۲۲ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۳ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 11, 2024
হযরত ফাতিমা (আঃ)
হযরত ফাতিমা (আঃ)

১-লা জিলহজ আজকের দিনে মওলা আঃএর সঙ্গে হযরত ফাতিমা আঃএর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল

হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলাঃ আজকের দিনটি হলোঃ স্বর্গীয় হুর হযরত ফাতিমা (আঃ)-এর স্বর্গীয় বিবাহের দিন ৷

পৃথিবীর শ্রেষ্ট নর-নারী, অর্থাৎ শ্রেষ্ট দাম্পত্য জীবনের শুরুর দিন ৷

১-লা জিলহজ আজকের দিনে মওলা আঃএর সঙ্গে হযরত ফাতিমা আঃএর শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল ৷ তাই আজকের দিনটি মহা খুশির দিন ৷ ঈদের দিন ৷

এই বিবাহটি এমন এক বিবাহ, যে বিবাহ দুবার হয়েছিল ৷

প্রথম আল্লাহপাক আরসে মোয়াল্লায় নিজে আলী-ফাতিমা'র বিবাহ দিয়েছিলেন, পরে ফারসে(দুনিয়ায়) আল্লাহর আদশে নবীপাক দিয়েছিলেন৷

এজন্য হযরত ফাতিমা আঃ)-থেকে দু' ধরনের সন্তান দুনিয়াতে এসেছে ৷

আরসে বিবাহের জন্য জান্নাতি মাসুম সন্তান এসেছে ৷

আর ফারসে বিবাহের জন্য দুনিয়াবী শাদাত অর্থাৎ সৈয়দ ধারা এসেছে ৷

'সাফিনাতুর বিহার' নামক গ্রন্থে সেখ আব্বাস কুম্মী লিখেছেনঃ ফাতিমা আঃএর বিবাহ দুবার হয়েছে ৷ আরসে ও ফারসে ৷ ফারস আরবী শব্দ, ফারস মানে জমিন ৷

৬-ষ্ট ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আঃ)কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, হে ইমাম আপনি বলুন, "আপনার দাদী, হযরত ফাতিমা আঃএর বিবাহের মোহরানা ছিল ৫০০ দিরহাম ৷ কিন্তু আরসে বিবাহের মোহরানা কি ছিল ??

এই প্রশ্নের জবাবে ইমাম বলেছেনঃ " হযরত আলী আঃ হলেন জান্নাত জাহান্নামের বন্টনকারী, তাই হযরত আলী আঃ আরসে বিবাহের সময় মোহরানা হিসাবে জান্নাতের ও জাহান্নামের কিছু অংশ ফাতিমা আঃকে প্রদান করেছিলেন ৷ অর্থাৎ হযরত ফাতিমা আঃও জান্নাত জাহান্নামের বন্টনকারী ৷ ফাতিমা আঃও তাঁর অনূসারীকে জান্নাত প্রদান করার ক্ষমতা রাখেন, আর তাঁর শত্রুদেরও জাহান্নামে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখেন ৷

সুধু এতটুকু নয়, বরং আরসে বিবাহের মোহরানার মধ্যে দুনিয়ার তিন ভাগের একভাগ ফাতিমা আঃকে মওলা আলী দিয়েছিলেন, অর্থাৎ দুনিয়ার তিনভাগের একভাগ হলো মাটি, আর সেই মাটির ভাগটিই মওলা আলী ফাতিমা আঃকে মোহরানা হিসাবে দান করেছিলেন ৷

তাহলে এ থেকে বোঝা যায়, এই যে মাটিই হলো জমিন অর্থাৎ ভূমি, আর ভূমিতেই আমাদের মানুষদের আবাসস্থল ৷

আর সেই আবাসস্থলে থাকতে গেলে ফা ফাতিমা আঃএর প্রতি মুয়াদ্দাত ফরজ করা হয়েছে ৷ (মহব্বত)

যারা ফাতিমা আঃএর প্রতি মুয়াদ্দাত করে না, তারা আসলে দুনিয়াতে অধিকারহীন যাযাবর সম্প্রদায় ৷ 

এজন্য আল্লাহপাক হযরত ফাতিমা আঃ এর রেজামন্দির উপরে আল্লাহপাক নিজের রেজামন্দি রেখেছেন ৷

এ প্রসঙ্গে নবীপাক সঃ বলেছেনঃ "ফাতিমা যাতে খুশি, আল্লাহ তাতে খুশি, আর ফাতিমা যাতে অসন্তুষ্ট, আল্লাহ তাতে অসন্তুষ্ট ৷"

আর এখানে থেকে রাজিআল্লাহু আনহু বা রহমাতুল্লাহ শব্দটি এসেছে ৷ ফাতিমা আঃ যার প্রতি রাজী, তিনিই হবেন রাজিআল্লাহু আনহু ৷

লেখা: মুস্তাক আহমেদ

تبصرہ ارسال

You are replying to: .