۱۵ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۵ شوال ۱۴۴۵ | May 4, 2024
কানাডায় ইসলাম ফোবিয়া ও হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীদের উপর আক্রমণ
কানাডায় ইসলাম ফোবিয়া ও হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীদের উপর আক্রমণ

হাওজা / কানাডার আদিবাসী শিশুদের ধরে এনে কসাই খানা সদৃশ ক্যাথলিক চার্চ পরিচালিত চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাহীন আবাসিক বিদ্যালয়গুলোয় অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করতে এবং অপুষ্টির শিকার করে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন পাশ্চাত্যে বিশেষ করে তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারী ভদ্র সভ্য  কানাডায় এই ইসলাম ফোবিয়া ও হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীদের উপর আক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ?!!!

এ প্রশ্নের জবাব কানাডায় উড়ে এসে জুড়ে বসা এবং দেশটি জবরদখল কারী বহিরাগত ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের বর্ণ বৈষম্য বাদী চরম বস্তুবাদী লাম্পট্য পূর্ণ চরিত্রের মাঝেই সন্ধান করা উচিত ।

স্মর্তব্য যে কানাডা জবরদখলকারী বহিরাগত ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান লাম্পট্য , বেলেল্লাপনা , অবাধ অবৈধ যৌনাচার ও যৌনবিকৃতি , চরম ভোগবাদ , বর্ণবৈষম্য বাদ , সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক মনমানসিকতা ও বস্তুবাদই এই ইসলাম ফোবিয়া ও মুসলিম বিদ্বেষের মূল কারণ ।

যে ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত  বহিরাগত দখলদার শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা জাতিগত নিধন ও বহিরাগত দখলদার শ্বেতাঙ্গ সমাজ ও সভ্যতায় সম্পূর্ণ আত্তীকরণের উদ্দশ্যে কানাডার আদিবাসী শিশুদের ধরে এনে কসাই খানা সদৃশ ক্যাথলিক চার্চ পরিচালিত চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাহীন আবাসিক বিদ্যালয়গুলোয়  অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করতে এবং অপুষ্টির শিকার করে ও রোগে ভুগিয়ে বিনা চিকিৎসায় হাজার হাজার শিশুকে মেরে গুম করে গোপন কবর দিতে পারে বিগত ১৬৫ বছর যাবৎ অর্থাৎ ১৮৩১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ( - আর এ সব হতভাগ্য নিহত আদিবাসী শিশুর লুক্কায়িত গোপন কবরগুলো গত দুই মাস ধরে সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে - ) তাদের পক্ষে হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীদের নাজেহাল , অপমান ও আক্রমণ করা তো কোনো ব্যাপারই নয় এবং এতে বিস্ময়েরও কিছু নেই ।

যাদের অস্থি , মাংস ও রক্তে মিলে মিশে আছে বর্ণবৈষম্যবাদ ও মানুষ হত্যা - কারণ বহিরাগত দখলদার ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী বিগত তিন চার শতাব্দী ধরে কানাডার আদিবাসীদের মেরে কেটে খতম করে একেবারে চরম সংখ্যালঘু বানিয়ে নিজ দেশে পরবাসী করে দিয়েছে - তাদের কাছ থেকে এর বেশী কিছু আশা করা যায় না ।

মানবতা , মানবাধিকার উদারনৈতিকতা , ( লিবারেলিজম ) , স্বাধীনতা ( বাক স্বাধীনতা ,  মতপ্রকাশের অধিকার ) , গণতন্ত্র ইত্যাদি সব হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোর মুখরোচক অন্তঃসারশূন্য ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছুই নয় যেগুলো বয়ে কয়ে বেড়িয়ে আসলে এসব পশ্চিমা দেশ বিশ্বের বিভিন্ন জাতির প্রতি কৃত নিজেদের সকল অন্যায় অপকর্ম ঢাকা ও ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে মাত্র ঠিক যেন চোরের মার বড় গলার মতো ।

এ সব পশ্চিমা দেশ এ সব মুখরোচক শ্লোগান দিয়ে খুব গলাবাজি করে যা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ডাল মেঁ কুছ্ কালা হৈ ( دال میں کچھ کالا ہے ) !! যত সভ্য , রুচিবান , বিবেকবান , মানবতাবাদী ও নীতিবান হওয়ার দাবি করুক না কেন কানাডা জবরদখলকারী বহিরাগত হানাদার দখলদার ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ সরকার ও জনগোষ্ঠীর কোনো কিছুই বৈধ নয় দেশটির আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বরাবরে এবং অধিকার , ন্যায় , মানবতা , বিবেকবোধ ও নীতি নৈতিকতার আলোকে।

সুতরাং কানাডায় বহিরাগত দখলদার  গণহত্যাকারী , চরম বর্ণবৈষম্যবাদী , অন্ধ বস্তুবাদী লম্পট অসভ্য , বদমাশ  এই ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে ইসলামফোবিয়া ,  মুসলিম বিদ্বেষ ও হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীদের উপর আক্রমণ ও তাদের নাজেহাল করা ব্যতীত আর কিছু আশা করা যায় কি ?!!

আর এ থেকে কি প্রমাণিত হয়ে যায় না যে কানাডা জবরদখলকারী বহিরাগত ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীটি খুনী হওয়ার পাশাপাশি চরম গোড়া , ফ্যাসিস্ট ও সাম্প্রদায়িকও বটে ?!!!  এ হামলাগুলো ঠিক সেটারই পরিচায়ক ।

লেখা: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .