিয়ে ( - বাংলা ১১৭৬ মম্বন্তর এবং ব্রিটিশ বেনিয়া শাসকগোষ্ঠী এ দুর্ভিক্ষ প্রতিকারের ব্যবস্থা না করে বরং কর বৃদ্ধি করে দুর্ভিক্ষ কবলিত অধিবাসীদের কাছ থেকে জোর করে বর্ধিত কর আদায় করে , খাদ্য সামগ্রী অবৈধভাবে মজুদ করে ও দাম বাড়িয়ে তীব্র কৃত্রিম খাদ্য ঘাটতি ও সংকট বাঁধিয়ে না খাইয়ে বাংলার জনগণের এক তৃতীয়াংশ ( ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি ) মৃত্যু মুখে প্রেরণ করে বরং বলাই শ্রেয় যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ভিক্ষকে নিপুণভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এদেরকে আসলে হত্যাই করেছে । - ) ঠিক তেমনি এই কালা বর্বর অমানবিক শাসন ও শোষণের অবসানও হয়েছিল মহাদুর্ভিক্ষের ( ১৯৪৩ সালের মহাদুর্ভিক্ষ ) মধ্য দিয়ে !!!  দুর্ভিক্ষ কবলিত করে , ভূমি সংস্কারের ধূয়ো তূলে সর্বনাশা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে , বাংলার ধন - সম্পদ ও ঐশ্বর্য লুটপাট করে মুঘল ও নবাবী আমলের উচ্চ ও মধ্য পদস্থ সরকারি আমলা ও কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বহিষ্কার করে বিশেষ করে মুসলিম অধিবাসীদের লাখেরাজ ও ওয়াকফ কৃত ভূসম্পত্তি ও জমি কেড়ে নিলে বাংলার সাধারণ প্রজা ও রায়ত শ্রেণী বিশেষ করে মুসলমানরা একেবারে ভূমিহীন , দরিদ্র ও  কপর্দকহীন হয়ে যায় । আর উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে মুসলমানদের ছোট বড় সকল বিদ্যালয় ( তখন মাদ্রাসা বলা হত ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে চরম শিক্ষা বিপর্যয় ঘটে। এরফলে বাংলার আপামর জনসাধারণ এবং বিশেষ করে মুসলমানদের লেখাপড়া শেখা ও এমনকি ব্রিটিশ প্রবর্তিত শিক্ষাগ্রহণেরও আর্থিক সামর্থ্য ও সংগতি আর বজায় ও বিদ্যমান থাকে নি ।…চলবে…

تبصرہ ارسال

You are replying to: .