হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: পর্ব ৪- তারপর কানাডার আদিবাসীদের ধর্ম , সংস্কৃতি ও ভাষা যেমন মিটিয়ে দিয়েছে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় দখলদারেরা এবং আদিবাসী শিশুদের কে তাদের পিতা-মাতাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ও ছিনিয়ে নিয়ে ক্যাথলিক মিশনারিদের পরিচালিত স্কুলগুলোতে ( কসাই খানা ) এনে জোর করে ধর্মান্তরিত করে ব্রিটিশ ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শিক্ষা ও সংস্কৃতির সবক দেওয়া হত এবং আদিবাসী ভাষা ও সংস্কৃতির বদলে ঔপনিবেশিক ভাষা ও সংস্কৃতিতে প্রশিক্ষিত করা হত ঠিক তেমনি ভারতবর্ষ ও বাংলায় ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থার টার্গেট ছিল এ দেশে ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের অস্তিত্ব মুছে দিয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ধ্যান ধারণা ও কৃষ্টির উপর এ দেশীয় দের মধ্য থেকে একদল পোষ্য বশংবদ তল্পি বাহক এজেন্ট তৈরি করা যারা সব সময় এ দেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অবৈধ স্বার্থ সংরক্ষণ করবে । এ সময় আলেম সমাজ জাতির ঈমান ও ধর্ম রক্ষার জন্য ব্রিটিশ অধিকৃত ভারতবর্ষকে দারুল হারব ( যুদ্ধ এলাকা ও অঞ্চল ) এবং ব্রিটিশ প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা হারাম ঘোষণা না করলে এখন আমরা ধূতি ও গলায় পৈতা পরে " হরে কৃষ্ণ হরে রাম " অথবা গলায় ক্রস ঝুলিয়ে " ও জেসাস ক্রাইস্ট ! সেভ আস " এবং " ও মাই গাড্ " বলতাম ও যপতাম । আজ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মুসলমানের মধ্যে হয়তো অতি মুষ্টিমেয় কিছু মুসলমান বিদ্যমান থাকত। অথবা বাংলার মুসলমান শিশুদের পরিণতি হয়তো কানাডার হতভাগ্য আদিবাসী শিশুদের মতোও হতে পারত যদি মুসলমানরা ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শিক্ষানীতি মেনে নিত এবং নিজেদের সন্তানদেরকে ও সময় ইংরেজদের হাতে তুলে দিত ও ইউরোপীয় মিশনারি পরিচালিত স্কুল গুলোতে পাঠাত। যদিও অনেকেই ভারত ও বাংলার মুসলমানদের ব্রিটিশ প্রবর্তিত শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ার জন্য আলেম সমাজের এ ফতোয়াকে দায়ী করে । কিন্তু মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষার সংকট মোকাবেলায় এ ফতোয়ার অপরিসীম ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে যা
অনস্বীকার্য । যদি কারো কাছে ধর্ম , নীতি ও আদর্শের মূল্য না থাকে তার কাছে এ ফতোয়ার কোনো গুরুত্ব নেই । সমাপ্ত
(হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান)