۱۸ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۸ شوال ۱۴۴۵ | May 7, 2024
জিয়া গাফুরি
জিয়া গাফুরি

হাওজা / আমেরিকায় পৌঁছানোর পর জিয়া সহায়সম্বলহীন বাস্তুহারা এক মানুষে পরিণত হন।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ছয় বছর অপেক্ষার পর জিয়া গাফুরি ২০১৪ সালে পরিবার নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমাতে সক্ষম হন।

কাবুলে তাদের বাসস্থান ছেড়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তাদের ছোট তিন সন্তানকে নিয়ে জিয়া গাফুরি আমেরিকার মাটিতে পা রাখেন ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

আফগানিস্তানে আমেরিকান বিশেষ বাহিনীতে দীর্ঘ ১৪ বছর দোভাষী হিসাবে কাজ করার পুরস্কার হিসাবে তাদের পাঁচজনের হাতে আমেরিকান ভিসা তুলে দেয়া হয়।

কিন্তু পুরস্কারের সেখানেই ইতি। আমেরিকায় পৌঁছানোর পর জিয়া সহায়সম্বলহীন বাস্তুহারা এক মানুষে পরিণত হন।

সহৃদয় এক স্বেচ্ছাসেবী তাকে একটা আশ্রয় শিবিরে পাঠিয়ে দেন। বলেন সেখানে তাকে ও তার পরিবারকে নতুন জীবন গড়ে তুলতে হবে।

সাত বছর পর সেই স্মৃতি এখনও তার ক্ষোভ উস্কে দেয়।

তিনি এখন থাকেন নর্থ ক্যারোলাইনায়। সেখান থেকে বলেন, তার মনে আছে সেসময় ছেলেমেয়েদের চোখের দিকে তাকাতে তার বুক ভেঙে যেত। তাদের আমেরিকায় নিয়ে যাবার জন্য ক্ষমা চাইতেন।

"আমি কান্না চাপতে পারতাম না," তিনি বলেন। "দুই দেশের জন্য আমি জীবনে যা করেছিলাম, নিজেকে সবসময় প্রশ্ন করতাম 'এই কি তার প্রতিদান'?"

তবে ৩৭ বছর বয়সী জিয়া গাফুরি বলেন, তার সহকর্মী যারা দোভাষী ছিলেন, তাদের মধ্যে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন, কারণ শেষ পর্যন্ত তিনি আমেরিকায় পালাতে পেরেছিলেন।

পশ্চিমা বাহিনী যখন দেশ থেকে তালেবানকে উৎখাত করতে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করল, তখন থেকে আমেরিকান এবং মিত্র জোটের সৈন্যদের জন্য হাজার হাজার আফগান দোভাষী, ফিক্সার এবং তাদের গাইড হিসাবে কাজ করেছে।

যা শেষ পর্যন্ত আমেরিকার দীর্ঘতম লড়াইয়ে রূপ নেয় তা শুরু হবার দুই দশক পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বছর ১১ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রতাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- এমনকি তার অর্থ যদি তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসা হয় তার পরেও।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .