হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: ঈমানের উৎকর্ষতায় আত্মিক ও আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির অর্জনের গুরুত্ব ও উপায়! সম্পর্কে জনাব রাসেল আহমেদ রিজভী হাওজা নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন:
মানুষ নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যেভাবে নিয়মিত খাদ্য গ্রহণ করে ও যাবতীয় অনিষ্ট থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করে, ঠিক তেমনি অন্তরকে পবিত্র রাখার জন্য নিয়মিত খাদ্য প্রদান ও পরিচর্যা প্রয়োজন। ঈমান ও নেক আমল হলো সেই খাদ্য। শরীর যেমন খাদ্য পেয়ে শক্তি অর্জন করে, তেমনি অন্তরও নেক আমলের মাধ্যমে শক্তি অর্জন করে। আত্মার স্বরূপ নিয়ে আল্লাহ রাব্বুুল আলামিন এতটুকুই বলেছেন, ‘এটি মহান আল্লাহর একটি হুকুম।’ [সূরা ইসরা: ৮৫] স্রষ্টার পক্ষ থেকে নাজিলকৃত এ তাৎপর্যময় হুকুমের পবিত্রতা রক্ষা করাই মানুষের প্রধান কর্তব্য। এ কর্তব্য পালনই মানুষকে পূর্ণতার পথে নিয়ে যেতে পারে। এজন্য ব্যক্তির মাঝে তাজকিয়াতুন নফস বা আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি সাধন করা ইসলামের মৌলিক লক্ষ্য। ইসলামের সব নিয়মতান্ত্রিক ইবাদত একই লক্ষ্যে নিবেদিত। বলা যায়, আত্মশুদ্ধিতার ওপরই নির্ভর করে মানুষের যাবতীয় কার্যক্রম ও তার ফলাফল। ইসলাম মানুষের দেহের থেকে আত্মার পরিশুদ্ধার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘সাবধান! মানুষের দেহের অভ্যন্তরে একটি পিন্ড- রয়েছে, যদি তা পরিশুদ্ধ হয়; তবে পুরো দেহই পরিশুদ্ধ হয়; আর যদি তা বিকৃত হয়ে যায়; তবে পুরো দেহই বিকৃত হয়ে যায়। সেটা হলো কলব বা আত্মা।’
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে বারংবার অন্তরাত্মাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য যেমন তাগিদ দিয়েছেন, তেমনি এটা অর্জনের ওপরই মানুষের সফলতা, ব্যর্থতাকে নির্ভরশীল করে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন: ‘যে ব্যক্তি নিজেকে পরিশুদ্ধ করল সে-ই সফল, আর ব্যর্থ সে-ই, যে নিজের অন্তঃকরণকে কলুষিত করল।’ [সূরা শামস: ৯-১০]
আত্মশুদ্ধি অর্জন জান্নাত লাভেরও উপায়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার প্রভুর সামনে উপস্থিত হওয়াকে ভয় করে এবং নিজের অন্তরকে কুপ্রবৃত্তি থেকে দূরে রাখে, জান্নাতই হবে তার জন্য চূডান্ত আবাসস্থল।’ [সূরা নাজিআত: ৪০-৪১]
রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন ব্যক্তি সর্বোত্তম? তিনি বলেন, ‘ওই ব্যক্তিই সর্বোত্তম, যে সত্যবাদী ও পরিচ্ছন্ন অন্তরের অধিকারী, যা পাপাচার, অবিচার, প্রতারণা ও হিংসা থেকে মুক্ত।’ [ইবনে মাজাহ : ৪২১৬] …চলবে…