হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন অ-শিয়া ব্যক্তি আল্লামা আমিনী (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করে : হাজার বছর পরেও আপনারা কেন এত উৎসাহ ও উদ্দীপ্ত হয়ে কারবালার ঘটনা উদযাপন করেন?
প্রত্যুত্তরে আল্লামা জবাব দিলেন :
কারণ, আমরা গাদীরের ঘটনা এতো উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করিনি, তবেই তো আপনারা গাদীরের বাস্তবতা আড়াল করে বিকৃত করতে সফল হয়েছেন।
আমরা যদি আশুরা ও কারবালাকে ভুলে যেতাম তবে আপনারা এটিকে বিকৃত করে বলতেন যে, ইমাম হোসায়েন (আঃ) সামান্য জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন।
আমরা যদি এমন উদ্দীপনা ও আবেগের সাথে ঈদে গদীর উদযাপন করতাম যেমন উদ্দীপনার সাথে আশুরা উদযাপিত করি, তবে আল্লাহর কসম, আজ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যেমন ভাবে ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর বিদ্যালয় সম্পর্কে সচেতন আছে, তেমনি বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে ইমাম আলি (আঃ)-এর বেলায়েত এর বাণীও পৌঁছে যেত।
ঈদে গাদীরকে জীবিত রাখতে ইমামগণ থেকে বহু আমল বর্ণিত হয়েছে, এর মধ্যে একটি হল ঈদে গাদীরের দিন মুমিনদেরকে খাওয়ানো, যার জন্য এক বিরাট প্রতিদানের কথা বলা হয়েছে।
ইমাম সাদিক (আঃ) বলেছেন :
ঈদে গাদীরের দিন একজন মোমিনকে খাদ্য খাওয়ানো সমস্ত নবী ও সত্যবাদীদেরকে খাদ্য খাওয়ানোর সমান।
মফাতিহুল জেনান পৃষ্ঠা ৫০০
ঈদে গাদীরকে বিশাল শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সাথে উদযাপন করুন এবং হযরত যাহরা মারদিয়া (সাঃআঃ)-এর সম্মতি অর্জন করুন।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।
লেখা: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)