۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলামা মাসুম আলী গাজী
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলামা মাসুম আলী গাজী

হাওজা / চল্লিশটি অমীয় বাণী। (সমস্যা সমাধানের জন্য বারোটি দোয়া সহ(

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সংকলক : আল্লামা শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ)। অষ্টম অমীয় বাণী। বিষয় : দুঃখি না হওয়া।

শেখ সাদুক্ব (রহঃ) বর্ণনা করেন যে,

سَاَلَ الصَّادِقُ بَعْضِ اَهْلِ مَجْلِسِه فَقِیْلَ عَلِیْلٌ فَقَصََدَه عَائِدًا وَجَلَسَ عِنْدَ رَأْسِه فَوَجَدَه دَنِفًا فَقَالَ لَه اَحْسِنْ ظَنَّكَ بِاللّٰهِ تعالى فقَالَ اِمَّا ظَنِّیْ بِاللّٰهِ فَحَسَنٌ وَٰلکِنْ غَمِّیْ لِبَنَاتِیْ مَا اَمَرَضَنِیْ غَیْرَ غَمِّیْ بِهِنَّ فَقَالَ الصَّادِقُ عَلَیْهِ السَّلامُ الَّذِیْ تَرْجُوْهُ لِتَضْعِیْفِ حَسَنَاتِكَ وَ مَحْوَ سَیِّائِتِكَ فَاَرْجِه ِلاصْلاحِ حالِ بَنَاتِكَ اَ ماعَلمت أنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ صَلَّ اللّٰهُ عَلَیْهِ وَاٰلِه وَ سَلَّمَ قَالَ :

" لَمَّا جَاوَزْتُ سِدْرَةُ الْمُنْتَهٰی وَبَلَغْتُ أَغْصَانَها وَ قَضْبَانَهَا وَ رَأَیْتُ بَعْضَ ثِمَارِ قَضْبَانَهَا اَثْدَأُوْهُ مُعَلَّقَةٌ یَقْطُرُ مِنْ بَعْضِهَا اللَّبَنِ وَ مِنْ بَعْضِهَا الْعَسَلِ وَ مِنْ بَعْضِهَا الدُّهْنُ وَ مِنْ بَعْضِهَا شِبْهُ دَقِیْقِ السَّمِیَّدِ وَ مِنْ بَعْضِهَا الثِّیَابِ وَ مِنْ بَعْضِهَا کَالنَّبْقِ فَیَهْوِیْ ذَٰلِكَ کُلُّه إلى نَحْو الْاَرْضِ فَقُلْتُ فِیْ نَفْسِیْ اَیْنَ مفر هٰذِهِ الْخَارِجَاتِ عن هذه الأثداء فَنَادَانِیْ رَبِّیْ یَا مُحَمَّد هٰذِه اُنْبِتُهَا مِنْ هٰذَا الْمَکَانِ الأرفع لِاغْذو مِنْهَا بَنَاتِ الْمُوْٴمِنِیْنَ مِنْ اُمَّتِكَ وَ بَنِیْهِمْ فَقال لِآبَآءِ الْبَنَاتِ لا تُضِیْقَنَّ صُدُوْرُکُمْ عَلٰی بَنَاتِکُمْ فَاِنِّیْ کَمَا خَلَقْتُهُنَّ اَرْزُقُهُنَّ"

"একদা ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) তাঁর এক সহচর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, সে কোথায়? তাঁকে বলা হয় যে, সে অসুস্থ। তিনি (আঃ) তার সাথে দেখা করতে গেলেন এবং তার মাথার পাশে বসলেন। ইমাম (আঃ) যখন দেখলেন যে, সে মৃত্যুর দারপ্রন্তে পৌঁছে গেছে, তখন তিনি বললেন, "মহান আল্লাহর প্রতি ভাল মতামত পোষণ কর।"

লোকটি বলল, "মহান আল্লাহর প্রতি আমি উত্তম ধারণা পোষণ করি। কিন্তু আমি আমার মেয়েদের জন্য দুঃখিত। শুধু তাদের দুঃখই আমাকে অসুস্থ করে তুলেছে।"

তিনি (আঃ) বললেন : ওই মহান আল্লাহ যাঁর কাছ থেকে তুমি তোমার সৎকর্ম দ্বিগুণ করতে এবং পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা কর, তাঁরই কাছে নিজের কন্যাদের অবস্থা পরিবর্তনের আশা রাখ। তুমি কি জান না যে, রাসূল আল্লাহ (সাঃ) বলেছেন :

"শবে মিরাজে, যখন আমি সিদ্রাতুল মুনতাহা (এক স্থান, শবে মিরাজ এ যখন হযরত জিব্রাইল (আঃ) রাসূল আল্লাহ (সাঃ) কে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন হযরত জিব্রাইল (আঃ) ওই স্থানে পৌঁছে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল : এর আগে আমার আর যাওয়ার অনুমতি নেই।

ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির আঃ বলেন সিদ্রাতুল মুনতাহা বলার কারণ হলো, ফেরেশতারা বান্দাদের আমল ওই স্থানে সংরক্ষণ করেন........

বলা হয়েছে যে, একটি গাছের-কুল- নাম ) -র পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম এবং যখন আমি সিদ্রাতুল মুনতাহার শাখার নিকটে পৌঁছলাম, তখন দেখলাম যে, কিছু ফল ওই শাখার সাথে ঝুলছে এবং তাদের মধ্যে কিছু শাখা থেকে দুধ বার হচ্ছে, কিছু শাখা থেকে মধু, কিছু শাখা থেকে ঘি, কিছু শাখা থেকে সবচেয়ে ভালো ধরনের সাদা আটা, কিছু শাখা থেকে কাপড় এবং কিছু শাখা থেকে কুল জাতীয় কিছু বের হচ্ছে। আর ওই জিনিসগুলি জামিনের দিকে চলে যাচ্ছে। আমি মনে মনে ভাবলাম এই জিনিসগুলো কোথায় যাচ্ছে? -হযরত জিব্রাঈল (আঃ) তখন আমার সাথে ছিলেন না-।

সুতরাং তখন আল্লাহর আওয়াজ আসলো :

"হে মুহাম্মদ (সাঃ)! আমি এই গাছটি এমন স্থানে রোপণ করেছি, যা সমস্ত স্থানের চেয়েও উঁচু, এবং এটা তোমার উম্মাহের মধ্যে মুমিনদের পুত্র ও কন্যাদের জন্য খাদ্য। সুতরাং তুমি প্রতিটি মেয়ের বাবাকে বলো যে, কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণের ফলে নিজের হৃদয় যেন ছোট্ট কর না, যেমন ভাবে আমি তাদের সৃষ্টি করেছি, তেমনি আমি তাদের ভরণ -পোষণ করব।"

সূত্র, সাফিনাতুল বিহার পৃষ্ঠা ১০৮..

খারায়েজ পৃষ্ঠা ২৮৪..

শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) বলেন : উল্লেখিত হাদীস বর্ণিত হওয়ার ফলে প্রয়াত শেখ সাদী (রহঃ)-এর কবিতার কিছু অংশ উদ্ধৃত করা যথাযথ বলে মনে করছি।

"যখন একটি শিশুর দাঁত বের হতে শুরু করে, তখন বাবা বিশাল আফসোস করতে শুরু করে যে, তার জন্য রুটি কোথায় পাব। তিনি যখন তার স্ত্রীকে এই কথা বললেন, তখন মহিলাটি পুরুষের মতো উপযুক্ত উত্তর দিলেন :

শয়তানের মৃত্যু পর্যন্ত তার প্রতারণার ফাঁদে পা দিও না, যিঁনি দাঁত দেন তিনিই জীবিকার ব্যবস্থা করেন।

যে আল্লাহ, গর্ভে থাকা শিশুর প্রতিচ্ছবি সংশোধন করেন তিনিই তার বয়স নির্ধারণ এবং তার ভরণপোষণ এর দায়িত্বও পালন করেন।

একজন ব্যক্তি যদি ক্রীতদাস ক্রয় করেন সে তার জীবিকাও প্রদান করেন।

তাহলে এটা কিভাবে সম্ভব, যে আল্লাহ এক বান্দা সৃষ্টি করেন এবং তার জন্য জীবিকার ব্যবস্থা করবেন না?

আল্লাহর উপর তোমার ততটা ভরসা নেই যতটা একজন দাস তার মালিকের উপর করে।

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।

অনুবাদ: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলামা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .