۲۴ آبان ۱۴۰۳ |۱۲ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 14, 2024
আয়াতুল্লাহ আ’রাফী
আয়াতুল্লাহ আ’রাফী

হাওজা / বিভিন্ন ক্ষেত্রে জিহাদী ভাবে খেদমত করার এই বিষয়টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আলেমদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের হাওজায়ে ইলমিয়ের সম্মানিত প্রধান বলেছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জিহাদী ভাবে খেদমত করার এই বিষয়টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আলেমদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত। তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় আমাদের একদল পূর্বপুরুষ, বুজুর্গণ এবং আলেমরা, বিশেষত যারা সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতেন, তারা জনগনের খেদমত করতে গিয়ে সর্বদাই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতেন। আর এই বিষয়টি রুহানী তথা আলেমদের জন্য গর্বের বিষয়।

আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আ’রাফী ইরানে কোম শহরের ‘মাদ্রাসায়ে ইলমিয়াতে অনুষ্ঠিত “রুহানীদের জন্য নির্মিত ওয়েবসাইট” উদ্বোধনকালে বলেছেন, সারাদেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা যেসব জিহাদী বা স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে, তা আলেমগণ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গর্বের একটি বিষয়। তিনি বলেন, জিহাদী কর্মকাণ্ডের পরিমন্ডল হল একটি নতুন ও সৃষ্টিশীল পরিমন্ডল।

আয়াতুল্লাহ আরাফী এই ওয়েবসাইটের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এই সাইটের মাধ্যমে জিহাদী কর্মকাণ্ডে যারা অংশগ্রহন করে, তাদের কাজকর্মের মান ধরনের উন্নয়নকল্পে এই ওয়েব সাইটটি খুবই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, এই পরিবরতন ও উন্নয়ন সাধনের জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদেরকে খালেস নিয়ত এবং আরো অধিক দৃঢ়চিত্তে প্রচেষ্টা দ্বারা অর্জন করতে পারে।

আয়াতুল্লাহ আ’রাফী আরো বলেছেন, ইরানের হাওজায়ে ইলমিয়ের সম্মানিত প্রধান বলেছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জিহাদীভাবে খেদমত করার এই বিষয়টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও আলেমদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত। তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় আমাদের একদল পূর্বপুরুষ, বুজুর্গগণ এবং আলেমরা, বিশেষত যারা সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতেন, তারা জনগনের খেদমত করতে গিয়ে সর্বদাই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতেন। আর এই বিষয়টি রুহানী তথা আলেমদের জন্য গর্বের বিষয়।

তিনি আরো বলেন, সমসাময়িক যুগে এবং গত শতাব্দীতে ইরানের কোম শহরের হওজায়ে ইলমিয়া তথা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আয়াতুল্লাহ হায়েরী (রহ.) এর মত ব্যক্তি, যিনি ছিলেন কোম শহরের নতুন হওজায়ে ইলমিয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বিভিন্ন ধরনের সামাজিক উন্নয়নমূলক ও সেবামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতেন। এছাড়াও আয়াতুল্লাহ বুরুজারদি, আয়াতুল্লাহ গুলপয়গানি ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে অংশগ্রহণ করতেন।

আয়াতুল্লাহ আরাফী বলেছেন, ইরানের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির আলেমরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের উৎকৃষ্ট যোগ্যতা ও সক্ষমতার প্রমান রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এবং কয়েকবারে সৃষ্ট বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আলেমগণ সুসংগঠিতভাবে এসব দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষদের সেবা কার্যক্রমে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তা স্বেচ্ছাসেবীমূলক কর্মকাণ্ডের এই ক্ষেত্রে নতুন এক দিগন্তের সূচনা করেছে।

তিনি আরো বলেছেন, যেসব ছাত্ররা সরাসরি জিহাদী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে, তাদেরক প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, আমাদের এই জিহাদী কর্মকাণ্ড যেন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ও সক্রিয় গোষ্ঠীদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি না করে।

হওজায়ে ইলমিয়ের সম্মানিত প্রধান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল- মানুষকে উৎসাহ দেয়া, তাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করা, সামাজিক নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা, দিকনির্দেশনা প্রদান করা, সাধ্যমত মানুষদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করা এবং মাঝে মাঝে সামগ্রিকভাবে পথপ্রদর্শনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা। তবে এর অর্থ এটা নয় যে, এই কর্মকাণ্ডের কারনে তাঁদের এখতিয়ার ও ইচ্ছা- অনিচ্ছা কেড়ে নেয়া হবে এবং তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাজ-কর্ম থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখবে।

তিনি বলেছেন, আলেমগণ যেসব সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন, তার তিনটি দিক রয়েছে- প্রথম দিক হল- রুহানী আলেমগনের কর্তব্য হচ্ছে তারা অন্যান্য মানুষদের মত চিন্তা-ভাবনা, আকীদা-বিশ্বাস, চরিত্র এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দূরে থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবে। কখনো কখনো এর থেকেও বাড়িয়ে বলা হয় যে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের যেসব ছাত্ররা স্বেচ্ছাসেবক হয়ে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে, তারা সাংস্কৃতিক ও ঈমানী বিষয়াবলীকে এভাবে উজ্জ্বল ও আলোকিত করে তোলে যে, এই উজ্জলতা মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। তবে মধ্যমপন্থা ও সঠিক পন্থা অবলম্বনের জন্য প্রজ্ঞা ও অভিরুচির প্রয়োজন হয়। সুতরাং এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই ধর্মীয় ছাত্ররা এবং আলেমরা জনগনের খেদমত করে থাকেন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .