۳۰ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۱ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 19, 2024
জেনিটিক্যালি মডিফাইড গোল্ডেন রাইস ক্যান্সার ডেকে আনতে পারে
জেনিটিক্যালি মডিফাইড ( জিএম ) গোল্ডেন রাইস চাষের বিস্তার ঘটালে ধানের আদি নিবাস ও উৎপত্তি স্থল বাংলাদেশে কৃষকরা বীজের অধিকার হারাবে এবং ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বাড়বে।

হাওজা / জেনিটিক্যালি মডিফাইড ( জিএম ) গোল্ডেন রাইস চাষের বিস্তার ঘটালে ধানের আদি নিবাস ও উৎপত্তি স্থল বাংলাদেশে কৃষকরা বীজের অধিকার হারাবে এবং ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বাড়বে।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ আবদুর রহমান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, জেনিটিক্যালি মডিফাইড ( জিএম ) গোল্ডেন রাইস চাষের বিস্তার ঘটালে ধানের আদি নিবাস ও উৎপত্তি স্থল বাংলাদেশে কৃষকরা বীজের অধিকার হারাবে এবং ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বাড়বে এ ধরনের জিএম গোল্ডেন রাইস উৎপাদনে কীট নাশক ও রাসায়নিক সারের বেশি ব্যবহারের জন্য ( বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন বণিক বার্তার এ প্রতিবেদনটি : " গোল্ডেন রাইসের অনুমোদনে বীজের অধিকার হারাবে কৃষক, বাড়বে স্বাস্থ্যঝুঁকি । " ) আর দেশের খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া পুরোপুরি বহুজাতিক বিদেশি বীজ কোম্পানির হাতে চলে যাবে । কারণ গোল্ডেন রাইসের বীজের মেধাসত্ত্ব রয়েছে সিনজেনটা নামের একটি বহুজাতিক বীজ কোম্পানির কাছে এবং সরাসরি ঐ কোম্পানি নিজে বা এর স্থানীয় শাখা বাংলাদেশী কোনো কোম্পানির মাধ্যমে এই ধানের বীজ উৎপাদন , বিপণন ও বাজার জাত করন করবে । আর এর ফলে দেশি ধানের জাত গুলো সম্পূর্ণরূপে অথবা বেশির ভাগটাই বিলুপ্ত হয়ে যাবে । (গোল্ডেন রাইস ক্যান্সার ডেকে আনতে পারে)

দেশ খাদ্য উৎপাদনে পুরোপুরি বিদেশি বহু জাতিক কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব হারাবে এবং দেশ , রাষ্ট্র ও জাতি যিম্মী ও পণ - বন্দী হয়ে যাবে ঐ ধরনের বহুজাতিক বিদেশি কোম্পানির কাছে । ভারতের কৃষকরা এখন মূলত বীজের অধিকার হারিয়ে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি যেমন : মোসান্তো এবং সুদখোর মহাজনদের কাছে যিম্মী ও পণবন্দী হয়ে গেছে এবং তারা মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে শস্য বীজ , রাসায়নিক সার , কীটনাশক কেনে এবং সেচের পানির খরচ পরিশোধ করে‌ এবং পশু খাদ্য ও জ্বালানি কিনতে হয় তাদের । উচ্চফলনশীল বীজ কিনে চাষাবাদের কারণেই এত কিছু কেনার জন্য ভারতীয় কৃষকদের খরচ ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে গেছে। আগে নিজেরা যখন বীজ উৎপাদন করত এবং সেই বীজ বপন করে জমিতে ফসল ফলাত তখন রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের জন্য আদৌ তাদের খরচ করতে হত না বা সামান্য খরচ করতে হত । আর বীজের জন্য তো কোনো অর্থ খরচ করতেই হত না তাদের । কারণ বীজ তো ছিল তাদের নিজেদের। পশু খাদ্য ও জ্বালানি কিনতে হত না । কারণ দেশি ফসল ও শস্য থেকে যে খড়কুটো তারা পেত সেটা দিয়ে গো ও পশু খাদ্য হয়ে যেত এবং ঐ খড়কুটো দিয়ে জ্বালানির চাহিদাও মিটে যেত এবং ঘর মেরামতের কাজেও তা ব্যবহার করা হত । কিন্তু এত সব সুবিধার সাথে ফসলের ফলন হয়তো তখন কিছুটা কম হত কিন্তু তাতে কৃষক ও তার পরিবারের খাবার হয়ে যেত এবং যে সামান্য কিছু খাদ্য বা ফসল উদ্বৃত্ত থাকত তা বিক্রি করে কিছু নগদ অর্থ পেত কৃষক । আর বিক্রি না করলে গোলায় রেখে দিত ভবিষ্যতের সঞ্চয় হিসেবে। কিন্তু যখন থেকে বীজ উৎপাদনের অধিকার ভারতের কৃষকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির উৎপাদিত উফশী বীজ তাদের (ভারতীয় কৃষকদের ) দেওয়া হল সেদিন থেকে কৃষকের খাদ্য , জ্বালানি , পশু পালন সব খোয়া গেছে বরং উফশী বীজ ,সার , কীটনাশক এবং সেচের বাড়তি খরচ কৃষকদের ঘাড়ে আপতিত হয়েছে । আর প্রতি বছর বীজ , সার , কীটনাশক সেচ , জ্বালানি ও পশুখাদ্যের খরচ ও দাম বাড়ছে। খরা ও বন্যা এবং মূল্যবৃদ্ধির কারণে বীজ , সার ও কীটনাশক ঠিক সময় মত কিনে ব্যবহার করতে না পারার জন্য ফলন তেমন বাড়ছে না এবং কৃষক পরিবারের খাদ্য ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে যার ফলে কৃষককে পরিবারের ক্ষুধা মেটানোর জন্য বেশ কিছু খাদ্য - খাবার প্রতিবছর কিনতে হচ্ছে আরো ঋণ করে। ফলে মহাজনের ঋণ নিয়ে বাড়তি খরচ যেমন মিটাতে পারছে না ঠিক তেমনি মহাজনের চড়া সুদের ঋণও ঠিক সময় মতো পরিশোধ করতে না পারার জন্য সহায় সম্পদ হারাচ্ছে তারা এমনকি তাদের অনেকের পরিবার পর্যন্ত ভেঙে যাচ্ছে। আর এরফলে হাজার হাজার কৃষক ভারতে প্রতি বছর আত্ম হত্যাও করছে। তাহলে এই উফশী জিএম বীজ ভারতীয় কৃষকদের জন্য কত ভয়াবহ অর্থনৈতিক, সামাজিক ، খাদ্য - পুষ্টি ও নিরাপত্তা সমস্যার সৃষ্টি করছে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাচ্ছে। এ ধরনের সমস্যা গোল্ডেন রাইস কি বাংলাদেশি কৃষকদের জন্য বয়ে আনতে পারে ?!!!

আর এ ভাবে পশ্চিমাদের প্রকৃতি বিধ্বংসী বৈজ্ঞানিক প্রাযুক্তিক আধুনিক শিল্প ও কৃষির বদৌলতে বিশ্বজুড়ে যদি এ সব হাবিজাবি অখাদ্য - কুখাদ্যের বিস্তৃতি ও প্রসার ঘটে তাহলে মানবজাতি এ পৃথিবী থেকে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই যেমন: আগামী ১০০০ বছর বা ৬০০ বছর বা ১০০ বছর বা কয়েক দশক বা দুই দশক বা আগামী ১৮ বছরের মধ্যেই নাকি ডাইনোসরের মতো চির বিলুপ্ত হয়ে যাবে , পটল তুলবে ও অক্কা পাবে !!!! এখন তথাকথিত আধুনিক পশ্চিমা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিল্প মানব জাতি তথা জীব জগতের জন্য মহা বিপদ ও বালায়ে আযীমে পরিণত হয়ে গেছে মাত্র তিন শো বছরের মধ্যেই !! অথচ এই ছাইপাশ নিয়ে পাশ্চাত্য এবং তাদের অনুসারী ও পাচাটা তথাকথিত বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তিরা যারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সদৃশ তারা তো এখন দেমাগের ঠেলায় ধরণীর বুকে পাই ফেলতে চায় না !!!

যেখানে এ গোল্ডেন রাইসের হেলথ হ্যাযার্ড ( স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও বিপদ ) নিয়ে সারা বিশ্বে বিতর্ক থাকার জন্য ফিলিপাইনে এই জিএম ধানের চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে সার্বিক দিক বিবেচনা করত : বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস চাষের লাভ - ক্ষতি , উপকার ও অপকারিতা নিয়ে অবশ্যই সবার ভাবা উচিত।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .