۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
এক মসজিদের দেশ স্লোভাকিয়া

মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়া। স্থলবেষ্টিত দেশটির অফিসিয়াল নাম স্লোভাক রিপাবলিক। দেশটির উত্তর-পশ্চিমে চেক প্রজাতন্ত্র। উত্তরে পোল্যান্ড ও পূর্বে ইউক্রেন। দক্ষিণে রয়েছে হাঙ্গেরি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অস্ট্রিয়া।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়া। স্থলবেষ্টিত দেশটির অফিসিয়াল নাম স্লোভাক রিপাবলিক। দেশটির উত্তর-পশ্চিমে চেক প্রজাতন্ত্র। উত্তরে পোল্যান্ড ও পূর্বে ইউক্রেন। দক্ষিণে রয়েছে হাঙ্গেরি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অস্ট্রিয়া।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি স্লোভাকিয়া। পাহাড়, দুর্গ ও গুহায় পরিবেষ্টিত। দেশটিতে প্রায় ২০০টি দুর্গ রয়েছে। দুর্গগুলো দেখার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান। এ ছাড়াও ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুহা রয়েছে এ দেশটিতে। স্লোভাকিয়ার গুহাগুলো এতটাই নয়নাভিরাম যে, এগুলোকে পৃথিবীর স্বর্গ বলা হয়।

স্লোভাকিয়া চেকোস্লোভাকিয়ার অংশ থাকাকালে উসমানিরা বিজয় লাভ করেছিল। এরপর তারা মোরাভিয়ান অঞ্চলের রাজধানী বোর্নো অঞ্চলটিও জয় করে। তারা সেখানে কিছু মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে।

তুর্কিরা সেখানে দীর্ঘদিন না থাকলেও তাদের কারণে এ অঞ্চলে অনেকে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিল। তুর্কিরা ইউরোপের মধ্যাঞ্চল ছেড়ে আসার পর মুসলমানরা সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের মসজিদগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মাদ্রাসাগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে ধর্মীয় সহনশীলতা আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত অনেকেই দেশে ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।

ইসলামকে দেশীয় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রীয় সম্রাট ফ্রাঙ্কোস জোসেফ দ্বিতীয় নতুন আইন পাস করেন। ফলে তখন মুসলমানরা নতুন করে ধর্ম পালনের সুযোগ পান। তখন দেশটিতে আবারও মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মিত হতে থাকে।

বেশ কয়েকটি সেবাসংস্থা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গঠিত হয় চেকোস্লোভাকিয়া ইসলামিক ইউনিয়ন। পরবর্তী সময়ে চেকোস্লোভাকিয়া ইসলামি ইউনিয়ন বিভিন্ন প্রকাশনা ও একটি সংবাদপত্র (ইকো) প্রকাশ করে। এমনকি চেকোস্লোভাকিয়ান ভাষায় পবিত্র কোরআনের তিনটি অনুবাদও প্রকাশিত হয়।

২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দেশটিতে মুসলমানদের সংখ্যা ১০ হাজার ৬০০ জন। জনসংখ্যা আনুমানিক প্রায় ২ শতাংশ। যদিও কিছু সংখ্যক মুসলমান বিশ্বাস করেন, বর্তমানে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ৬ শতাংশ।

আধুনিক তুরস্কের কিছু আরব শিক্ষার্থী দেশটিতে অবস্থান করায় এ সংখ্যা বেড়েছে। যাদের বেশির ভাগই বাস করেন ব্রাতিস্লাভায়। স্থানীয় মুসলিমরাও রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় বাস করেন। এ ছাড়া বর্নো, প্রাগ ও ট্র্যাজে শহরে মুসলমানদের নিবাস রয়েছে। তবে পুরো দেশজুড়ে একটি মাত্র মসজিদ রয়েছে।

মুসলিম সংখ্যালঘু ও শিশুদের সহায়তা দিতে বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন ও সমিতি নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইসলামিক অ্যান্ডোউমেন্ট সোসাইটি ও মুসলিম ছাত্র সাধারণ ফেডারেশন অন্যতম। এসব সংগঠন নিজেদের ধর্মীয় সংস্কৃতি ও মুসলিম উম্মাহ নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে। ইসলামের রূপ-বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য তুলে ধরতে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .