۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۴ شوال ۱۴۴۵ | Apr 23, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী

হাওজা / চল্লিশটি অমীয় বাণী (সমস্যা সমাধানের জন্য বারোটি দোয়া সহ)

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সংকলক : আল্লামা শেখ আব্বাস কুম্মী রহঃ। সপ্তম অমীয় বাণী।

বিষয় : নামাযে তাহাজ্জুদ (শব) এর জন্য উৎসাহ।

প্রয়াত শেখ কুলাইনী (রহঃ) ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির থেকে বর্ণনা করেছেন :

عَنْ اَبِیْ جَعْفَرٍ عَلَیْهِ السَّلامُ قَالَ اِنَّ اللّٰهَ عَزَّ وَ جَلَّ خَلَقَ دِیْکًا اَبْیَضَ عُنُقُه تَحْتَ الْعَرْشِ وَ رِجْلاهُ فِیْ تَخُوْمِ الْاَرْضِ السَّابِعَةِ جَنَاحٌ بِالْمَشْرِقِ وَ جَنَاحٌ بِالْمَغْرِبِ لا تَصِیْحُ الدَّیْکَةُ حَتّٰی تَصْبَحُ فَاِذَا صَاحَ خَفَقَ بِجَنَاحَیْهِ ثُمَّ قَالَ سُبْحَانَ اللّٰهِ سُبْحَانَ اللّٰهِ الْعَظَیِْمِ الَّذِیْ لَیْسَ کَمِثْلِه شَیْءٌ فَیُجِیْبَهُ اللّٰهُ تَبَارَكَ وَ تَعَالٰی مَا اَمَنَ بِمَا تَقُوْلُ مَنْ یَحْلِفُ بِاِسْمِه کَاذِبًا

" নিঃসন্দেহে! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন একটি সাদা মোরগ সৃষ্টি করেছেন, যার ঘাড় আরশের নিচে এবং পা সপ্তম জমিনের নিচে। আর তার একটি ডানা পূর্বদিকে এবং অন্যটি পশ্চিমে। যতক্ষণ না ওই মোরগটি ডাকে (আযান), ততক্ষণ পর্যন্ত অন্য মোরগ ডাকে না। তাই সে যখন আযান দেয় তখন বলে :

" পাক ও পবিত্র মহান আল্লাহ তাআলা যাঁর মতো কিছুই নেই।"

প্রত্যুত্তরে আল্লাহ তাআলা তাকে বলেন : যা কিছু তুমি বলছো, কেউ যদি তার জ্ঞান রাখতো তবে কেউ আমার মিথ্যা শপথ নিত না। অর্থাৎ যে আমার মহত্ত্ব সম্পর্কে অবগত হবে সে কখনও আমার নামে মিথ্যা শপথ নিবে না।"

সূত্র, ইক্বাবুল আ'মাল পৃষ্ঠা ২৭১..

সংকলক বলেন : মিথ্যা শপথের নিন্দার ব্যপারে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল, মিথ্যা শপথ এবং আত্মীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার ফলে গৃহবাসী থেকে ঘর খালি হয়ে যায়। আর মিথ্যা শপথবাক্যের ফলে মানুষের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও বংশধরদের দুঃখ, দুর্দশা এবং আল্লাহর ক্রোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

যাইহোক ওই আরশের মোরগ সম্পর্কে বিভিন্ন রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে।

উক্তো রেওয়ায়েতের মধ্যে একটি রেওয়ায়েত হল ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ) বলেছেন :

" মহান আল্লাহ তাআলার একজন ফেরেশতা মোরগের আকৃতিতে আছেন। তার পাঞ্জা ভূমিতলে, তার ডানা বাতাসে, তার গলা আরশের নিচে ঝুঁকে আছে এবং মধ্যরাত পার হয়ে গেলে সে বলে :

 سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّ الْمَلائِکَةِ وَ الرُّوْحُ رَبَّنَا لا اِلٰهَ غَیْرُه

" অত্যন্ত পাক ও পবিত্র, অত্যন্ত পবিত্রকরণ এবং প্রশংসনীয়, ফেরেশতা ও রুহ (এক মহান ফেরেশতা) এর প্রতিপালক এবং আমাদের প্রতিপালক পরম করুণাময়ী, আর তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই।"

ওই যিকিরের পরে সে বলে :

 لِیَقُمِ الْمُتْهَدُوْنَ

" অর্থাৎ নামাযে তাহাজ্জুদ আদায়কারী গণ উঠে পড়।"

সুতরাং সেই সময় অনান্য মোরগেরা ডাক দিতে শুরু করে, তাই মোরগের আকৃতিতে থাকা ফেরেশতা মহান আল্লাহ তাআলার আদেশে কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর আবারও বলেন :

سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنَا الرَّحْمٰنُ لا اِلٰهَ غَیْرُه لِیَقُمِ الذَّاکِرُوْنَ

" অর্থাৎ, অত্যন্ত পাক ও পবিত্র, অত্যন্ত পবিত্রকরণ এবং প্রশংসনীয়, দয়ালু ও করুণাময়ী আমাদের প্রতিপালক। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। আল্লাহর স্মরণ কারীদের নিদ্রা থেকে জাগ্রতা হওয়া উচিৎ।"

আর প্রভাত কালে সে বলে :

رَبُّنَا الرَّحْمٰنُ لا اِلٰهَ غَیْرُه لِیَقُمِ الْغَافِلُوْنَ

"আমাদের প্রতিপালক পরম দয়ালু ও করুণাময়ী। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। অমনোযোগী ব্যক্তিবর্গ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হোক।"

প্রয়াত শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) বলেন যে, উল্লেখিত রেওয়ায়েতের ফলে কবিতার কয়েকটি ছন্দ উল্লেখ করা আমি যথাযথ মনে করছি :

دلا تا کی در این کاخ مجازی

کنی مانند طفلان خاک بازی

توئی آند ست پرو مرغ گستاخ

کہ بودت آشیان بیرون ازاین کاخ

چرازان آشیان بیگانہ گشتی؟

چہ دونان مرغ این ویرانہ گشتی

بیفشان بال و پر ز آمیز ش خاک

بہ پر تاکنگرہ ایوان افلاک

ببین دررقص ازرق طیلسانان

ردائے نور بر عالم فشانان

ہمہ دور جہان روزی گرفتہ

بہ مقصد راہ فیروزی گرفتہ

خلیل آسادر ملک یقین زن

نوائے لا اَحَبُّ آفِلِیْنَ زن

"হে হৃদয়! কতদিন তুমি এই ভার্চুয়াল প্রাসাদে বাচ্চাদের মত কাদায় খেলতে থাকবে,

তুমি এক অকেজো অহংকারী পাখি, যার বাসস্থান ছিল এই প্রাসাদের বাইরে,

কেন তুমি তোমার বাসা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছো, কতটা নিম্নমান ও হেয় হয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞের মোরগ হয়ে গেলে?

 মাটির মিশ্রণ থেকে নিজের ডানা ও কেশ ঝেড়ে ফেল, পৃথিবীর অট্টালিকার চূড়া পর্যন্ত উড়তে থাক,

প্রশস্ত পোশাক পরা মানুষগুলোকে আসমানের নৃত্যে দেখ, যারা পৃথিবীতে আলোর ঝংকার ছড়িয়ে দিচ্ছে,

পৃথিবীর সকলেই তাদের রিজিক গ্রহণ করেছে এবং তাদের সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,

ইব্রাহিম-খলিলুল্লাহর মত বিশ্বাসের দরজায় কড়া নাড় এবং লা আহাব্বু আ'ফিলিন (অর্থাৎ অস্ত গমনদেরকে আমি পছন্দ করি না) এর উচ্চ ধ্বনি দিতে থাক।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।

অনুবাদ: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .