۱۶ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۶ شوال ۱۴۴۵ | May 5, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী

হে আমার স্বামী! হে আমার ভাই! হে আমার প্রাণপ্রিয় সন্তান! আপনারা যখন আপনাদের বাড়ির বাইরে যাবেন, তখন আপনাদের দুই ধরণের মহিলাদের সাথে সাক্ষাত হবে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী বলেন: একজন শিক্ষিকার বার্তা যা স্বর্ণাক্ষরে লেখা উচিত।

হে আমার স্বামী! হে আমার ভাই! হে আমার প্রাণপ্রিয় সন্তান!

আপনারা যখন আপনাদের বাড়ির বাইরে যাবেন, তখন আপনাদের দুই ধরণের মহিলাদের সাথে সাক্ষাত হবে।

প্রথম প্রকার।

এমন একজন মহিলা যিনি মিশরের রাজার স্ত্রীর ন্যায় মহা ব্যাধিতে আক্রান্ত। তিনি সুন্দর ভাবে সাজগোজ করে, আতর স্নান করে, বেপর্দা-বেহায়া ও উলঙ্গ হয়ে তোমার সম্মুখীন হবে। আর মধুর কন্ঠ দ্বারা তোমাদের আকর্ষিত করবে।

وَرَاوَدَتْهُ الَّتِي هُوَ فِي بَيْتِهَا عَنْ نَفْسِهِ وَغَلَّقَتِ الْأَبْوَابَ وَقَالَتْ هَيْتَ لَكَ ۚ

এবং হযরত ইউসুফ (আঃ) যে মহিলার বাড়ীতে ছিলেন সে তাঁকে তাঁর উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত করে নিজের প্রতি আকর্ষিত করার চেষ্টা করে এবং সমস্ত দরজা বন্ধ করে বলে : আসুন (আসুন)।

ইউসুফ ২৩..

দ্বিতীয় প্রকার।

এমন একজন মহিলা যিনি পর্দার আড়ালে থাকেন, কিন্তু পরিবেশ ও পরিস্থিতি তার প্রয়োজন মেটাতে তাকে বাইরে যেতে বাধ্য করেছে। তার ভাষা নিম্নরূপ হবে :

قَالَتَا لَا نَسۡقِیۡ حَتّٰی یُصۡدِرَ الرِّعَآءُ وَ اَبُوۡنَا شَیۡخٌ کَبِیۡرٌ

তারা উভয়েই বলেন : এই রাখাল (নিজের পশুদের নিয়ে) ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা পানি পান করাতে পারব না এবং আমাদের পিতা বড়ই বৃদ্ধ হয়ে গেছেন।

আল ক্বাসাস ২৩...

সুতরাং, প্রথম প্রকারের মহিলার সাথে [হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর আচরণ অবলম্বন করবে, চোখে লজ্জায় সুরমা লাগিয়ে নিজের চক্ষু ঝুকিয়ে রাখবে এবং বলবে : "মুআদআল্লাহ" আল্লাহ রক্ষা করুন]

এবং অন্য শ্রেণীর মহিলার সাথে [হযরত মূসা (আঃ)-এর রীতি অবলম্বন করবে, মহান শালীনতার সাথে সেবা প্রদানের মাধ্যমে নিজস্ব পথ অবলম্বন করবে।]

فَسَقَىٰ لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّىٰ إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ

হযরত মূসা (আঃ) তাদের (পশুদের) পানি পান করালেন, অতঃপর ছায়ার দিকে ফিরে গেলেন এবং বললেন : হে আমার রব! আপনি আমাকে যা কিছু উত্তম দান প্রেরণ করেছেন আমি তার মুখাপেক্ষী।

আল ক্বাসাস ২৪...

কারণ হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর পবিত্রতা তাঁকে মিশরের শাসক নির্বাচন করে তুলেছিল।

আর হযরত মূসা (আঃ)-এর নিঃস্বার্থ ও মর্যাদাবান এবং উন্নত সেবার কারণে মহান আল্লাহ তায়ালা একাকিত্বের অবস্থায় তাঁকে আশ্রয় ও সৎকর্মী স্ত্রীর দান করেছিলেন।

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পবিত্রতা এবং মর্যাদা দান করুন।

একজন মহিলার পোশাক তার পিতার "প্রশিক্ষণ", তার ভাইয়ের "আত্ম অহংকার", তার স্বামীর "সম্মান", তার মায়ের "যত্ন", এবং সর্বপ্রথমে সর্বশক্তিমান আল্লাহ সাথে তার সম্পর্কের বর্ণনা দেয়।

এ কারণেই লোকেরা হযরত মরিয়ম (সাঃআঃ)-কে বলেছিল :

يَا أُخْتَ هَارُونَ مَا كَانَ أَبُوكِ امْرَأَ سَوْءٍ وَمَا كَانَتْ أُمُّكِ بَغِيًّا

হে হারুনের বোন! আপনার বাবা না খারাপ মানুষ ছিলেন এবং না আপনার মা চরিত্রহীন ছিলেন।

মরিয়ম ২৮...

(হযরত মরিয়ম সাঃআঃ হযরত হারুন আঃ এর বংশ থেকে ছিলেন সম্ভবত এই জন্য তাঁকে হযরত হারুন আঃ এর বোন বলে সম্বোধন করা হয়েছে।)

হযরত মরিয়মের সাথে সাথে তাঁর ভাই, পিতা এবং মাকেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাঁদের লালন-পালন ও ধার্মিকতায়ই মেয়েদের লালন-পালন ও সতীত্ব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

একজন ভদ্র মহিলা বলেন :

 আমি যখন কোনও মেয়েকে ফ্যাশন শো ও প্রদর্শনীতে এবং নির্লজ্জভাবে আঁটসাঁটো পোশাক পরে দেখি, তখন তার পিতা-মাতার সম্পর্কে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার প্রতিশ্রুতি আমার মনে ঘুরতে শুরু করে :

وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ

এদের দাড় করাও, এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ (দায়বদ্ধতা আছে) করা হবে।

সা'ফ্ফাত ২৪...

তাই তখন আমি আরও লজ্জাশীল হয়ে উঠি যাতে আমার বাবা-মায়ের কাছে আমার সম্পর্কে প্রশ্ন না করা হয় !!!

পৃথিবীর সমস্ত হারাম জিনিসগুলো জান্নাতে হালাল হয়ে যাবে "অশ্লীলতা এবং নগ্নতা " ব্যতীত। মহান আল্লাহ তা'আলা উভয়কেই ইহকালে ও পরকালে হারাম করেছেন। বরং পোশাক এবং অঙ্গকে ঢেকে রাখা এক বিরাট বড় নেয়ামত।

إِنَّ لَكَ أَلَّا تَجُوعَ فِيهَا وَلَا تَعْرَىٰ

নিশ্চয়ই ওই জান্নাতে আপনি না ক্ষুধার্ত থাকবেন আর না নগ্ন।

ত্বাহা ১১৮...

হে আমার মনিব! উম্মাহর কন্যা এবং পুত্রদের রক্ষা করুন এবং তাদেরকে ঈমানের উপর মৃত্যু বরণ করার অনুপম আবেগ প্রদান করুন। আমীন

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .